জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন ঘূর্ণিঝড় ম্যাথিউয়ের আঘাতে বিধ্বস্ত হাইতির এলাকাগুলো পরিদর্শনের সময় সেখানে ত্রাণবাহী ট্রাক লুটের ঘটনা ঘটেছে। বিবিসির খবরে বলা হয়, বান কি মুন জানিয়েছেন, হাইতির লেস কেয়িসে একটি লুটের ঘটনা প্রত্যক্ষ করেছেন তিনি।
এখানে দেয়া এক ভাষণে হাইতির জনগণের জন্য আরো ত্রাণ দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব। এছাড়া হাইতিকে আরো ত্রাণ সহায়তা দেয়ার জন্য ধনী দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন মুন।
দেশটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, হাইতিতে ১৪ লাখেরও বেশি মানুষকে জরুরি ভিত্তিতে ত্রাণ সহায়তা দেয়া দরকার।
ঘূর্ণিঝড় ম্যাথিউয়ের আঘাতে বিধ্বস্ত হাইতির এলাকাগুলোতে কলেরা মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে দক্ষিণ-পশ্চিমের এলাকাগুলোতে কলেরা বৃদ্ধি পেয়ে বেশ কয়েকজন মারা গেছেন বলে খবর প্রকাশিত হয়েছে।
২০১০ এর প্রাণঘাতী ভূমিকম্পের পর জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীর নেপালি সেনাদের মাধ্যমে পানিবাহিত এই রোগটি দ্বীপদেশ হাইতিতে ছড়িয়ে পড়ে, তখন প্রায় ১০ হাজার লোক মারা যায়।
ঘূর্ণিঝড় ম্যাথিউয়ের আঘাতে দেশটির ফসল ও পানি সরবরাহ ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় অনেক পরিবার সীমাহীন দুর্গতির মধ্যে দিন পার করছে। এসব পরিবারে কোনো ধরনের সহায়তা না পৌঁছায় উত্তেজনা ক্রমেই বেড়ে চলেছে।
শনিবার (১৫ অক্টোবর) লেস কেয়িসে প্রায় ১০০ জন উত্তেজিত লোক মানবিক ত্রাণবাহী ট্রাক বহরে হামলা চালিয়ে লুটপাট করে। হাইতির পুলিশ ও জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীরা কাঁদুনে গ্যাস নিক্ষেপ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে।
দেশটিতে দেয়া ভাষণে জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, “জরুরি ত্রাণের অপেক্ষায় থাকা লোকজনের ক্ষোভ ও ধৈর্যহীনতা বুঝতে পারছি আমরা। যত দ্রুত সম্ভব এসব সহায়তা নিয়ে আসার চেষ্টা করছি আমরা।”
হাইতির প্রধানমন্ত্রী অ্যানেক্স জ্যঁ চার্লসকে সঙ্গে নিয়ে বান কি মুন হেলিকপ্টারে দুর্গত এলাকা ঘুরে দেখেন।
তিনি বলেন, “সবকিছু ধ্বংস হয়ে গেছে দেখে আমি খুবই দুঃখিত। কিন্তু বিশ্বের লোকজন আপনাদের পাশে দাঁড়াবে।”
গত ৪ অক্টোবর ঘন্টায় ২৩০ কিলোমিটার বাতাসের বেগ নিয়ে হাইতির ওপর দিয়ে ঘূর্ণিঝড় ম্যাথিউ বয়ে যায়, এতে প্রায় এক হাজার লোক নিহত হওয়া ছাড়াও এক লাখ ২০ হাজার বাড়ি সম্পূর্ণ ধ্বংস বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সূত্র : বিবিসি
সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইচএম
আপনার মতামত লিখুন :