• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

জবিতে ভর্তি বাণিজ্যে আটক ৬, জড়িত ছাত্রলীগ


জবি প্রতিনিধি মার্চ ১২, ২০১৮, ০৩:৫২ পিএম
জবিতে ভর্তি বাণিজ্যে আটক ৬, জড়িত ছাত্রলীগ

জবি : জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) ভর্তি জালিয়াতিচক্রের মোট ছয়জনের নামে মামলা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। দুই দফায় কোতয়ালী থানায় তাদের নামে মামলা করে মোট ছয়জনকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা  হলেন- এলিন শেখ, কামাল আহমেদ, মো. আশিকুর রহমান, মো. রাজু আহমেদ,আলমাস আকাশ, আব্দুল্লাহ আল নোমান। এলিন শেখ এবং কামাল আহমেদ ভূমি ব্যবস্থাপনা (ল্যান্ড-ল অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট) বিভাগের, আশিকুর রহমান রাষ্ট্রবিজ্ঞান, রাজু আহমেদ লোক প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী, মো. অরিফ আলমাস আকাশ সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের ও ২০১৫-১৬ সেশনের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল নোমান।

ভর্তি পরীক্ষায় প্রক্সির মাধ্যমে জালিয়াতি প্রমাণিত হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিস্ট্রার মো. সাইদুর রহমান বাদী হয়ে পাবলিক পরীক্ষা আইনে মামলা করে তাদেরকে পুলিশে সোপর্দ করেন। জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃত শিক্ষার্থীরা জালিয়াতিচক্রের সদস্যদের নাম জানান। এ চক্রের সদস্যরা হলেন- সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৫-১৬ সেশনের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল নোমান, সাইফুল ইসলাম এবং আকিব বিন বারী। অভিযুক্ত আকিব বিন বারী জবি ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। তিনি ২০১৫ সালে জবির ভর্তি জালিয়াতিতে অভিযুক্ত হয়ে সাজাপ্রাপ্ত হন। ছাত্রলীগ কর্মি সাইফুল ও ছাত্রলীগ নেতা আকিব বিন বারী এখনো আটক হননি।

জানা যায় আটককৃত সব শিক্ষার্থীদের স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে এবং ইতিমধ্যে চারজনকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে জবি শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক আকিব বিন বারীকে। আটককৃত শিক্ষার্থীরা সবাই ক্লাস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছিল। আইডি কার্ড করার সময় তাদের জালিয়াতি ধরা পরে এবং আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা দোষ স্বীকার করে এবং মূল হোতাদের নাম বেরিয়ে আসে। একেক জনের কাছ থেকে দেড় লাখ টাকা থেকে সারে তিন লাখ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হয়। অভিযুক্ত আকিব বিন বারী প্রতিদিনের সংবাদকে বলেন, ‘আমি এই বিষয়ে কোনোভাবেই জড়িত নই, আমাকে রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করা হচ্ছে, আমি অভিভাবকহীন রাজনীতি করছিলাম। পূর্বের ঘটনার জেরে আমাকে এবার ফাঁসানো হয়েছে। আমি যে টাকা নিয়েছি তার প্রমান কেউ দিতে পারেনি।’  

আকিব বিন বারীর বিষয়ে জবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ জয়নুল আবেদীন রাসেল  বলেন, ‘ইতিপূর্বেও তার বিরুদ্ধে ভর্তি জালিয়াতের অভিযোগ ছিল এবং সাজাপ্রাপ্ত হয়েছিল। তাকে ছাত্রলীগ থেকেও বহিষ্কার করা হয়েছে ।’ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসাইন বলেন, ‘ছাত্রলীগে অপরাধীদের কোনো জায়গা নেই। শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সুপারিশের প্রেক্ষিতে আকিব বিন বারিকে বহিষ্কার করা হয়েছে।’ উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেন, ‘জালিয়াতি করে পার পাওয়ার সুযোগ নেই। গত ২ বছর ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের সব তথ্য আবার চেক করা হচ্ছে। যে কোনো পর্যায়ে জালিয়াতি ধরা পড়লে ছাত্রত্ব বাতিল হবে এবং আইনানুগ শাস্তির ব্যবস্থা নেয়া হবে। আগামীতে এইচএসসি শিক্ষাবোর্ডের কাছ থেকে শিক্ষার্থীদের সব তথ্য এবং ছবি নেয়া হবে।’

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআরসি/এইচএআর

Wordbridge School
Link copied!