• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

জেনে নিন, ইসলামে বড় জালেম কে?


ধর্ম ডেস্ক জুলাই ২৮, ২০১৬, ০৪:১৮ পিএম
জেনে নিন, ইসলামে বড় জালেম কে?

আল্লাহ তাআলার বিষয়ে এবং সত্য ধর্মের অনুসারী হওয়ার ব্যাপারে পূর্ববর্তী আয়াতে ইয়াহুদি নাসারারা মুসলিমদের সঙ্গে তর্কে লিপ্ত হতো। অতপর আল্লাহ তাআলা বিশ্বনবিকে মুশরিকদের সঙ্গে তর্ক বিদুরিত করে তাঁর ইবাদাতের একনিষ্ঠতার কথা ঘোষণা করার নির্দেশ দেন। অতপর তারা পূর্ববর্তী নবিগণের ব্যাপারে এ কথা বলে বেড়ান যে, তাঁরা ইয়াহুদি ও খ্রিস্টানদের অন্তর্ভূক্ত ছিলেন। এ ব্যাপারে তাদের দাবি খণ্ডন করে আল্লাহ তাআলা তাদের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন করে বলেন-

‘অথবা তোমরা কি বলছ যে, নিশ্চয়ই (হজরত) ইবরাহিম, ইসমাইল, ইসহাক, ইয়াকুব (আলাইহিস সালাম) ও তাদের সন্তানগন ইয়াহুদি অথবা খ্রিস্টান ছিলেন? (হে রাসুল!) আপনি বলে দিন, তোমরা বেশি জান, না আল্লাহ বেশি জানেন? তার চেয়ে বড় জালেম আর কে হতে পারে, যার কাছে আল্লাহর পক্ষ থেকে একটি সাক্ষ্য রয়েছে এবং সে তা (সাক্ষ্য) গোপন করে চলে?’ তোমাদের কর্মকাণ্ডের ব্যাপারে আল্লাহ তাআলা অমনোযোগী নন।’ (সুরা বাক্বারা : আয়াত ১৪০)

এ আয়াতে আল্লাহ তাআলা ইয়াহুদি ও খ্রিস্টানদের দাবি খণ্ডন করে বলেন, তাদের কাছে সুস্পষ্ট তথ্য ও সাক্ষ্য রয়েছে যে, হজরত ইবরাহিম, ইসমাইল, ইসহাক, ইয়াকুব (আলাইহিস সালাম) ও তাদের সন্তানগন ইয়াহুদি অথবা খ্রিস্টান ছিলেন না। তারপরও তারা অজ্ঞতাবশত এ দাবি করতো। এখানে ইয়াহুদি ও খ্রিস্টানদের আলেমদেরকে সম্বোধন করা হয়েছে; যারা উল্লেখিত নবিদের ব্যাপারে তারা জানতো।

তাহলে কিতাবের এ সকল আলেমদেরকে প্রশ্ন করে বলা হলো- তোমরা এ সব কথা বানিয়ে বলছ কেন? তোমাদের জ্ঞান কি আল্লাহর তাআলার চেয়েও বড় হয়ে গেল?
আল্লাহ তাআলা অন্য আয়াতে সুস্পষ্ট ভাষায় ঘোষণা করছেন-
‘হজরত ইবরাহিম আলাইহিস সালাম ইয়াহুদিও ছিল না, খ্রিস্টানও ছিল না। বরং সুদৃঢ় মুসলমান ছিল এবং সে মুশরিকদের অন্তর্ভূক্ত ছিল না। (সুরা ইমরান : আয়াত ৬৭)

এ আয়াতে তাদেরকে বড় জালেম বা অত্যাচারি বলার কারণ হলো- তাদের নিকট যে কিতাব নাজিল করেছিল, তা তারা পড়েছিল এবং জানতে পেরেছিল যে, ইসলামই প্রকৃত ও মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর সত্য রাসুল। এটা জেনেও তারা তাদের অনুসারীদের নিকট গোপন করেছিল।

অতপর আল্লাহ তাআলা আরও জানিয়ে দেন যে, তাদের এহেন ষড়যন্ত্রমূলক যাবতীয় কর্মকাণ্ড তাঁর নিকট গোপন নেই। তাঁর ইলম সমস্ত মাখলুককেই ঘিরে রেখেছে। তিনিই প্রত্যেক ভালো ও মন্দ কাজের প্রতিদান দিবেন।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে কুরআন-সুন্নাহ ভিত্তিক জীবন যাপন করার তাওফিক দান করুন। ইসলামের সঠিক মতাদর্শ ও দর্শন মানুষের কাছে তুলে ধরার তাওফিক দান করুন। আমিন।


সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন

Wordbridge School
Link copied!