• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

‘জঙ্গিবাদের লাগাম টানতে সবাই ঐক্যবদ্ধ’


নিজস্ব প্রতিবেদক জুলাই ১০, ২০১৬, ০৫:২৮ পিএম
‘জঙ্গিবাদের লাগাম টানতে সবাই ঐক্যবদ্ধ’

জঙ্গিবাদের লাগাম টানতে সবাই ঐক্যবদ্ধ বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ রবিবার সকালে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের কাছে এ মন্তব্য করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমেরিকাতেও কিছুদিন আগে একই ঘটনা ঘটল। এখন দেখা যাচ্ছে যারা এসব তৈরি করেছিল তারাই এখন লাগাম টানতে চাইছে। কেননা হামলা তাদের ওপরও আসছে। জঙ্গিবাদ রোধে সবাইকে আরো বেশি সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একবার জঙ্গিবাদের বীজ বপন হলে তা আর রোধ করা যায় না। বিস্তৃত হতেই থাকে। গত কয়েকদিন আগে যে ঘটনাটি ঘটল তা এ দেশে প্রথম। প্রত্যেকটা ধর্মের মানুষের ওপর যেমন মসজিদ, মন্দির, গির্জা, প্যাগোডায় এর আগে হামলা চালিয়েছে জঙ্গিরা। তারপর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষকের ওপর হামলা করা হলো।

তবে এমন ঘটনার ক্ষেত্রে এভাবে হামলাকারীদের শেষ করা এবং জিম্মিকে উদ্ধার করার ঘটনা আর কোনো দেশেই হয়নি। গুলশান হামলার ঘটনায় নিহতদের সবাই বন্ধুপ্রতীম দেশের নাগরিক। দেশে এই ধরনের ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। সে ক্ষেত্রে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও ভালো কাজ করেছে। শোলাকিয়ার হামলার কথা টেনে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, শোলাকিয়ার আগেই আমি সতর্ক করেছিলাম যে এটা দেশের সবচেয়ে বড় জামাত। সেখানে হামলা হতে পারে। সেখানেও ২ পুলিশ মারা যায়। কারা এর পেছনে ছিল সেটাও গোয়েন্দা সংস্থা বের করে ফেলেছে। আমি অবাক হলাম যে, এরা কোন ধরনের মুসলমান যে এশার নামাজের পর তারাবি না পড়ে গেল মানুষ খুন করতে। ঈদের দিন নামাজ না পড়ে নামাজ যারা পড়ছে তাদের ওপর হামলা করতে গেল।

এই ঘটনার পরে মিডিয়ার ওপরও ক্ষোভ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমাদের কিছু মিডিয়া আছে। তারা নানান রকম জ্ঞান বিতরণ করে যাচ্ছে। যারা এসব কথা বলে বেড়াচ্ছে আমার মনে হয় তাদের মনের আশা পূরণ হয়নি। তারা চায় এ ধরনের ঘটনা আরো ঘটুক। অবশ্যই আমি যেভাবে নির্দেশ দিয়েছি সেভাবেই কাজ করেছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। বাহবা না দিয়ে তাদের দুর্বলতা প্রকাশ করার চেষ্টা কেন করছে তা আমরা দেখতে চাই।

দেশের স্বার্থে কিছু করণীয় সম্পর্কে বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী জানান, দেশে এসব নিয়ন্ত্রণ করতে আমাদের কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে। প্রাইভেট সেক্টরে অনেক কম্পানি আছে তাদের সম্পর্কে খোঁজ-খবর নিতে হবে। আমরা মনে করি উচ্চশিক্ষিত পরিবারের ছেলেমেয়েদের অনেক বড় মন হবে কিন্তু তারা যে ধর্মান্ধ হয়ে যাবে সেটা কেউই ভাবেনি। বাংলাদেশের মানুষ ধর্মভীরু কিন্তু ধর্মান্ধ নয়, কখনোই ছিল না। এ ব্যাপারেও আমাদের সবার সচেতন হওয়া উচিত।  

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, কেউ গুম হলেই সবাই সরকারকে দায়ী করে। কেউ কেউ যে স্বেচ্ছায় চলে যাচ্ছে। সে সবের ব্যাপারে কোনো রকম তথ্য দিতে এসব প্রতিষ্ঠান কেন ব্যর্থ হচ্ছে? যারা নিজেরা নিজেরা হারিয়ে যাচ্ছে তাদের ব্যাপারে এসব তথ্যাদি নেই। আমরা চাই এরপর থেকে প্রত্যেকটা স্কুল-বিশ্ববিদ্যালয়ে কতজন কতদিন অনুপস্থিত আছে তা নিশ্চিত করা। কারা তাদের বিপথে নিয়ে গেল তা খুঁজে বের করা দরকার সবার আগে।

সোনালীনিউজ/এইচএআর

Wordbridge School
Link copied!