• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
ভুঁড়ি! বানানো খুব সহজ, কিন্তু তা কমানো?

ছয় মাসের মধ্যে কোমড় ৬ থেকে ১০ ইঞ্চি কমবে!


স্বাস্থ্য ডেস্ক জুলাই ২৫, ২০১৮, ১২:৫১ পিএম
ছয় মাসের মধ্যে কোমড় ৬ থেকে ১০ ইঞ্চি কমবে!

ঢাকা : মাথার পরেই দেহের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ পেট, আর তা কিনা এক সময় অকার্যকর হয়ে পরে। যাদের পেটে চর্বি আছে তাদের কোনো ভাবেই ফুল ব্রিদিং হবে না। স্নোরিং হবে এবং ঘুম হবে ক্ষনস্থায়ী। আদতে পেটে কোনো মাসল নাই। যা আছে পাতলা চামড়া এবং তার নীচে ইন্টেস্টাইন। এই ইন্টেস্টাইনে চর্বি জমেই ভুঁড়ি বাড়তে থাকে।

ভুঁড়ি বানানো খুব সহজ, কিন্তু তা কমানো? সত্যি কঠিন। বর্তমানে দেখি ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের ইয়া বড় ভুঁড়ি। এ কিন্তু আসলেই বিপদজনক। তারা জানেই না এই ভুঁড়ি কীভাবে কমাতে হবে। বিয়ের আগে বা পরে কিছুদিন ডায়েটিশিয়ানের কাছে দৌড়ায়, অতঃপর হতাশ হয়ে হাল ছেড়ে দেয়। মাঝে টাকা যায় কিছু।
আপনি বা আপনারা যদি তাই নীচের পয়েন্ট গুলো ভালো মত অনুসরণ করেন তবে পাঁচ থেকে ছয় মাসের মধ্যে আপনার কোমড় ৬ থেকে ১০ ইঞ্চি কমে অসাধারণ শেপ দেবে।

তবে চলুন জেনে নেই পয়েন্ট গুলো :


১) রাতের খাবার ৭ থেকে ৮ টার মধ্যে খেয়ে ফেলতে হবে। পরিমাণে একটু কম খাবেন। হাফ মিল হলে ভালো। তরল জাতীয় খাবার হলে আরও ভালো। কারণ খাবার হজম হতে ৮-১০ ঘন্টা সময় লাগে। আপনি রেস্টে যান, কিন্তু আপনার ইন্টেস্টাইন কিন্তু রেস্ট পায় না। অনর্গল কাজ করতে থাকে, তারও রেস্ট প্রয়োজন।
২) রাতের খাবার শেষ করার আধা ঘন্টা পর হাঁটতে যাবেন। অন্তত এক ঘন্টা নিয়ম করে হাঁটবেন। তাতে খাবারটা অনেকাংশে হজম হয়ে যাবে। ফলে ইন্টেস্টাইন কিছুটা স্বস্তি পাবে। রাতে ভালো ঘুম হবে।
৩) রাত এগারোটার মধ্যে ঘুমাতে যেতে হবে। এগারোটার পর কোনো ভাবেই জেগে থাকা যাবে না। কমপক্ষে ৭-৮ ঘন্টা ঘুমের প্রয়োজন। যদি এগারোটায় ঘুমান তবে ভোর ছয়টায় এলার্ম দিন।
৪) ছয়টায় ঘুম থেকে উঠে গরম দুধ বা হালকা গরম জল পান করুন এক বা দুই গ্লাস। নীচে হাঁটতে চলে যান। সাবধান, বেশী দূরে যাবেন না। ঠিক বাসার নীচে। ১০০-২০০ মিটার হাঁটার পরেই আপনার টয়লেটে চাপ দিবে। ভয়ংকর চাপ। গোটা পেট ফাঁকা হয়ে যাবে টয়লেট হয়ে।
৫) ৪/৫ টা খেজুর খেয়ে এক গ্লাস জল পান করে হাঁটতে চলে যান। ঘড়ি ধরে এক বা দেড় ঘন্টা হাঁটবেন। জোরে জোরে। বাসায় এসে ফুল পেট খাবেন। ফাইবার জাতীয় খাবার খাওয়া ভালো। তাতে পেট পরিষ্কার থাকবে।
৬) দুপুরের খাবার পণে একটার মধ্যে শেষ করে আধা ঘন্টা নীচে পায়চারি করবেন।
৭) ভুলেও রিকসা ব্যবহার করবেন না।
৮) তৈলাক্ত খাবার পরিহার করুন।
৯) কোক বা পানীয় জাতীয় কোনো সফট ড্রিনকস খাবেন না।
১০) সকালে কফি খাবেন এক মগ। লাল চা চিনি ছাড়া পান করবেন বিকেল চারটা পর্যন্ত, কোনো রেস্ট্রিকশন নাই।
১১) ফাস্টফুড খাবেন না।
১২) পঁয়ত্রিশের উর্ধে যারা আছেন তারা ভিটামিন ডি সাপলেমেন্টারি খাবেন প্রতিদিন একটা করে।
১৩) রেড মিট পারলে এভোয়েড করুন।
মনে রাখবেন, শরীর আপনার, তাকে ভালোবাসার দ্বায়িত্বও আপনার।
সোনালীনিউজ/আরজে

Wordbridge School
Link copied!