• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

জন্মভূমিতে ফিরতে চান রোহিঙ্গারা


কক্সবাজার প্রতিনিধি সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৭, ০৩:০৫ পিএম
জন্মভূমিতে ফিরতে চান রোহিঙ্গারা

কক্সবাজার: মৃত্যু উপত্যকা ও নির্মমতার জনপদ মিয়ানমারের রাখাইন থেকে বার বার বিতাড়িত হওয়ার পরও সেই আবাস স্থলেই ফিরে যেতে চান রোহিঙ্গারা।

জন্মভূমির অধিকার ফিরে পাওয়ার ডাক পৌঁছাতে চান বিশ্ব দরবারে। পালিয়ে আসার সময় সেনাবাহিনীর গুলিতে আহত ও বাড়ি ঘরে লাগিয়ে দেয়া আগুনে দগ্ধ রোহিঙ্গারা জানালেন এমন আকুতি।

রোহিঙ্গারা বলেন, ‘আমাদের সহায়-সম্পত্তি সব বার্মাতে, আমাদের সরকারের কাছে আমরা রোহিঙ্গা হিসেবে স্বীকৃতি চাই। আমাদের দেশে শান্তি আসলে এবং রোহিঙ্গা হিসেবে স্বীকৃতি দিলে আমরা বার্মায় ফিরে যেতে চাই।’

মিয়ানমার সেনাবাহিনী হত্যাযজ্ঞের শিকার এক কাপড়ে দেশ ছাড়ার পরও রোহিঙ্গারা জানালেন নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার আকুতি। এখনও চোখেমুখে রয়ে গেছে ভয় আর আতঙ্কের ছাপ। ফেলে আসা ভয়াবহ দু:সহ স্মৃতি তাড়া করে ফিরছে প্রতিনিয়ত তাদের। তারা তাদের দেশে অধিকার ফিরে পেতে চায়।

এক রোহিঙ্গা বলেন, আমরা রোহিঙ্গা। আমার কাছে সব সম্পত্তির দলিলপত্র রয়েছে।

চোখের সামনে দেখেছে প্রিয়জনের গলাকাটা লাশ আর জীবন্ত দগ্ধ হতে। দেখেছে তিলে তিলে গড়ে তোলা শেষ সম্বল বাপদাদার ভিটেবাড়ি পুড়িয়ে দেয়ার দৃশ্যও। তারপরও নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখছে তারা।

রোহিঙ্গারা বলেন, বার্মায় শান্তি আসলে আমরা ফিরে যেতে চাই।

এদিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও চিকিৎসা শেষে আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর মাধ্যমে শুরু করেছে তাদের পাঠানোর প্রক্রিয়া। এ পর্যন্ত ১০২ জনের মধ্যে ১৫ জনকে ছাড়পত্র দিয়েছে তারা।

চমেক পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ জালাল উদ্দীন বলেন, আমাদের কাছে চিকিৎসা দেয়া শেষ হলে আমরা ছাড়পত্র দিব। এরপর পুলিশদের জানাবো। পুলিশ তাদের হেফাজতে তাদের রেখে পরবর্তীতে যা করার করবে।

চমেক পুলিশ ফাঁড়ি অফিসার ইনচার্জ জহিরুল হক বলেন, এ পর্যন্ত ১৫ জনকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। আমাদের সহায়তায় তাদের কুতুপালং ক্যাম্পে পৌঁছে দেয়া হচ্ছে।

বার বার দেশ থেকে বিতাড়নের পর ২০১৪ সালে দুই দেশের সচিব পর্যায়ে বৈঠকের পর দুই হাজার ৪১৫ জন রোহিঙ্গাকে ফেরত নেয়ার সিদ্ধান্ত হলেও তা আলোর মুখ দেখেনি।


সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন

Wordbridge School
Link copied!