• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

জঙ্গি তৎপরতায় নতুন করে ভাবাচ্ছে বিদেশি কূটনীতিকদের


বিশেষ প্রতিনিধি মার্চ ২০, ২০১৭, ০২:২৬ পিএম
জঙ্গি তৎপরতায় নতুন করে ভাবাচ্ছে বিদেশি কূটনীতিকদের

ঢাকা : নতুন করে জঙ্গি তৎপরতায় নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত বিদেশি কূটনীতিকরা। তবে তাদের বিশ্বাস, বর্তমান পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে পারবে সরকার। বিদেশিদের জঙ্গি টার্গেট থেকে রক্ষায় সরকারকে এখনই কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার পরামর্শও দেন তারা। তাগিদ দেন, জঙ্গিদের জীবিত অবস্থায় আটক করারও।

আবারো জঙ্গি হামলা, এবার আইন-শৃংখলা বাহিনীর ঘরেই। যাকে আত্মঘাতি বলছে র‍্যাব। গুলশান হামলার পর কিছুটা স্বস্তিতে থাকা বিদেশিরা আবারো নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত এমন বিধ্বংসী কাজে।

মাত্র ছয় মাস আগে ঢাকায় আসা নরওয়ে রাষ্ট্রদূতের মতে, জঙ্গিদের এমন হামলা তাদের নিরাপত্তা হুমকি বাড়িয়ে দিয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর শত চেষ্টার পরও ঝুঁকি থেকেই যাচ্ছে। জঙ্গি কর্মকান্ডের কারণে স্বস্তিতে থাকতে পারছি না। আত্মঘাতি হামলা আমাদের স্বস্থি কেড়ে নিয়েছে। আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি।

পুলিশকে বাহবা দিতে চাই তাদের নিরলস চেষ্টার জন্য। কিন্তু এটাও চাই যে, জঙ্গি কিংবা সন্ত্রাসীরা জীবিত অবস্থায় আটক হোক। এতে করে বাংলাদেশ তার আসল শত্রুদের চিনতে পারবে। পরবর্তীতে তথ্যও পাওয়া যাবে। ফ্রান্সসহ সারা বিশ্বে আত্মঘাতি বোমার ব্যবহার করছে উগ্র মানসিকতার লোকেরা।

তবে জীবনকে তুচ্ছ ভেবে কিসে অনুপ্রাণিত হয়ে তারা এমনটা করছে, এটাও ভাবতে হবে। বাংলাদেশে এমন ঘটনা আগে খুব দেখা যায়নি। তাই এমন কর্মকান্ড নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে ভাবাচ্ছে। গুলশান হামলার পর আইএস নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়, কূটনীতিক ও সরকারের মাঝে। সাম্প্রতিক হামলা এ বিতর্ককে আরও উসকে দিয়েছে বলে মনে করেন রাষ্ট্রদূতরা।  

দেশীয় জঙ্গিদের সঙ্গে আইএসের নিয়মিত যোগাযোগ আছে। কোন না কোন মাধ্যমে ভিনদেশী কিন্তু সমমনা মতবাদের মানুষদের সঙ্গে যোগযোগ রেখেই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে দেশীয় জঙ্গিরা। গুলশান হামলার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে এসেছিল, কিন্তু আবারো তা ঘোলা করার চেষ্টা চলছে। এটা থামাতে হবে। বিশ্বাস করি সরকার সেটা করতে সক্ষম। কিন্তু আমরা যেন তাদের টার্গেটে পরিণত না হই। রাষ্ট্রদূতদের মতে, জঙ্গি কিংবা সন্ত্রাসবাদ বিশ্ব শান্তির জন্য হুমকি, তাই এটা থামাতে আগে আদর্শের লড়াইটা করতে হবে।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!