• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
আন্দোলন করায় শিক্ষার্থীদের

জাবি শিক্ষকের হুমকি ‘আমি দেখে নিবো’


শাহাদাত হোসাই স্বাধীন, জাবি সেপ্টেম্বর ৯, ২০১৮, ১১:১০ এএম
জাবি শিক্ষকের হুমকি ‘আমি দেখে নিবো’

জাবি: বিশেষ পরীক্ষা দিতে চাওয়ার দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যববসায় অনুষদের ডিন নীলাঞ্জন সাহার বিরুদ্ধে।

জানা যায়- শনিবার সায়মা ইকবাল নামে এক শিক্ষার্থীকে বিশেষ পরীক্ষা দিতে অস্বীকৃতি জানানোর প্রতিবাদে ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ ভবন অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা। শনিবার সকাল সাড়ে আটটা থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতিশীল ছাত্রজোট ও জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের নেতাকর্মীরা এই কর্মসূচি পালন করেন।

এই আন্দোলনে ব্যবসায় অনুষদের ডিন হুমকি প্রদান করেছেন বলে অভিযোগ করেন আন্দোলনকারীরা। সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক মোঃ দিদার বলেন আন্দোলন করায় ডিন মহোদয় আমাদের বলেন, “আন্দোলনকারীদের আমি দেখে নিবো।”

তবে ব্যবসায় অনুষদের ডিন নীলাঞ্জন সাহা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তাদের বলেছি তোমরা লক (অবরোধ) করলে করো আমরা আমাদের মত দেখছি কি করা যায়।

এদিকে শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের এক শিক্ষার্থীর বিশেষ পরীক্ষা নিতে রাজি হয়েছে বিভাগ। শনিবার ডিন অনুষদের অফিসে এক সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়। এর আগে অবরোধের মুখে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে দুপুর একটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম বিভাগের শিক্ষকদের নিয়ে বিশেষ সভা ডাকেন।

সভায় উপাচার্য সমস্যা সমাধানের সুপারিশ করেন। এরপর ডিন অফিসে অনুষ্ঠিত আরেকটি সভায় শেষ বিশেষ পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ হিসেবে এবারের মতো সায়মা ইকবালকে পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ প্রদানের অঙ্গীকার করে বিভাগ।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৪তম ব্যাচের (২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষ) ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষার্থী সায়মা ইকবাল। তিনি দ্বিতীয় বর্ষের প্রথম পর্বের একটি কোর্সের চূড়ান্ত পরীক্ষায় পরপর দুইবার অকৃতকার্য হন। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী, বিশেষ পরীক্ষার অনুমতির জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর আবেদন করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সুপারিশক্রমে উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. আইয়ুব আলী স্বাক্ষরিত একটি বিজ্ঞপ্তিতে সায়েমা ইকবালের ওই কোর্সের বিশেষ পরীক্ষা গ্রহণের অনুমতি দেয়া হয়। অনুমতি পাওয়ার পর ছয় মাস পেরিয়ে গেলেও সেই কোর্সের বিশেষ পরীক্ষা নেয়নি বিভাগ।


সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন

Wordbridge School
Link copied!