• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

জঙ্গিবাদ নির্মূলে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান রাষ্ট্রপতির


সংসদ প্রতিবেদক জানুয়ারি ২৩, ২০১৭, ১১:৫৮ এএম
জঙ্গিবাদ নির্মূলে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান রাষ্ট্রপতির

ঢাকা : দেশ থেকে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ নির্মূল এবং শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠায় জাতিকে আবারো ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানালেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। পাশাপাশি একটি উন্নত দেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত এবং আইনের শাসন সুসংহত করতে সরকারি দলের সঙ্গে বিরোধী দলকেও গঠনমূলক ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান তিনি। 

গতকাল রোববার (২২ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় দশম জাতীয় সংসদের চতুর্দশ অধিবেশনে ভাষণ দানকালে রাষ্ট্রপতি এ আহ্বান জানান।

জাতীয় সংসদে চলতি বছরের শুরুর এ অধিবেশনে ১১৯ পৃষ্ঠার ভাষণ দেন রাষ্ট্রপতি। এ সময় সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিরোধীদলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ, প্রধান বিচারপতিসহ বিশিষ্টজনরা উপস্থিত ছিলেন।

রাষ্ট্রপতি বলেন, একটি গণতান্ত্রিক কাঠামোর মধ্য থেকে জাতির অগ্রযাত্রার আকাক্সক্ষাকে বাস্তব রূপ দিতে বর্তমান সরকারের প্রয়াস অব্যাহত রয়েছে। ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত গৌরবোজ্জ্বল স্বাধীনতা সমুন্নত ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুজ্জ্বল রাখতে, গণতন্ত্র ও আইনের শাসন সুদৃঢ় করতে, দেশ থেকে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ সম্পূণরূপে নির্মূল করতে দেশে শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে বাঙালি জাতিকে আবারো ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস গ্রহণ করতে হবে।

তিনি আরো বলেন, একাত্তরের শহীদদের কাছে আমাদের অপরিশোধ্য ঋণ রয়েছে। আসুন ধর্ম-বর্ণ-গোত্র নির্বিশেষে এবং দল-মত-পথের পার্থক্য ভুলে জাতির গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার মাধ্যমে আমরা লাখো শহীদের রক্তের ঋণ পরিশোধ করি।

রাষ্ট্রপতি বলেন, সংসদ দেশের আপামর জনসাধারণের আশা-আকাক্সক্ষার কেন্দ্রবিন্দু। বর্তমান সরকার গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা সুদৃঢ়করণের মাধ্যমে বাংলাদেশকে একটি উন্নত ও আলোকিত দেশ হিসাবে প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, পরমতসহিষ্ণুতা, মানবাধিকার ও আইনের শাসন সুসংহতকরণ এবং জাতির অগ্রযাত্রার স্বপ্ন ও আকাক্সক্ষা বাস্তবায়নে সরকারি দলের পাশাপাশি বিরোধী দলকেও গঠনমূলক ভূমিকা পালন করতে হবে। আমি জনগণের প্রত্যাশা পূরণের প্রতিষ্ঠান জাতীয় সংসদে সরকারি ও বিরোধী দলসহ সবাইকে যথাযথ ও কার্যকর ভূমিকা পালনের আহ্বান জানাই।

রাষ্ট্রপতি আরো বলেন, শান্তি, গণতন্ত্র, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির যে পথে আমরা হাঁটছি, সে পথ ধরেই বাংলাদেশ আরো বহুদূর এগিয়ে যাবে এবং বিশ্বসভায় একটি উন্নত দেশ হিসাবে আপন মহিমায় উদ্ভাসিত হবে। ‘রূপকল্প-২০২১’ এবং দিনবদলের সনদের ভিত্তিতে প্রণীত প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ও ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার আওতায় বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন এবং এ কার্যক্রমে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের ফলে আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার বাস্তবায়নও শুরু হয়েছে। ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে বাংলাদেশ মধ্য-আয়ের দেশে পরিণত হবে এবং ২০৪১ সালে বিশ্বসভায় একটি উন্নত দেশের মর্যাদায় অভিষিক্ত হবে, এটাই জাতির প্রত্যাশা। 

‘রূপকল্প-২০২১’, দিনবদলের সনদ ও এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং বিভিন্ন পরিকল্পনায় গৃহীত কর্মসূচির যথাযথ বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে জাতির এ প্রত্যাশা অবশ্যই পূরণ হবে। আমি দৃঢ়ভাবে আশাবাদী, রাষ্ট্র ও সমাজের সর্বস্তরে সুশাসন সুসংহতকরণ, গণতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ এবং জনগণের সর্বাত্মক অংশগ্রহণের মাধ্যমে আমরা এসব লক্ষ্য অর্জনে সক্ষম হব। 

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমটিআই
 

Wordbridge School
Link copied!