• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আসছে!


আন্তর্জাতিক ডেস্ক জুলাই ১০, ২০১৬, ০৫:৩১ পিএম
জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আসছে!

সন্ত্রাসবাদ নিয়ে ডা. জাকির নায়েকের বিতর্কিত মন্তব্যে ইতোমধ্যে কঠোর হয়েছে ভারত সরকার। এ নিয়ে তদন্ত করতে দেশটির জাতীয় গোয়েন্দা এজেন্সি, গোয়েন্দা ব্যুরো এবং অন্যান্য এজেন্সি থেকে ৯টি টিম গঠন করা হয়েছে। এই টিমগুলোকে জাকির নায়েকের কর্মকাণ্ড তদন্ত করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে বিশেষ টিমগুলো তার প্রত্যেকটি উদ্ধৃতি সম্বলিত ফুটেজ স্ক্যান করে দেখবে।

ভারতের একাধিক সূত্র টাইমস অব ইন্ডিয়াকে জানিয়েছে, ৪টি টিমকে ফুটেজ ও সিডি স্ক্যান করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ৩টি টিমকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ঘাটতে বলা হয়েছে। আর ২টি টিমকে নায়েকের ফেসবুক পোস্ট পর্যবেক্ষণ করতে বলা হয়েছে।

প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে, জাকির নায়েকের বক্তব্য ও লেখা অসন্তোষজনক ও আপত্তিকর। একইসঙ্গে তার ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশনের কর্মকাণ্ডও সন্দেহজনক।

আরও দেখা গেছে, তার দাতব্য প্রতিষ্ঠানে আসা অর্থ অপব্যবহার হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ অর্থায়নের বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে।

খবরে বলা হয়, জাকির নায়েকের ফোনোকল, ইমেইল, তার বিদেশ ভ্রমণ ও বৈঠকে অংশ নেওয়ার জন্য স্পন্সর সবকিছুই এখন ভারতের গোয়েন্দা সংস্থার নজরদারিতে আনা হয়েছে। সূত্রগুলো জানিয়েছে, জাকির নায়েক শিগগির নিষিদ্ধ হতে পারেন।

সম্প্রতি ঢাকার গুলশানে সন্ত্রাসী হামলায় অংশগ্রহণকারীরা জাকির নায়েকের ভাষণ থেকে উদ্বুদ্ধ হয়েছিল বলে ফেসবুক ও টুইটারে তথ্য উঠে আসে। এরপরই নড়েচড়ে বসে বাংলাদেশ ও ভারতের প্রশাসন।

ভারতে চ্যানেলটির লাইসেন্স (অনুমতিপত্র) নেই। তারপরও ক্যাবল অপারেটরদের দিয়ে চ্যানেলটির সম্প্রচার হয়। গত শুক্রবার এক বৈঠকে দেশটির প্রশাসন এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সিদ্ধান্ত মতে, এখন থেকে কোনো ক্যাবল অপারেটর এই টিভির সম্প্রচার করতে পারবেন না। আইনের কোনো ধরনের ব্যত্যয় ঘটলে তাকে শাস্তির আওতায় আনা হবে।

একই ধরনের সিদ্ধান্ত নেয়া হলো বাংলাদেশেও। দেশে পিস টিভির সম্প্রচার বন্ধের সিদ্ধান্ত নিল সরকার।

পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ব্রিটেন, কানাডা ও মালয়েশিয়ায় জাকির নায়েক নিষিদ্ধ। কিন্তু ইকোনমিক টাইমসে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, জাকির নায়েকের দাবি, একমাত্র যে দেশে আমার প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আছে সেটি হলো যুক্তরাজ্য। এর বাইরে অন্য কোনো দেশ আমাকে অফিসিয়ালি নিষিদ্ধ করেছে বলে আমার কাছে কোনও প্রমাণ নেই। মালয়েশিয়া হওয়ার প্রশ্নই আসে না। কারণ তিন বছর আগে আমি সে দেশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা কিং ফয়সাল ইন্টারন্যাশনাল প্রাইজ এবং টোকোহ মল হিজরাত পুরস্কার পেয়েছি।

তিনি বলেন, গত ২৫ বছরে আমি চতুর্থ বিদেশি ব্যক্তি যাকে এই পুরস্কার দেয়া হয়েছে। তারা কি এমন কাউকে সম্মাননা জানাবে যে সন্ত্রাসে মদদ দেয়? ভারতের মিডিয়া বাংলাদেশের মিডিয়া রিপোর্ট যাচাই না করেই প্রচার করছে। মালয়েশিয়া আমাকে নিষিদ্ধ করেছে এমন কথার কোনও ভিত্তি নেই। 

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআরসি

Wordbridge School
Link copied!