• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

জাকির নায়েক কোথায়?


আন্তর্জাতিক ডেস্ক এপ্রিল ১৫, ২০১৭, ১২:৫৪ পিএম
জাকির নায়েক কোথায়?

ঢাকা: তরুণদের জঙ্গিবাদে উসকানি দেয়ার অভিযোগের মুখে থাকা ভারতের বিতর্কিত টিভি বক্তা জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে সেদেশের একটি আদালত।

মুদ্রা পাচারের এক মামলায় বারবার তলবের পরও হাজির না হওয়ায় বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) ওই পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। পরোয়ানাটি অজামিনযোগ্য।

পিস টিভিতে উগ্রবাদী বক্তব্য প্রচারসহ মুদ্রা পাচারের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পর সে বিষয়ে তদন্ত শুরু হলে সৌদি আরবে চলে যান জাকির নায়েক। এরপর আর ভারতে ফেরেননি। তবে শনিবার পর্যন্ত জাকির নায়েক গ্রেপ্তার হননি।

ভারতের গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারির পর বিচারিক কার্যক্রমে সহায়তার অনুরোধ জানিয়ে সৌদি আরবে চিঠি পাঠাবে ভারত। দেশটির অর্থ মন্ত্রণালয়ের রাজস্ব বিভাগের এনফোর্সমেন্ট অধিদপ্তর এজন্য আদালত থেকে অনুরোধপত্র জোগাড় করার চেষ্টা করছে।

গেল বছরের জুলাইয়ে ঢাকার গুলশানে জঙ্গি হামলায় জড়িতদের মধ্যে অন্তত দুজন জাকির নায়েকের মতো ইসলামী বক্তাদের অনুসরণ করতেন বলে অভিযোগ ওঠে। এরপর থেকে নতুন করে আলোচনায় আসেন মহারাষ্ট্রে জন্ম নেয়া জাকির নায়েক।

উগ্রবাদ প্রচারের অভিযোগে ভারতের পাশাপাশি বাংলাদেশে নিষিদ্ধ হওয়া পিস টিভির কার্যক্রম চলে জাকির নায়েকের প্রতিষ্ঠিত বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশন-আইআরএফ এর তত্ত্বাবধানে।

এনফোর্সমেন্ট অধিদপ্তরের বরাত দিয়ে ভারতের গণমাধ্যম জানিয়েছে, আইআরএফ ও জাকির নায়েকের পরিবারের সদস্যদের অ্যাকাউন্টে ‘অবৈধভাবে আসা’ ২০০ কোটি রুপি লেনদেনের তথ্য পাওয়া যায়। নায়েক বিভিন্ন ভুয়া কোম্পানি খুলে তার মাধ্যমে ওই এনজিওর অ্যাকাউন্ট থেকে অর্থ স্থানান্তর করতেন বলে ভারতীয় কর্মকর্তাদের সন্দেহ। এসব বিষয় অনুসন্ধানে উঠে আসার পর গত ডিসেম্বরে নায়কের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। জানুয়ারিতে তার নামে জারি হয় সমন। এরপর আরও তিনবার সমন জারি হলেও আদালতে যাননি তিনি।

জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে উগ্রবাদ প্রচারের অভিযোগেরও তদন্ত করছে ভারতের জাতীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ)। ওই অভিযোগে এনআইএ-এর তলবেও সাড়া দেননি বিতর্কিত এই বক্তা।

চিকিৎসা শাস্ত্রে লেখাপড়া করা নায়েক বিভিন্ন সময়ে ইসলাম ধর্ম, জঙ্গিবাদ, জিহাদ নিয়ে বক্তব্যের জন্য বিতর্কিত হয়েছেন; নিষিদ্ধ হয়েছেন বিভিন্ন দেশে।

সোনালীনিউজ/এন

Wordbridge School
Link copied!