• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

জিম্বাবুয়েকে নিয়ে এত সিরিয়াস কেন মাশরাফি?


ক্রীড়া প্রতিবেদক অক্টোবর ২০, ২০১৮, ০৫:২৫ পিএম
জিম্বাবুয়েকে নিয়ে এত সিরিয়াস কেন মাশরাফি?

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে খেলাটা এখনও আগের মতো চ্যালেঞ্জ আছে? যখন হিথ স্ট্রিক, অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার, গ্র্যান্ট ফ্লাওয়ার, নিল জনসন, হেনরি ওলোঙ্গা, অ্যালিস্টার ক্যাম্পবেলরা খেলতেন বিশ্বক্রিকেটে বড় বড় দলকে অনায়াসেই হারিয়ে দিত জিম্বাবুয়ে। বোর্ডের সঙ্গে ঝামেলায় সেই জিম্বাবুয়ের শক্তি ক্ষয়ে গেছে। অনেকেই অকালে অবসরে চলে গিয়েছেন। তারপর থেকে শক্তি কমতে কমতে জিম্বাবুয়ের এখন এমন অবস্থা যে আফগানিস্তান তাদের বলেকয়ে হারায়।

বাংলাদেশে আসার আগে দলটি দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে গিয়েছিল। সেখানে গোটা দুয়েক ম্যাচে স্বাগতিকদের একটু চাপে ফেলেছিল জিম্বাবুয়ে। প্রাপ্তি বলতে এটুকুই। রোববার থেকে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে শুরু হতে চলেছে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেটি। দিবারাত্রীর এই ম্যাচে নিঃসন্দেহে মাশরাফি বিন মুর্তজার বাংলাদেশেই ফেবারিট।

কিন্তু কোনও কারণে যদি বাংলাদেশ হেরে যায় তাহলে কিন্তু গেল গেল রব উঠে যাবে! আর ঠিক এই কারণেই জিম্বাবুয়ে সিরিজটা বাংলাদেশের জন্য চ্যালেঞ্জের। অধিনায়ক মাশরাফিও এই কথাটি আগেভাগেই মনে করিয়ে দিলেন ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে। তিনি বলেছেন, ‘প্রতি ম্যাচের মতো জিম্বাবুয়েও চ্যালেঞ্জ বাংলাদেশের জন্য। কারণ, এই ম্যাচটা জিতলে সবাই বলবে এটাই তো স্বাভাবিক, তবে হারলে পুরো গল্পটাই অন্যরকম হয়ে যাবে।’

মাশরাফির কথাকে উড়িয়ে দেওয়া যাবে না। কারণ আমাদের স্বভাবটাই এরকম। জিম্বাবুয়ের কাছে হারলে সব শেষ হয়ে গেছে বলে চারদিকে ঝড় উঠবে। আর জিতলে সবাই বলবেন, এটাই তো হওয়ার কথা। সে কারণেই মাশরাফি জিম্বাবুয়েকে নিয়ে অধিকতর সিরিয়াস, ‘চ্যালেঞ্জটা তো প্রতি ম্যাচে যেটি থাকে সেটিই। সবার প্রত্যাশা যেটা যে আমরা জিতব, সেটা খুবই স্বাভাবিক। তবে আমার কাছে মনে হয় অন্যান্য দলের বিপক্ষে যে চ্যালেঞ্জটা থাকে, বিশেষ করে শেষ টুর্নামেন্ট, এশিয়া কাপে যে চ্যালেঞ্জটা ছিল, সেটিই থাকবে।’

জিম্বাবুয়ে সবচেয়ে বেশি খেলেছে বাংলাদেশের মাটিতে। তাদের বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার বিপিএল ও ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেটেও অতীতে খেলেছেন। যদিও প্রস্তুতি ম্যাচে সৌম্য সরকারের বিসিবি একাদশের সামনে পাত্তাই পায়নি জিম্বাবুয়ে। কিন্তু প্রস্তুতি ম্যাচ তো প্রস্তুতি ম্যাচই, সেটি মূল ম্যাচে খুব একটা প্রভাব ফেলে না। তাছাড়া জিম্বাবুয়ে দলে ফিরেছে তাদের সিনিয়র ক্রিকেটাররা। মাশরাফি বলছেন,‘জিম্বাবুয়ের সিনিয়র ক্রিকেটাররা ফিরেছে। বাংলাদেশের মাটিতে ওদের রেকর্ড খুব সম্ভবত নিজেদের মাঠের পরই বেশ ভালো। সুতরাং জেতার জন্য আমাদের শতভাগ দিয়েই খেলতে হবে। গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হচ্ছে আমাদের সম্ভব সেরা ক্রিকেটটাই খেলতে হবে।’

ঘরের মাঠে খেলতে সবাই যে মুখিয়ে আছে সেটিও জানালেন মাশরাফি। তিনি বলে গেলেন,‘ অনেক দিন পর ঘরের মাঠে খেলতে নামছি। অবশ্যই সবাই আত্মবিশ্বাসী। পারর্ম করার জন্য সর্বোচ্চ যে প্রস্তুতিটা নেওয়া যায়, সবাই সেটিই নিয়েছে। আশা করছি কালকের খেলায় সবাই যেভাবে খেলতে চায়, সেভাবেই খেলতে পারবে।’

চোটের কারণে নেই সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবাল। এটিকে স্বাভাবিকভাবেই দেখছেন মাশরাফি,‘ সাকিব আর তামিম যে থাকবে না, এটা আগে থেকেই সবাই জানে। তাই দলের সবাই সেভাবেই প্রস্তুতিটা নিয়েছে।’

সোনালীনিউজ/আরআইবি/জেডআই

Wordbridge School
Link copied!