• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

জনপ্রিয়তায় বাঁশ-কাঠের অহিমায়িত সংরক্ষণাগার


ফরহাদুজ্জামান ফারুক, রংপুর এপ্রিল ৩০, ২০১৭, ০৩:২৮ পিএম
জনপ্রিয়তায় বাঁশ-কাঠের অহিমায়িত সংরক্ষণাগার

রংপুর: কিছুদিন আগেও সংরক্ষণের অভাবে রংপুর অঞ্চলে আলু যেন কৃষকের গলার কাটা হয়েছিলো। এখন সেই আলু নিয়ে ফুরফুরে মেজাজে আছেন তারা। কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের নতুন প্রযুক্তির সহায়তা বদলে দিয়েছে আলু সংরক্ষণের ধরণ। বাঁশ, কাঠ, টিন আর ইট সিমেন্টে তৈরি অহিমায়িত আলু সংরক্ষণাগার কৃষকের মনে স্বস্তি এনেছে।

দেশের অন্যতম আলু উৎপাদনকারী অঞ্চল রংপুর। প্রতি বছর এখানে উৎপাদন হয় প্রায় ৩৪ লাখ মেট্রিক টন আলু। কিন্তু বেসরকারিভাবে নির্মিত ৯৫টি হিমাগারের আলুর ধারণ ক্ষমতা মাত্র ১০ লাখ মেট্রিক টন। মৌসুমের শুরুতে আলু সংরক্ষণ করতে না পারায় কম দামে আলু বিক্রি করতে বাধ্য হন এই অঞ্চলের কৃষকরা। কিন্তু এখন আলু নিয়ে আর সেই চিন্তা করতে হচ্ছে না কৃষকদের।

নতুন পদ্ধতির অহিমায়িত সংরক্ষণাগার তৈরি করা যাবে মাত্র এক লাখ টাকায়। যার ধারণ ক্ষমতা ২৫ থেকে ৩০ মেট্রিক টন। আর এই সংরক্ষণাগারে আলু রাখা যাবে ৫ থেকে ৬ মাস।

কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে রংপুর বিভাগের নীলফামারী, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর ও রংপুরের ১৭টি উপজেলায় নির্মিত এই সংরক্ষণাগার এরই মধ্যে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। নতুন এই অহিমায়িত সংরক্ষণাগারের মাধ্যমে কম খরচে অধিক লাভবান হবেন কৃষকরা।

কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের জেলা মার্কেটিং কর্মকর্তা এএসএম হাসান সারওয়ার বলেন, রংপুর সদর উপজেলাসহ মিঠাপুকুর, কাউনিয়া, পীরগাছা, গঙ্গাচড়া, বদরগঞ্জ, ঠাকুরগাঁও সদর, পীরগঞ্জ, বালিয়াডাঙ্গি, রাণীশংকৈল, হরিপুর, নীলফামারী সদর, ডোমার, কিশোরগঞ্জ, দিনাজপুর সদর, বিরল ও বীরগঞ্জে একটি করে অহিমায়িত আলু সংরক্ষণাগার চালু করেছে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর। যার ধারণ ক্ষমতা ৩০ মেট্রিক টন। এতে আলু সংরক্ষণ করা যাবে অন্তত ৬ মাস।

কৃষকদের কম খরচে এমন সুব্যবস্থা লোকসানের হাত থেকে বাঁচাবে বলে মনে করছেন রংপুরের পীরগাছা উপজেলার অন্নদানগর ইউনিয়নের কৃষক নূর হোসেন। তিনি বলেন, এই সংরক্ষণাগার আমাদেরকে চিন্তামুক্ত করেছে। এখন আর আলু নিয়ে টেনশন হয় না। অল্প খরচে ভালোই সুবিধা পাচ্ছি অহিমায়িত সংরক্ষণাগার থেকে।

রংপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্ততরের উপ পরিচালক স ম আশরাফ আলী জানান, এ ধরনের হিমাগার নির্মাণের জন্য সুবিধাজনক উঁচু, খোলা এবং বসতবাড়ির ছায়াযুক্ত স্থান নির্ধারন করতে হবে। যেখানে থাকবে পর্যাপ্ত বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা।

তিনি বলেন, বর্তমানে অধিক আলু উৎপাদনকারী ১১টি জেলার ৪০টি অহিমায়িত সংরক্ষণাগার রয়েছে। দিন দিন নতুন এই অহিমায়িত সংরক্ষণাগার কৃষকের মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।


সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন

Wordbridge School
Link copied!