• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

জিয়া চ্যারিটেবল মামলায় বিচারকের প্রতি অনাস্থার আদেশ বুধবার


আদালত প্রতিবেদক সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৮, ০২:৫৪ পিএম
জিয়া চ্যারিটেবল মামলায় বিচারকের প্রতি অনাস্থার আদেশ বুধবার

ঢাকা : বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে করা জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিচারকের প্রতি দুই আসামি যে নারাজি দিয়েছেন তার আদেশের জন্য বুধবার দিন ধার্য করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে অবস্থিত অস্থায়ী ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ ড. মো. আখতারুজ্জামান এ আদেশ দেন। এ ছাড়া এ মামলার যুক্তি উপস্থাপনের জন্যও বুধবার দিন ধার্য করেছেন আদালত।

আজ এ মামলাটির যুক্তি উপস্থাপনের দিন ধার্য ছিল এবং বিচারকের প্রতি দুই আসামি জিয়াউল ইসলাম মোল্লা ও মনিরুল ইসলাম খানের অনাস্থার আদেশের দিনও ধার্য ছিল।

খালেদা জিয়ার জামিন বৃদ্ধির আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন। এ ছাড়া যুক্তি উপস্থাপন মুলতবি রাখার আবেদন করলে আদালত তা না মঞ্জুর করেন। অপরদিকে কারাগারে থাকা আসামি জিয়াউল ইসলাম মুন্নাকে আদালতে হাজির করা হয়।

এর আগে সোমবার (২৪ সেপ্টেম্বর) আইনজীবীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে খালেদা জিয়াকে জেল কোড অনুযায়ী চিকিৎসা দিতে কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন। এবং তার জানিম বৃদ্ধি করেন।

অপরদিকে খালেদার অনুপস্থিতিতে মামলার বিচারের আদেশ দেয়ায় আসামি জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও মনিরুল ইসলাম খানের পক্ষে মামলার কার্যক্রম মুলতবি চেয়ে আবেদন করেন তাদের আইনজীবী। আদালত তাদের আবেদনটি নামঞ্জুর করলে বিচারকের প্রতি অনাস্থা দেন তাদের আইনজীবীরা। এ ছাড়া আসামি জিয়াউল ইসলাম মুন্নার জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক হারুন-অর-রশীদ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়।

অপর আসামিরা হলেন- খালেদার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছের তখনকার সহকারী একান্ত সচিব জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।

দুদকের করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসনকে গত ৮ ফেব্রুয়ারি পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. আখতারুজ্জামান। রায়ের পর থেকে রাজধানীর নাজিমউদ্দিন রোডের পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রয়েছেন তিনি।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!