ঝিনাইদহে জিকে প্রকল্পের সেচ খালের পানি ঢুকে পাকা ধানসহ ফসলের ক্ষতি হয়েছে। পানির প্রয়োজন না থাকার পরও পানি সরবরাহ করায় জেলার শৈলকুপা উপজেলার দামুকদিয়া, মনোহরপুর, বিজুলিয়া ও হাজরামিনা গ্রামের শত বিঘা জমির ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। কৃষকরা জানায়, গত ৫ দিন আগে জিকে খালে এস - কে - ৯ এ পানি সরবরাহ করা হয়েছে। যে কারণে ওই সব গ্রামের মাঠে পানি ঢুকে। এতে খালের পাশের পাকা ধান মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। ক্ষেতে পানি থাকায় চাষিরা ধান কাটতে পারছে না। বপনকৃত মসুর, মটর, খেশারি ও গম ক্ষেতেরও ক্ষতি হয়েছে। জমি ভিজে যাওয়ায় পরবর্তী রবি শস্যের আবাদ পিছিয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন চাষিরা।
দামুকদিয়া গ্রামের কৃষক নওরোজ আলী জানান, তার ২ বিঘা জমির ধান মাটিতে লুটিয়ে পড়েছে। ক’দিন পর ধান কাটার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছিল। কিন্তু জমিতে পানি থাকায় ধান কাটতে পারছেন না। এতে ফলন কম হতে পারে বলে আশংকা প্রকাশ করেন তিনি।
মনোহরপুর গ্রামের কৃষক রতন মিয়া জানান, তিনি সম্প্রতি তার ১ বিঘা জমিতে মসুর আবাদ করেছেন। হঠাৎ করে জমিতে পানি ঢুকে পড়ায় মসুর নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। একই গ্রামের অন্য একজন কৃষক জানান, খালের পানি জমিতে ঢুকে খেশারি নষ্ট করে দিয়েছে। এতে আবার নতুন করে আবাদ করতে হবে। সে কারণে ফসল নাবি হবে।
এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহকারী প্রকৌশলী কনক কুমার বিশ্বাস বলেন, ১৫ নভেম্বর থেকে পানি সরবরাহ বন্ধ ছিল। মজুদ পানি খালে ঢুকে ফসলের ক্ষতি হয়েছে। পানি সরবরাহ বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে।
সোনালীনিউজ/ঢাকা/এইচএআর
আপনার মতামত লিখুন :