• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

জানাজার পর নিহতের প্রতি শ্রদ্ধা


নিজস্ব প্রতিবেদক মার্চ ১৯, ২০১৮, ০৫:৩৩ পিএম
জানাজার পর নিহতের প্রতি শ্রদ্ধা

ঢাকা: নেপালের কাঠমান্ডুতে ইউএস-বাংলার উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় নিহত ২৩ জনের জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। সোমবার (১৯ মার্চ) রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়ামে জানাজার ইমামতি করেন সেনাবাহিনীর কেন্দ্রীয় মসজিদের ইমাম মাওলানা মো. মাহমুদুল হক। সেখানে উপস্থিত ছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী শাহজাহান কামাল ও নৌবাহিনীর প্রধান এয়ার মার্শাল আবু এসরার বিবিপি, এনডিসি, এসিএসসি, জিডি(পি) ও সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা ও নিহতদের স্বজনরা।

এর আগে সোমবার বিকেল ৩টা ৫৫ মিনিটে মরদেহগুলো নিয়ে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি কার্গো বিমান। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ১ নম্বর ভিভিআইপি টারমাকে অবতরণ করে মরদেহবাহী ৬১-২৬৪০ নম্বর বিমানটি। এর পর ২৩ জনের মরদেহের কফিন ১৯টি মরদেহবাহী ফ্রিজিং গাড়িতে করে বিকেল ৪টা ৫০ মিনিটে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়ে যায়। বিকেল ৫টায় আর্মি স্টেডিয়ামে পৌঁছায়।

মরদেহ আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তার সঙ্গে ছিলেন বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী শাহজাহান কামাল।

জানাজা শেষে রাষ্ট্রপতির পক্ষে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব, প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে ওবায়দুল কাদের এবং স্পিকার শ্রদ্ধা জানান। এরপর মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

যাদের মরদেহ আনা হয়েছে- আঁখি মনি, বেগম নুরুন্নাহার, শারমিন আক্তার, নাজিয়া আফরিন, এফএইচ প্রিয়ক, উম্মে সালমা, বিলকিস আরা, আখতারা বেগম, মো. রকিবুল হাসান, মো. হাসান ইমাম, মিনহাজ বিন নাসির, তামারা প্রিয়ন্ময়ী, মো. মতিউর রহমান, এস এম মাহমুদুর রহমান, তাহারা তানভীন শশী রেজা, অনিরুদ্ধ জামান, রফিক উজ জামান, পাইলট আবিদ সুলতান, কো-পাইলট পৃথুলা রশিদ, খাজা সাইফুল্লাহ, ফয়সাল, সানজিদা ও নুরুজ্জামান।

এখনও তিন বাংলাদেশির মরদেহ শনাক্ত হয়নি। তারা হলেন- নজরুল ইসলাম, পিয়াস রয় ও আলিফুজ্জামান। ডিএনএ পরীক্ষার পর তাদের মরদেহ শনাক্ত করা হবে বলে জানা গেছে। তাদের মরদেহ শনাক্তের পর দেশে আনা হবে।

গত ১২ মার্চ (সোমবার) ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট বিএস-২১১ নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দুর্ঘটনায় পতিত হয়। ৬৭ যাত্রী ও চার ক্রুসহ দুপুর ২টা ২০ মিনিটে বিমানটি বিমানবন্দরের পাশের একটি ফুটবল মাঠে বিধ্বস্ত হয়। এতে ৫১ যাত্রীর প্রাণহানি ঘটে। এর মধ্যে ২৬ বাংলাদেশি নিহত ও ১০ বাংলাদেশি আহত হন। 

বিমানটিতে মোট ৬৭ যাত্রীর মধ্যে বাংলাদেশি ৩২ জন, নেপালি ৩৩ জন, একজন মালদ্বীপের ও একজন চীনের নাগরিক ছিলেন। তাদের মধ্যে পুরুষ যাত্রীর সংখ্যা ছিল ৩৭, নারী ২৮ ও দুজন শিশু ছিল।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এআই

Wordbridge School
Link copied!