• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

জবানবন্দি দিতে আদালতের পথে ফরহাদ মজহার


বিশেষ প্রতিনিধি জুলাই ৪, ২০১৭, ০২:১৭ পিএম
জবানবন্দি দিতে আদালতের পথে ফরহাদ মজহার

ঢাকা : রাজধানীর নিজের বাসার নিচ থেকে কথিত অপহরণের ১৯ ঘণ্টা পর যশোরে উদ্ধার হওয়া কবি ও প্রাবন্ধিক ফরহাদ মজহারকে আদালতে তোলা হচ্ছে। ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিতে তাকে সেখানে নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

এর আগে মঙ্গলবার (৪ জুলাই) ঢাকায় নিয়ে আসার পর আদাবর থানা হয়ে মিন্টো রোডে গোয়েন্দা কার্যালয়ে নেয়া হয় ফরহাদ মজহারকে। সেখানে জিজ্ঞাসাবদ করা হয় তাকে। এরপর তাকে আদালতে পাঠানোর কথা ব্রিফিং করে জানায় পুলিশ। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার আবদুল বাতেন এই সংবাদ সম্মেলন করেন।

সোমবার (৩ জুলাই) ভোরে শ্যামলীর নিজবাসা থেকে ডেকে নিয়ে ফরহাদ মজহারকে তুলে নেয়া হয় বলে অভিযোগ করেন তার স্বজনরা। আর মোবাইল ট্র্যাকিং করে তার অবস্থান শনাক্ত করার চেষ্টা করতে থাকে পুলিশ। দিনভর অভিযানের পর রাতে খুলনা থেকে ঢাকায় আসার পথে যশোরের অভয়নগরে একটি বাস থেকে উদ্ধার করা হয় ফরহাদ মজহারকে।

রাতেই যশোরের অভয়নগর থেকে উদ্ধারের পর সকাল ৯টার দিকে তাকে ঢাকায় আদাবর থানায় নেয়া হয়। সেখানে তাকে দেখতে যান ‘স্ত্রী’ ফরিদা আখতারসহ পরিবারের লোকজন।

ফরহাদকে উদ্ধারের পর পুলিশ জানিয়েছে, তাকে অপহরণ করা হয়নি, গোটা ঘটনাটিকে নাটক বলেও মনে করছেন তারা। ফরহাদ স্বেচ্ছায় বাড়ি ছেড়েছিলেন বলেও জানিয়েছেন খুলনা পুলিশের ডিআইজি দিদার আহমেদ।

সোমবার (৩ জুলাই) রাত সাড়ে ১১টার দিকে অভয়নগর পুলিশ নওয়াপাড়ায় ঢাকাগামী হানিফ পরিবহনের একটি বাস থেকে তাকে উদ্ধার করে। তিনি ওই বাসে আই-থ্রি সিটের যাত্রী ছিলেন। হানিফ পরিবহনের সুপারভাইজার জানিয়েছেন টিকিটে ফরহাদ মজহারের নাম লেখা ছিল ‘মিস্টার গফুর’।

নওয়াপাড়া থেকে তাকে খুলনা নিয়ে যায় র্যাব-৬। রাত দেড়টার দিকে ফরহাদ মজহারকে ঢাকার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হলে সকালে তাকে নিয়ে ঢাকায় পৌঁছেন তারা।

বামপন্থী হিসেবে নিজের পরিচয় দিলেও ফরহাদ মজহার ইদানীং তার বেশ কিছু বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য আলোচিত-সমালোচিত হয়েছেন। নিজে ধর্মচর্চা না করলেও তিনি ধর্মভিত্তিক সংগঠন হেফাজতে ইসলামের একটি সমর্থক। ইসলামী সমাজ ব্যবস্থার পক্ষে লেখালেখির কারণে হেফাজতের মধ্যে তার জনপ্রিয়তাও রয়েছে।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে গড়ে উঠা আন্দোলন গণজাগরণ মঞ্চের কট্টর সমালোচকদের একজন ফরহাদ মজহার। বিএনপি-জামায়াতের মধ্যে তার জনপ্রিয়তা আছে। নানা সংকটকালীন সময়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া তাকে ডেকে নিয়ে পরামর্শ নিয়েছেন।

বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে জেএমবি বোমাবাজি শুরু করার পর তাদের পক্ষে বক্তব্য দিয়ে সমালোচিত হন ফরহাদ। তিনি সে সময় বলেছিলেন, জেএমবির বোমাবাজরা সন্ত্রাসী হলে মুক্তিযোদ্ধারাও সন্ত্রাসী।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে বিএনপি-জামায়াত জোটের আন্দোলনের সময় একাত্তর টেলিভিশনের সাংবাদিকদের ওপর বোমা হামলার পর তিনি এর পক্ষে অবস্থান নিয়েও যথেষ্ট সমালোচিত হয়েছিলেন।

সোনালীনিউজ/জেডআরসি/এমটিআই

 

Wordbridge School
Link copied!