• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

‘জিয়া আইএসআই এজেন্ট হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন’


নিজস্ব প্রতিবেদক আগস্ট ২৬, ২০১৬, ০৪:৪২ পিএম
‘জিয়া আইএসআই এজেন্ট হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন’

খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান পাকিস্তানী গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই’র এজেন্ট হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। শুক্রবার (২৬ আগস্ট) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদ আয়োজিত শোক দিবসের আলোচনা সভায় একথা বলেন খাদ্যমন্ত্রী।

কামরুল ইসলাম বলেন, জিয়াউর রহমান পাকিস্তানী গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই’র এজেন্ট হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী কর্ণেল ফারুকও আইএসআই’র এজেন্ট হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। এমনকি জিয়াউর রহমানকে তার কর্মকাণ্ডের জন্য যুদ্ধের সময়ই সেক্টর কমান্ডার পদ থেকে সরানো হয়েছিল।

খাদ্যমন্ত্রী আরও বলেন, জিয়াউর রহমানের মত তার বড় ছেলে তারেক রহমানের চরিত্রেও ভিন্ন কিছু নেই। তারা আইএসআই’র এজেন্ডাকে এড়িয়ে নিচ্ছেন। এজন্যই ১৯৭১, ১৯৭৫ ও ২০০৪ সালের হত্যাকাণ্ড একই সূত্রে গাঁথা। ২০০৪ সালের ওই গ্রেনেড হামলায় যদি শেখ হাসিনা মারা যেতেন, তবে ওই দিনটিতে তারেক জিয়াও জন্মদিন পালন করতেন।

কামরুল ইসলাম বলেন, সত্যিকারের একজন মুক্তিযোদ্ধা কখনও স্বাধীনতার সাড়ে তিন বছরের মাথায় বঙ্গবন্ধুর মত একজন মহান নেতাকে হত্যা করতে পারেন না। প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার আদর্শ কখনো এমন হয় না। আমি একজন আইনজীবী হিসেবে জানি, বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার সাক্ষীরা যে জবানবন্দি দিয়েছেন, তাতে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে প্রত্যক্ষ পৃষ্ঠপোষকতা করেছেন জিয়াউর রহমান। তিনি ছিলেন মূল নায়ক। তদন্তেও এসব ওঠে এসেছে।

অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, বিএনপিতে অনেক মুক্তিযোদ্ধা রয়েছেন, অনেক ভালো মানুষও আছেন। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে এই দলের মূল নেতৃত্বে রয়েছেন আইএসআই’র এজেন্টরা। এদের থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। এই নেতৃত্বকে ছুঁড়ে ফেলতে হবে। তবেই বিএনপির কান্না বন্ধ হবে।

অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, বিএনপি বাঙালি জাতিকে বার বার কাঁদিয়েছে, তাই তাদের নেতাদের চোখে অশ্রু মানায় না।

অনুষ্ঠানে মহানগর আওয়ামী লীগের বিভিন্নস্তরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইচএম

Wordbridge School
Link copied!