• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

জনতার চাপে নত ট্রাম্প!


আন্তর্জাতিক ডেস্ক ফেব্রুয়ারি ৭, ২০১৭, ০৬:৫৭ পিএম
জনতার চাপে নত ট্রাম্প!

ঢাকা: শরণার্থী সীমিতকরণের নামে নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাতটি মুসলিম দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারির পর থেকেই খোদ যুক্তরাষ্ট্রে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। বিশ্বজুড়ে ক্ষোভ ও নিন্দার ঝড় চলছে। জনতার প্রতিবাদে এবার সেই সমালোচিত নিষেধাজ্ঞা সংশোধন করলেন ট্রাম্প। প্রথম সিদ্ধান্তেই হোচট খেলেন তিনি।

গত ৩ ফেব্রুয়ারি জানানো হয়েছিল, যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতিপ্রাপ্ত গ্রিনকার্ডধারীরাও এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকবেন। ক্রমবর্ধমান ক্ষোভের মুখে রবিবার ট্রাম্প প্রশাসন নিষেধাজ্ঞা কিছুটা সংশোধন করেছে। পরে হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, গ্রিনকার্ডধারীরা এ নিষেধাজ্ঞার আওতার বাইরে থাকবেন। তবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের সময় বিমানবন্দরে তাদের কঠোর পরীক্ষা-নিরীক্ষার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। সোমবার দেশটির অন্যতম দৈনিক পত্রিকা দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস এ খবরটি প্রধান শিরোনাম হিসেবে প্রকাশ করেছে।

শুক্রবার এক নির্বাহী আদেশে তিন মাসের জন্য ৭ মুসলিম দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্র প্রবেশে স্থগিতাদেশ দেন নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পাশাপাশি শরণার্থী কর্মসূচি চার মাসের জন্য স্থগিত করেন তিনি। তবে সব শরণার্থীর বেলায়, কর্মসূচি স্থগিতের মেয়াদ নির্দিষ্ট ৪ মাস হলেও সিরিয়ার ক্ষেত্রে এই মেয়াদ অনির্দিষ্টকালের। প্রশাসনের শরণার্থী সীমিতকরণ কর্মসূচির অংশ হিসেবে ওই নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেন নবনির্বাচিত এই রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট। এই আদেশে যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয়ের ক্ষেত্রে মুসলিম প্রধান দেশগুলোর মুসলিমদের বদলে খ্রিস্টান ও সংখ্যালঘুদের প্রাধান্য দেওয়ার কথা বলা হয়।

ট্রাম্পের ওই নির্বাহী আদেশের একদিন পর মার্কিন হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের মুখপাত্র গিলিয়ান ক্রিস্টেনসেন জানান, ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশের আওতায় পড়বেন দেশটিতে ‘গ্রিন কার্ড’ পাওয়া ব্যক্তিরাও।

হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে জানানো হয়, গ্রিন কার্ডধারী অভিবাসীদের মধ্যে যারা বাইরে আছেন এবং দেশে ফিরে আসতে চান, তারা সেটা করতে পারবেন। তবে নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত হলেও এখন থেকে বেশি বেশি পরীক্ষা-নিরীক্ষার মধ্য দিয়ে যেতে হবে।

গ্রিন কার্ডের মাধ্যমে অন্য দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতি দেওয়া হয়। তবে গ্রিন কার্ডের মানে নাগরিকত্ব নয়। এর মানে যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ী বসবাসের সুযোগ। গ্রিন কার্ডধারীরা ভোট দিতে পারেন না।

তবে এর পরই হোয়াইট হাউসের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানান, যুক্তরাষ্ট্রের গ্রিন কার্ডধারীরা দেশটিতে ফিরতে চাইলে অতিরিক্ত স্ক্রিনিং অর্থাৎ অতিরিক্ত নিরাপত্তা পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। মার্কিন দূতাবাস কিংবা কনস্যুলেটে তাদেরকে স্ক্রিনিং করাতে হবে।

নির্বাহী আদেশের প্রথম দিনেই যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরে এবং বিভিন্ন দেশের বিমানবন্দরে হয়রানির শিকার হন মুসলমানরা। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ শুরু হয়। সংস্কৃতি কর্মীরা এর প্রতিবাদ জানান। নোবেল বিজয়ী শিক্ষা অধিকারকর্মী থেকে শুরু করে বিভিন্ন দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রতিষ্ঠাতা, বুদ্ধিজীবী ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ট্রাম্পের এ নিষেধাজ্ঞাকে মুসলিমবিরোধী নিষেধাজ্ঞা হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। এ নিয়ে চলছে তুমুল সমালোচনা। যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্য ছাড়িয়ে ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বজুড়ে। 

সোনালীনিউজ/আতা

Wordbridge School

আন্তর্জাতিক বিভাগের আরো খবর

Link copied!