• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

জনগণের মন জয় করেই আগামী নির্বাচন


ইলিয়াস আরাফাত নভেম্বর ৮, ২০১৬, ০৩:১৬ পিএম
জনগণের মন জয় করেই আগামী নির্বাচন

রাজশাহী: জাতীয় সংসদ নির্বাচনের এখনও ঢের বাকি। ২০১৯ সাল আসতে এখনও হাতে আছে দুই বছর। কিন্তু এর মধ্যেই দলগুলোর কেন্দ্রীয় পর্যায় থেকে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে। দল গোছানো, কর্মীদের উদ্বুদ্ধ করা থেকে শুরু করে জনগণের কাছে গিয়ে নিজেদের গ্রহণযোগ্যতা তুলে ধরতে দেয়া হয়েছে নির্দেশনা। কেন্দ্র থেকে নির্দেশনা পেয়ে ইতোমধ্যে নির্বাচনের মাঠে নামার প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন নেতাকর্মীরা। এমন প্রস্তুতি দেখা গেছে রাজশাহী জেলা ও মহানগরেও।

সূত্রমতে, কমিটি থেকে শুরু করে, দলীয় কোন্দল ও মামলার বিষয় বিবেচনায় নিলে অনেকটাই ভালো অবস্থানে আছে আওয়ামী লীগ। যদিও নতুন কমিটি রাজশাহীর নেতাকর্মীদের আশানুরূপ হয়নি। রাজশাহী আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামানের সন্তান এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনকে কেন্দ্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদে দেখার আশা করছিলেন। কিন্তু আগের কমিটিতে তিনি যে নির্বাহী সদস্য ছিলেন, নতুন কমিটিতেও তাই রাখা হয়েছে। এনিয়ে স্থানীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে কিছুটা হতাশাও আছে। তবে, তৃণমূল নেতাদের দাবি, রাজশাহীতে আওয়ামী লীগ অন্য যে কোনো সময়ের চেয়ে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী।

রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ জানান, নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে দলের প্রধানের নির্দেশে ইতোমধ্যে তারা মাঠপর্যায়ে কাজ শুরু করেছেন। সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরে তারা জনগণকে সম্পৃক্ত করতে কাজ করে যাচ্ছেন। এখন থেকে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে দলীয় নেতাকর্মীদের জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক বাড়ানোর নির্দেশও দেয়া হয়েছে।

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন জানান, অতীতে রাজশাহীর সব আসনই আওয়ামী লীগ দখল করেছে। বর্তমান সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের কারণে সাধারণ মানুষের সমর্থন আগের চেয়ে বেড়েছে। আগামীর নির্বাচনের ফলাফলও আওয়ামী লীগের ঘরে আসবে।

সূত্রমতে, বর্তমান সময়ে আওয়ামী লীগ যেমন সুবিধাজনক অবস্থানে আছে, ঠিক উল্টো চিত্র বিএনপির ক্ষেত্রে। আন্দোলন ও মামলার ভারে বিধ্বস্ত বিএনপি। শুধু তাই নয়, দলীয় কোন্দলেও স্থানীয় বিএনপি ঝিমিয়ে পড়েছে কিছুটা। তবে তৃণমূল নেতাদের দাবি, সরকার যতোই দমন-পীড়ন চালিয়ে দলকে কোণঠাসা করার চেষ্টা করছে, ততোই দলের জনপ্রিয়তা বেড়ে গেছে।

সরকারের দমন-পীড়নের অংশ হিসেবেই রাজশাহীতে দলের সিনিয়র নেতা মিজানুর রহমান মিনু, নাদিম মোস্তফা, শফিকুল হক মিলন, মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলসহ দেড় হাজার নেতা-কর্মীর ওপরে ঝুলছে একাধিক মামলা। মামলার দল গোছানোর চেয়ে মামলার বোঝা ঘাড় থেকে নামাতেই ব্যস্ত তারা।

রাজশাহী মহানগর বিএনপির সহসভাপতি মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল জানান, একের পর এক মামলা দিয়ে সরকার তাদের নেতা-কর্মীদের ব্যতিব্যস্ত করে রেখেছে। বিএনপি অনেক বড় একটি দল। যে কোনো সময় আন্দোলন ও নির্বাচনের প্রস্তুতি দলটি রাখে।

বিএনপির জেলা সহ-সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন তপু দাবি করেন, তৃণমূলে তাদের জনপ্রিয়তা আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। সাংগঠনিকভাবে তারা কেন্দ্রের যে কোনো নির্দেশ পালন করতে প্রস্তুত আছেন।

এদিকে, জাতীয় সংসদে বিরোধীদল হিসেবে চিহ্নিত জাতীয় পার্টির (জাপা) নেতাকর্মীরা দলগোছানো ও আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে নানাভাবে প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম শুরু করেছে। রাজশাহীর জাপা নেতা শাহাবুদ্দিন বাচ্চু জানান, দলের প্রধানের নির্দেশে তারা এককভাবে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। ইতোমধ্যে দলের চেয়ারম্যানের কাছে প্রার্থীদের একটি তালিকাও দেয়া হয়েছে। 

সোনালীনিউজ/এমএন

Wordbridge School
Link copied!