• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

জামায়াত নেতা আজিজসহ ছয় জনের মৃত্যুদণ্ড


নিজস্ব প্রতিবেদক নভেম্বর ২২, ২০১৭, ১১:৫৩ এএম
জামায়াত নেতা আজিজসহ ছয় জনের মৃত্যুদণ্ড

ঢাকা: মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় গাইবান্ধা সুন্দর গঞ্জের সাবেক এমপি ও জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতা আবু সালেহ মুহাম্মদ আব্দুল আজিজ মিয়া ওরফে ঘোড়ামারা আজিজসহ ছয়জনের রায় ঘোষণা করা হয়েছে।

বুধবার (২২ নভেম্বর) সকাল পৌনে এগারোটার দিকে ট্রাইব্যুনালের বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামসহ তিন বিচারপতি রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার  শুরুতেই বিচারপতি শাহিনুর ইসলাম রায়ের মতামত প্রকাশ করে বলেন, এমামলার ১ নং আসামী আব্দুল আজিজ ছিলো কুখ্যাত রাজাকার কমান্ডার।

তিনি বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় আজিজ কুখ্যাত অপরাধী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তার অপরাধ ক্ষমা যোগ্য করার মতো নয়। তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ প্রমানিত হয়েছে।

রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ৩ নং আসামী আব্দুল লতিফ বয়স বিবেচনায় সাজা কমানোর আবেদন জানান। তখন আদালত তার মৌখিক আবেদনটি খারিজ করে দিয়ে বলেন, অপরাধ সংগঠনের সময় যে বয়স ছিলো সে বয়স বিবেচনা করে সাজা প্রদান করা হবে। সংযুক্ত অপরাধের সময় কে অপরাধ কম বা বেশি করলো সেটি দেখার বিষয় নয়। দেখার বিষয় হলো অপরাধের সাথে সম্পৃক্ত ছিলো কিনা।

আব্দুল আজিজ ছাড়া মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অন্যান্য আসামি হলেন- মো. রুহুল আমিন ওরফে মঞ্জু (৬১), মো. আব্দুল লতিফ (৬১), আবু মুসলিম মোহাম্মদ আলী (৫৯), মো. নাজমুল হুদা (৬০) ও মো. আব্দুর রহিম মিঞা (৬২)। মামলায় ছয় আসামির মধ্যে মো. আব্দুল লতিফ কারাগারে  আছেন। বাকি পাঁচ আসামি পালাতক।

এর আগে গত ২৩ অক্টোবর উভয়পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষামাণ রাখা হয়।

গত ৯ মে এই মামলায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে ট্রাইব্যুনালের প্রয়াত বিচারপতি আনোয়ারুল হকের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ রায়ের জন্য অপেক্ষামাণ রেখেছিলেন। ১১ অক্টোবর ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন হওয়ায় মামলাটিতে পুনরায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করা হয়।এবং আগামীকাল বুধবা রায় দেয়া হবে মর্মে আজ দিন ধার‌্য করা হলো।

এ মামলায় আব্দুল আজিজ ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন- আবু মুসলিম মোহাম্মদ আলী (৫৯), মো. আব্দুল লতিফ (৬১), মো. রুহুল আমিন ওরফে মঞ্জু (৬১), মো. নাজমুল হুদা (৬০) ও মো. আব্দুর রহিম মিঞা (৬২)।

এ মামলায় ছয় আসামিদের মধ্যে মো. আব্দুল লতিফ কারাগারে আছেন। বাকিরা পালাতক আছেন।

২০১৫ সালের ২৭ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হয় এই আসামীদের বিরুদ্ধে। একই বছরের ২৩ নভেম্বর প্রসিকিউশনের করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২৬ নভেম্বর ট্রাইব্যুনাল ছয়জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। মাত্র একজন আসামিকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। পরে ঘোড়ামারা আজিজসহ সকল আসামিদের পলাতক দেখিয়েই আদালতে মামলার বিচারিক কাজ শুরু হয়।

জামায়াতের কেন্দ্রীয় সদস্য আব্দুল আজিজ মিয়া ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত চারদলীয় জোটের অধীনে জামায়াত থেকে গাইবান্ধা সুন্দরগঞ্জ-১ আসনে সংসদ সদস্য ছিলেন।


সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন

Wordbridge School
Link copied!