• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

জাবির মীর মোশাররফ হোসেন হলে গোখরা সাপ !!


জাবি প্রতিনিধি জুলাই ২৯, ২০১৭, ০৭:৪১ পিএম
জাবির মীর মোশাররফ হোসেন হলে গোখরা সাপ !!

ঢাকা: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন হলে বেশ কয়েকদিন ধরে সাপের উপদ্রবে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে শিক্ষার্থী। প্রতিদিন হলের কোনো না কোনো অংশে সাপ দেখা যাচ্ছে। শনিবার (২৯ জুলাই) হলের বি ব্লকের পাইপ থেকে উদ্ধার করা হয় ২টি গোখরা। 

জানা যায়, দুপুর ১১ টার দিকে হলের আঙিনায় সাপ দেখে আতঙ্কিত শিক্ষার্থীরা উপাচার্য ড. ফারজানা ইসলামকে ফোন দেন। পরে উপাচার্য বন্য প্রাণী গবেষক ও জীববিজ্ঞানের অধ্যাপক ড. প্রাণীবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মো. কামরুল হাসানকে জানালে তিনি এসে সাপ ২টি উদ্ধার করেন। 

ড. কামরুল হাসান বলেন, ২টি সাপই গোখরা সাপের বাচ্চা, যার বয়স ১ সপ্তাহের বেশী হবে না।  যেহেতু বাচ্চা পাওয়া গেছে তার মানে আশেপাশে কোথায় সাপের বাসা আছে। বৃষ্টি হওয়ার কারণে সাপের বাচ্চারা শুকনো জায়গার খোঁজে হলের রুমে দিকে উঠে আসে।’ তিনি শিক্ষার্থীদের সতর্কতার সাথে চলাচলের পরামর্শ দেন।

এর আগে গত কয়েকদিনে হলের বিভিন্ন জায়গা প্রায় ১৭ টি সাপ মারা হয় বলে জানান হলের আবাসিক শিক্ষার্থী শরিফুল ইসলাম। অনুসন্ধানে জানা যায়, গত ২০ জুলাই একসাথে তিনটি সাপ মারার পর শিক্ষার্থীরা হল প্রাধ্যক্ষ ড. শফি মোহামম্দ তারেকের সাথে দেখা করে তাদের আতঙ্কের কথা জানান এবং পর্যাপ্ত কার্বলিক এসিড, হলের সিড়িতে লাইট লাগানো ও আশেপাশের ঘাস কাটার দাবি জানান। 

এরপর কয়েকদিন সাপের উপদ্রব কমলেও গত বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) হলের বি ব্লক থেকে প্রায় ৬ ফুট লম্বা গোখরা সাপ মারা হয়। এরপরের দিন দুপুরে বি ব্লক থেকে এবং রাতে এ ব্লক থেকে আরও ২ টি গোখরা সাপের বাচ্চা মারা হয়। 
 
এদিকে, শিক্ষার্থীদের দাবির পর ও হলের আশেপাশের জঙ্গল পরিষ্কার না করা ও বিভিন্ন জায়গায় লাইট না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে শিক্ষার্থীরা।

হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ভুগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের শিহাব উদ্দীন জানান, আমরা প্রায় ১০ দিন আগে হল প্রাধ্যক্ষ স্যারকে সাপের উপদ্রব পশমনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার অনুরোধ জানাই, কিন্তু এখনো আশেপাশের জঙ্গল পরিষ্কার করা হয়নি যার ফলে সাপের উপদ্রব কমেনি। 

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকাল অফিসার ডা. বীরেন্দ্র কুমার বিশ্বাস বলেন, কোন শিক্ষার্থীকে সাপে কাটঁলে তার জন্য তৎক্ষণাৎ কোনো চিকিৎসা নেয়ার ওষুধ বা বিষ নিস্ক্রিয়কারী অ্যান্টিসিরামও বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেলে নেই।

যোগাযোগ করা হলে হল প্রাধ্যক্ষ ড. শফি মোহাম্মদ তারেক বলেন, “বর্ষাকালে একটু সাপের উপদ্রব বেশী থাকে। হলের চারপাশে কার্বলিক এসিড ছিটানো হয়েছে, পানি নিষ্কাশনের পাইপে জাল ব্যবহার করা হয়েছে এবং চারপাশের ঝোপঁ-জঙ্গল কাটা হচ্ছে’। তিনি শিক্ষার্থীদের আতষ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দেন।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেএ

Wordbridge School
Link copied!