ঢাকা: মাওলানা সাইদুর রহমান নামে এক মাদ্রাসা সুপারের কাছে এক লাখ টাকা ঘুষ দাবি করে পুলিশ। অন্যথায় তাকে জামায়াতের মামলায় চালান দেয়ার হুমকি দেয়া হয়। এ সময় পাঁচ হাজার টাকা দিতে চাইলে পুলিশ তা গ্রহণ করেনি। পরে তাকে ধরে নিয়ে যায়। একপর্যায়ে পাওয়া যায় সাইদুর রহমানের লাশ।
মৃত মাওলানা সাইদুর রহমান কলারোয়া উপজেলার বাকশা হঠাৎগঞ্জ মাদ্রাসার সুপার ও সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কাথন্ডা গ্রামের মৃত দেলদার রহমানের ছেলে।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সাতক্ষীরা সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আসাদুজ্জামান, পাইক দেলোয়ার ও কনস্টেবল সুমন বাড়িতে গিয়ে তার ভাইয়ের কাছে এক লাখ টাকা ঘুষ দাবি করে। অন্যথায় তাকে জামায়াতের মামলায় চালান দেয়ার হুমকি দেয়। এ সময় পাঁচ হাজার টাকা দিতে চাইলে পুলিশ তা গ্রহণ করেনি। পরে তাকে ধরে নিয়ে যায়।
শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকালে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হলে জেল কর্তৃপক্ষ তাকে গ্রহণ না করে চিকিৎসা করিয়ে নিয়ে আসতে বলে। পরে তাকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সন্ধ্যার দিকে তাকে পুনরায় জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়। সেখানে অসুস্থ হয়ে পড়লে রাত একটার দিকে তাকে সদর হাসপাতালে পাঠানোর পর আজ শনিবার ভোররাতে তিনি মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়েন।
সাতক্ষীরা কারাগারের ডেপুটি জেল সুপার আবু জাহেদ জানান, রাত একটার দিকে অসুস্থতাবোধ করলে মাওলানা সাইদুর রহমান সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোররাতে তার মৃত্যু হয়েছে।
সোনালীনিউজ/জেএ
আপনার মতামত লিখুন :