‘জঙ্গিবাদ দমনে শেখ হাসিনা সত্যিই কঠোর’

জঙ্গিবাদ দমনে বাংলাদেশ সরকার ‘শক্তিশালী পদক্ষেপ’ নিয়েছে বলে প্রশংসা করেছে ভারত। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ রবিবার (১৯ জুন) মোদী সরকারের দুই বছরের অর্জন নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন।
 
বাংলাদেশ প্রসঙ্গে সুষমা বলেন, বাংলাদেশে যেসব সহিংসতার ঘটনা ঘটছে তা দুর্ভাগ্যজনক। দুই দেশের সর্বোচ্চ স্তরে এ বিষয়ে নিয়মিত আমাদের কথাবার্তা হচ্ছে। তবে একটা কথা আমাকে অবশ্যই বলতে হবে, বাংলাদেশ সরকার এই হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে কোনও চেষ্টার ত্রুটি রাখছে না। তিন হাজারেরও বেশি লোককে এর মধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সত্যিই খুব কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছেন।
 
সুষমা স্বরাজ যোগ করেন, এটা অত্যন্ত খুশির খবর যে বাংলাদেশের ইসলাম ধর্মীয় নেতারা রীতিমতো ফতোয়া দিয়ে এই ধরনের হামলাকে ইসলামবিরোধী বলে বর্ণনা করেছেন – এবং লক্ষাধিক ধর্মীয় নেতা তাতে সইও করেছেন। ফলে ভারত মনে করছে প্রকাশ্যে যখন এত হাজার হাজার ধর্মীয় নেতা হিন্দুদের ওপর হামলার বিরুদ্ধে সরব হতে পারেন, তখন বাংলাদেশের সরকার ও দেশের মানুষ অবশ্যই এই সব হামলার বিরুদ্ধে।
 
বাংলাদেশ থেকে নির্যাতিত সংখ্যালঘুরা ভারতে এলে ভারত সরকার তাদের আশ্রয় দিতে দায়বদ্ধ বলে উল্লেখ করেন তিনি। আমরা নির্যাতিত সংখ্যালঘুদের কথা যখন বলছি, তার মধ্যে কিন্তু হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন এরা সবাই পড়েন। নির্যাতিত সংখ্যালঘু বলতে আমরা শুধু হিন্দুদের কথাই বলছি না। ফলে ভারত যখন শরণার্থীদের জন্য নীতিমালা প্রস্তুত করছে, তখন কিন্তু সেটা আমাদের আশেপাশের প্রতিবেশী দেশ থেকে আসা নির্যাতিত সংখ্যালঘুদের কথা মাথায় রেখেই বানানো হচ্ছে।
 
এছাড়া ভারতের নিউক্লিয়ার সাপ্লায়ার গ্রুপের (এনএসজি) সদস্য হতে চীন বিরোধিতা করছে না বলে উল্লেখ করেন তিনি। সুষমা বলেন, আশা করি আমরা এই বছরের শেষের মধ্যে এনএসজি সদস্য হতে পারবো। চীন ভারতের সদস্যপদের বিরোধিতা করছে না, চীন প্রক্রিয়ার কথা বলছে। ভারত আশাবাদী যে চীনের কাছ থেকে সমর্থন আদায় করতে পারবে। বিবিসি।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন