• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

জিয়াউর রহমান গণতন্ত্রে বিশ্বাসী ছিলেন


নিজস্ব প্রতিবেদক নভেম্বর ১১, ২০১৬, ০৯:০৫ পিএম
জিয়াউর রহমান গণতন্ত্রে বিশ্বাসী ছিলেন

ঢাকা : বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, জিয়াউর রহমান কখনো জোর করে রাষ্ট্রক্ষমতায় যাননি। তিনি গণতন্ত্রে বিশ্বাসী ছিলেন। এজন্য দেশের জনগণ, কৃষক, শ্রমিক জনতা আদর করে তাঁকে রাষ্ট্রক্ষমতায় বসিয়েছিল।

শুক্রবার (১১ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি কার্যালয়ে ৭ নভেম্বর ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত সভায় এসব কথা বলেন তিনি। জাতীয় মহিলা দল এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।

মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে খলনায়কে পরিণত করতে চাইছে বর্তমান ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। কিন্তু তিনি মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণা দিয়েছিলেন। কেউ যদি জিয়াউর রহমানকে অস্বীকার করে, তার দলকে খাটো করে। এতে তার বা তার দলের কোন অসম্মান হবে না। বরং তাঁরাই খাটো হন, যারা এসব অপপ্রচার করে বেড়ায়। এতে তাঁদের অজ্ঞতা ও হীনম্মন্যতা প্রকাশ পায়। 

বিএনপির এই নেতা বলেন, বিএনপি কখনোই শেখ মুজিবুর রহমানকে খাটো করে নি, বিএনপি সব সময় তাঁর অবদান স্বীকার করে। কিন্তু আওয়ামী লীগ একবারের জন্যও জিয়াউর রহমানের অবদান স্বীকার করে না। শুধু জিয়াই নন, জেনারেল ওসমানী, তাজউদ্দীন আহমদের অবদানও আওয়ামী লীগ স্বীকার করে না। 

অন্যকে অস্বীকার করার এই প্রবণতা ক্ষমতাসীন এই সরকোরি দলের নেতাকর্মীদের চরিত্রে মিশে আছে।

মির্জা ফখরুল দাবি করেন, খালেদা জিয়া, তারেক রহমান শুধু ব্যক্তি নন, কারও স্ত্রী বা সন্তান-এটা মূল পরিচয় নয়। তাঁরা এ দেশের ১৬ কোটি মানুষের রাজনীতির চিন্তার প্রতীক। তাঁরা স্বাধীনতার পতাকা ধরে আছেন।

তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগের ব্যর্থতার কারণে জাসদের জন্ম হয়েছিল। দেশ শাসনে আওয়ামী লীগের ব্যর্থতা, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতির কারণে তাদের লোকজন দল থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল।

মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আবদুস সালাম, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইচএম

Wordbridge School
Link copied!