• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

ছেলেদের আরও ভালো করতে হবে


নিজস্ব প্রতিবেদক মে ৪, ২০১৭, ১১:৩৪ এএম
ছেলেদের আরও ভালো করতে হবে

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘মেয়েরা সবসময় পরীক্ষায় ভালো ফল করে। ছেলেদের আরও ভালো করতে হবে। আমাদের ছেলেরা অত্যন্ত মেধাবী। তারা ফেল করবে বিশ্বাস করা যায় না। একটু মনযোগী হলে তারা ভালো ফল করতে পারবে।’

বৃহস্পতিবার (৪ মে) সকালে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী কাছে ১০ শিক্ষা বোর্ডের ফলাফল হস্তান্তর করেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। এসময় প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যারা পাস করেছে তাদের ও তাদের অভিবাবকদের অভিনন্দন জানাই। আর যারা পাস করতে পারেনি তাদের মন খারাপ করার কিছু নেই। আগামীতে ভালো প্রস্তুতি নিতে হবে যাতে তোমরা পাস করতে পারো।’

গত বছরের তুলনায় এবার এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় পাসের হার কম। এবার মোট পাসের হার ৮০.৩৫ শতাংশ। ২০১৬ সালে পাসের হার ছিল ৮৮.২৩ শতাংশ। আর শিক্ষার্থীদের মধ্যে মেয়েদের পাসের হার বেশি। এবার ছাত্রদের পাসের হার ৭৯.৯৩ শতাংশ এবং ছাত্রীদের পাসের হারে ৮০. ৭৮ শতাংশ।

দেশের আটটি সাধারণ শিক্ষাবোর্ডে এবার এসএসসিতে পাসের হার ৮১.২১ শতাংশ। মাদ্রাসা বোর্ডে পাসের হার ৭৬.২০ শতাংশ আর কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৭৮. ৬৯ শতাংশ। ১০ বোর্ড মিলিয়ে মোট পাসের হার ৮০. ৩৫ শতাংশ।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ফলাফলের কপি হস্তান্তর করে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ জানান, গত বছরের তুলনায় এবার এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় পাসের হার কম। এবার পাসের হার ৮০.৩৫ শতাংশ। ২০১৬ সালে পাসের হার ছিল ৮৮.২৩ শতাংশ। আর শিক্ষার্থীদের মধ্যে মেয়েদের পাসের হার বেশি।

তিনি জানান, এবার পাস করেছে ১৪ লাখ ৩১ হাজার ৭২২ জন। ১০টি সাধারণ শিক্ষাবোর্ডে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১৭ লাখ ৮৬ হাজার ৬১৩ জন।

এবার মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের (দাখিল ও এসএসসি-ভোকেশনাল) পরীক্ষার ফলাফলে মোট জিপিএ-৫ পেয়েছেন এক লাখ চার হাজার ৭৬১ জন শিক্ষার্থী।

মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৭৬ দশমিক ২০ শতাংশ। কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৭৮ দশমিক ৬৯ শতাংশ। দিনাজপুর বোর্ডে পাসের হার ৮৩ দশমিক ৯৮ শতাংশ। জিপিএ ফাইভ পেয়েছেন ৬ হাজার ৯২৯ জন। সিলেট বোর্ডে জিপিএ ফাইভ পেয়েছেন ২ হাজার ৬৬৩ জন। কুমিল্লা বোর্ডে পাসের হার ৫৯ দশমিক ০৩ শতাংশ।

প্রসঙ্গত, গত ২ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়ে এসএসসি ও সমমানের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় ২ মার্চ পর্যন্ত। এছাড়া ব্যবহারিক পরীক্ষা ৪ মার্চ শুরু হয়ে শেষ হয় ১১ মার্চ।

এ বছর ১০টি শিক্ষা বোর্ডের ৩ হাজার ২৩৬টি কেন্দ্রে ২৮ হাজার ৩৪৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১৭ লাখ ৮৬ হাজার ৬১৩ জন। মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে ছাত্র ৯ লাখ ১০ হাজার ৫০১ জন ও ছাত্রী ৮ লাখ ৭৬ হাজার ১১২ জন। নিয়মিত পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১৬ লাখ ৭ হাজার ১২৪ জন। এছাড়া অনিয়মিত পরীক্ষার্থী ১ লাখ ৭৬ হাজার ১৯৮ জন এবং বিশেষ পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৪৫ হাজার ২৯৮ জন।

গত বছরের চেয়ে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১ লাখ ৩৫ হাজার ৯০ জন বেশি হওয়ায় বাড়ানো হয় ৯৩টি কেন্দ্র। এর মধ্যে দেশের বাইরে বিদেশের (জেদ্দা, রিয়াদ, ত্রিপোলি, দোহা, আবুধাবী, দুবাই, বাহরাইন এবং ওমানের সাহাম) ৪৪৬ জন পরীক্ষার্থীর জন্য ছিল ৮টি পরীক্ষা কেন্দ্র।

এ বছর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি এবং কারিগরি শিক্ষা নামে দুটি নতুন বিষয় যুক্ত হয়। বাংলা দ্বিতীয়পত্র এবং ইংরেজি প্রথম ও দ্বিতীয়পত্র ছাড়া সব বিষয়ে সৃজনশীল প্রশ্নে পরীক্ষা নেয়া হয়।


সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন

Wordbridge School
Link copied!