• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

জন্মদিনে মোদির শুভেচ্ছা পেলেন শচীন


ক্রীড়া ডেস্ক এপ্রিল ২৪, ২০১৭, ০৮:০০ পিএম
জন্মদিনে মোদির শুভেচ্ছা পেলেন শচীন

ঢাকা: আজ সেই ২৪ এপ্রিল। ১৯৭৩ সালের এই দিনে ভারতের মুম্বাইয়ে জন্মগ্রহণ করেছিলেন ক্রিকেটের জীবন্ত কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকার। সেই হিসেবে ৪৪ বছরে পা দিলেন লিটল মাস্টার। ক্রিকেটের এই মহাতারকার জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

টেন্ডুলকারকে শুভেচ্ছা জানিয়ে মোদি তার টুইটারে টুইট করেন, ‘জন্মদিনের অনেক শুভেচ্ছা ভারত রত্ন শ্রী শচীন টেন্ডুলকারকে।’

শুভেচ্ছা জানাতে ভুল করেন নি টেন্ডুলকারের ক্রিকেট জীবনের সতীর্থ-ভক্তরাও। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকসহ টুইটারে টেন্ডুলকারের বিভিন্ন ছবি-স্ট্যাটাস দিয়ে তাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান তারা।

ভারত ক্রিকেট দলের বর্তমান কোচ ও টেন্ডুলকারের একসময়ের সতীর্থ অনিল কুম্বলে টুইট করেন, ‘আমার দেখা বিশ্বের অন্যতম সেরা প্রেরণাদায়ক স্পোর্টসম্যান টেন্ডুলকার। আশা করি আগামী বছরগুলো আরও ভাল কাটবে তার।’

ভারতের সাবেক ওপেনার বিরেন্দার শেবাগ ছবি দিয়ে টুইট করেছেন, ‘টেন্ডুলকার এমন একজন মানুষ যিনি ভারতের সময়কে থামিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন। জন্মদিনের শুভেচ্ছা তোমাকে লিজেন্ড।’

আইপিএলে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের অধিনায়ক রোহিত শর্মা টুইট করেছেন, ‘জন্মদিনের অনেক শুভেচ্ছা। আজ ম্যাচ জিতে টেন্ডুলকারকে উপহার দিতে চাই।’

ব্যাট হাতে সেই স্কুল জীবন থেকেই নজর কেড়েছিলেন ভারতের ‘ব্যাটিং দেবতা’ শচীন। ১৯৮৯ সালের নভেম্বরে পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট ম্যাচের মধ্যদিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছিল শচীনের। এর পরের গল্পটা তো সবারই জানা। ক্রিকেট অভিধানের প্রায় সব রেকর্ডই নিজের নামের পাশে যোগ করে ‘লিটল মাস্টার’ উপাধিতে ভূষিত হয়েছেন।

ক্রিকেট ইতিহাসে গ্রেট গ্রেট ব্যাটসম্যানের অভাব নেই। যুগে যুগে ভিন্ন ভিন্ন তারকা ব্যাটসম্যানদের দেখেছে ক্রিকেট-বিশ্ব। কিন্তু শচীনের মত ব্যাটসম্যানের দেখা মিলেছে একবারই। ব্যাট-প্যাড তুলে রাখার ঘোষণা দেওয়ার আগে শচীন নিজেকে যে উচ্চতায় নিয়ে গেছেন অন্য ব্যাটসম্যানদের চোখে তা স্রেফ স্বপ্ন!

১৯৮৯ সালের নভেম্বরে অভিষেক হওয়ার পর থেকে অবসর নেওয়ার আগ পর্যন্ত টেস্ট শচীন খেলেছেন ২০০টি। যাতে ৫৩.৭৮ গড়ে রান করেছেন ১৫ হাজার ৯২১। ৫১টি শতক ও ৬৮টি অর্ধশতকে এই রান করেন লিটল মাস্টার। সর্বোচ্চ ২৪৮ রান। হাত ঘুরিয়ে উইকেটও নিয়েছেন ৪৬টি।

টেস্টের তুলনায় শচীনের ওয়ানডে ক্যারিয়ার ছিল আরও বর্ণাঢ্য। ক্যারিয়ারে একদিনের ম্যাচ খেলেছেন ৪৬৩টি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যা সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলার রেকর্ড। ৪৪.৮৩ গড়ে রান করেছেন ১৮ হাজার ৪২৬। ৪৯টি শতক ও ৯৬টি শর্ধশতকে এই রান করেছেন শচীন। ওয়ানডেতে প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি (২০০*) এসেছে তার ব্যাট থেকেই। ওয়ানডেতে বল হাতেও ছিলেন বেশ উজ্জ্বল। ক্যারিয়ারে তার ওয়ানডে উইকেটের সংখ্যা ১৫৬টি। টেস্ট ও ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ রান ও সর্বোচ্চ সেঞ্চুরিতে সবার অনেক ওপরে টেন্ডুলকার।

২০১২ সালের এশিয়া কাপে বাংলাদেশের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে একশ’ সেঞ্চুরির বিরল কীর্তি গড়েন শচীন। ক্রিকেট ইতিহাসে এই রেকর্ড কখনও ভাঙবে কিনা সন্দেহ!

ক্যারিয়ারে মোট ছয়টি বিশ্বকাপ খেলেছেন শচীন। তার সর্বশেষ বিশ্বকাপ অর্থাৎ ২০১১ সালে দেশের মাটিতে বিশ্বকাপ জিতে ক্যারিয়ারের প্রাপ্তির খাতাটা ষোল কলায় পূর্ণ করেন ভারতের ব্যাটিং কিংবদন্তি। ২০১২ সালে ওয়ানডে ও ২০১৩ সালে টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় জানান শচীন।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআই

Wordbridge School
Link copied!