• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

জন্মদিনে লন্ডনে খালেদা, নীরব বিএনপি


নিজস্ব প্রতিবেদক আগস্ট ১৪, ২০১৭, ০৮:৪৩ পিএম
জন্মদিনে লন্ডনে খালেদা, নীরব বিএনপি

ঢাকা: প্রতিবছর ঘটা করে দলীয় কর্মীরা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালন করলেও এবার কোন কর্মসূচী নেই তাদের। চিকিৎসার জন্য বর্তমানে লন্ডনে আছেন খালেদা জিয়া। ২০১৫ সালে জন্মদিন পালন করলেও গত বছর কেক কাটেননি তিনি। এবারও কোন প্রস্তুতি দেখা যায়নি বিএনপির কোন পর্যায়ে।

সোমবার(১৪ আগস্ট) সন্ধ্যা পর্যন্ত বিএনপি বা অঙ্গ সংগঠনের পক্ষ থেকে সেই রকম কোন কর্মসূচী নেয়ার কথা জানা যায়নি। প্রসঙ্গত, বিএনপি চেয়ারপারসন ১৫ আগস্ট তার জন্মদিন পালন করেন। তবে, এই দিনে জন্মদিন পালন করা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে বেশ সমালোচনা রয়েছে খালেদার বিরুদ্ধে। 

এ বিষয়ে দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ম্যাডাম চিকিৎসার জন্য লন্ডনে আছেন। এজন্য ম্যাডামের জন্মদিনে বিএনপির কোনো কর্মসূচি নেই। বিএনপির সহযোগী সংগঠনগুলো চেয়ারপারসনের সুস্থতা কামনায় মঙ্গলবার দোয়া মাহফিল করতে পারে। 

লন্ডনে ছেলে তারেক রহমানের বাড়িতে আছেন খালেদা। গত ৮ আগস্ট পূর্ব লন্ডনের মুরফিন্ড চক্ষু হাসপাতালে তার ডান চোখের অস্ত্রোপচার হয়। রিজভী বলেন, ম্যাডামের চোখের ব্যান্ডেজ এখনও খোলা হয়নি। ২/৩ দিনের মধ্যে ব্যান্ডেজ খোলা হবে। তিনি চিকিৎসকদের সার্বিক তত্ত্বাবধানে সুস্থ আছেন।

২০১৫ সালে জন্মদিন উদযাপন করলেও গত বছর বন্যা, গুলশান হামলা, গুম-খুনকে কারণ দেখিয়ে কেক কাটার কর্মসূচি বাতিল করেছিলেন খালেদা। বিএনপির ভাষ্য অনুযায়ী, খালেদা জিয়া মঙ্গলবার ৭৩  বছরে পা রাখছেন।

গত দুই যুগ ধরে ১৫ আগস্ট তিনি জন্মদিন উদযাপন করছেন।  খালেদা জিয়ার জন্ম ১৯৪৬ সালে বলে তার নতুন করা পাসপোর্টে লেখা রয়েছে। বাংলাপিডিয়াসহ খালেদা জিয়ার জীবনীর উপর রচিত কয়েকটি গ্রন্থে তার জন্ম বছর ১৯৪৫ সাল দেখানো হয়েছে।

খালেদার বাবা এস্কান্দার মজুমদারের বাড়ি ফেনী হলেও তিনি দিনাজপুরে ঠিকানা নিয়েছিলেন। খালেদার জন্মও সেখানে। তার মায়ের নাম তৈয়বা মজুমদার। সেনা কর্মকর্তা থাকা অবস্থায় জিয়াউর রহমানের সঙ্গে ১৯৬০ সালে খালেদার বিয়ে হয়। পঁচাত্তরে পটপরিবর্তনের পর প্রথমে সামরিক আইন প্রশাসক এবং পরে রাষ্ট্রপতি হন জিয়াউর রহমান।

১৯৮১ সালে ৩০ মে রাষ্ট্রপতি থাকা অবস্থায় জিয়া নিহত হলে রাজনীতিতে পা রাখেন খালেদা। প্রথমে দলের ভাইস চেয়ারম্যান এবং তিন বছর পর চেয়ারপারসন হন তিনি। এরশাদবিরোধী আন্দোলনে খালেদা জিয়া বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলেন, ‘ক্যান্টনমেন্টে জন্ম নেওয়া দল’ বিএনপির জনভিত্তি তৈরি করে দেন খালেদাই।

১৯৯১ সালে সংসদ নির্বাচনে বিএনপি বিজয়ী হলে বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হন খালেদা। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির বিতর্কিত নির্বাচনের পর কয়েক দিনের জন্য প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তিনি। ২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট জয়ী হলে পুনরায় প্রধানমন্ত্রী হন খালেদা জিয়া। ২০০৮ সালের নির্বাচনে হারের পর সংসদে বিরোধীদলীয় নেতার দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

দশম সংসদ নির্বাচন বর্জনের পর এখন সংসদের বাইরে থাকলেও রাজনীতিতে তার গুরুত্ব কমতে দেখা যায়নি।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/আতা

Wordbridge School
Link copied!