• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

জেনে নিন মোবাইল আবিষ্কারের ইতিহাস


প্রযুক্তি ডেস্ক জুলাই ১৭, ২০১৬, ১২:৩১ পিএম
জেনে নিন মোবাইল আবিষ্কারের ইতিহাস

মোবাইল ছাড়া থাকবেন-এমনটি কি এক মুহূর্তও ভেবে দেখেছেন? এইো কি আদৌ ভাবা যায় এখন? কারণ জীবনের অন্যতম অনুষঙ্গ হয়ে গেছে। বলা যায় মোবাইল শরীরের একটি পার্ট। এই মোবাইল ছাড়া থাকা বাঁচা যায় কীভাবে!

যে যন্ত্রটি ছাড়া আমরা অচল প্রায় সেই যন্ত্রটি কোথা থেকে এল আর কীভাবেই বা এল আমরা অনেকেই হয়তো জানিনা! আসুন জেনে যাক মোবাইল আবিষ্কারের ইতিহাস-

মোটোরোলা কোম্পানিতে কর্মরত ড. মার্টিন কুপার এবং জন ফ্রান্সিস মিচেলকে প্রথম মোবাইল ফোনের উদ্ভাবকের মর্যাদা দেয়া হয়ে থাকে। তাঁরা ১৯৭৩ সালের এপ্রিলে প্রথম সফলভাবে একটি প্রায় ১ কেজি ওজনের হাতে ধরা ফোনের মাধ্যমে কল করতে সক্ষম হন।

এরপর মোবাইল ফোনের প্রথম বাণিজ্যিক সংস্করণ বাজারে আসে ১৯৮৩ সালে, ফোনটির নাম ছিল মোটোরোলা ডায়না টিএসি ৮০০০এক্স (DynaTAC 8000x)। ১৯৯০ সাল থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে পৃথিবীব্যাপী মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১২.৪ মিলিয়ন থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৭ বিলিয়নের বেশি হয়ে গেছে। পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার প্রায় ৮৭% মোবাইল ফোন যোগাযোগের আওতায় এসেছে।

mobil

৯০ এর দশকে ব্যবহৃত বার স্টাইলের কোয়ালকম কিউসিপি-২৭০০ (QCP-2700) মোবাইল ফোন এবং হাল আমলের স্মার্ট ফোন আই ফোন ৫ ‘মোবাইল ফোন, সেলুলার ফোন বা হ্যান্ড ফোন তারবিহীন টেলিফোন বিশেষ। মোবাইল অর্থ ভ্রাম্যমাণ বা ‘স্থানান্তরযোগ্য’। এই ফোন সহজে যেকোনও স্থানে বহন করা এবং ব্যবহার করা যায় বলে মোবাইল ফোন নামকরণ করা হয়েছে।

এটি ষড়ভূজ আকৃতির ক্ষেত্র বা এক-একটি সেল নিয়ে কাজ করে বলে একে ‘সেলফোন’ নামেও পরিচিত। মোবাইল ফোন বেতার তরঙ্গের মাধ্যমে যোগাযোগ করে বলে অনেক বড় ভৌগোলিক এলাকায় এটি নিরবিচ্ছিন্নভাবে সংযোগ দিতে পারে।

শুধু কথা বলাই নয়, আধুনিক মোবাইল ফোন দিয়ে আরো অনেক সেবা গ্রহণ করা যায়। এর উদাহরণ হচ্ছে খুদে বার্তা (এসএমএস বা টেক্সট মেসেজ) সেবা, এমএমএস বা মাল্টিমিডিয়া মেসেজ সেবা, ই-মেইল সেবা, ভিডিও কল, ইন্টারনেট সেবা, অবলোহিত আলো বা ইনফ্রা-রেড, ব্লু টুথ সেবা, ক্যামেরা, গেমিং, ওয়াই-ফাই বা অর্থনৈতিক ব্যবহারিক সফটওয়্যার ইত্যাদি। যেসব মোবাইল ফোন এইসব সেবা এবং কম্পিউটারের সাধারন কিছু সুবিধা প্রদান করে, তাদেরকে স্মার্ট ফোন নামে ডাকা হয়।

সেলুলার ফোন প্রারম্ভিকভােব পূর্বসুরীরা জাহাজ এবং ট্রেন থেকে এনালগ রেডিও কমিউনিকেশন ব্যবহার করত।

নিম্নস্তরের মোবাইল ফোনকে প্রায়ই ফিচার ফোন বলে ডাকা হয় এবং এগুলো শুধুমাত্র প্রাথমিক টেলিফোন যোগাযোগ সুবিধা দেয়। আর কিছু মোবাইল ফোন আরও অগ্রসর সুবিধা এবং কম্পিউটারের মত সেবা প্রদান করে, তাদেরকে স্মার্ট ফোন বলে।

mobili

বেশ অনেক মোবাইল ফোনের পরম্পরা কিছু নির্দিষ্ট ব্যবহারকারীকে উদ্দেশ্য করে তৈরি করা হয়েছে। যেমন বহুজাতিক বা কর্পোরেট ব্যবহারকারীদের জন্য বিশেষায়িত ই-মেইল সুবিধা নিয়ে এসেছিল ব্ল্যাকবেরি।

সনি-এরিক্সনের গান শোনার বিশেষায়িত ‘ওয়াকম্যান’ সিরিজ বা ‘সাইবারশট’ ক্যামেরা ফোন, নকিয়ার এন সিরিজ মাল্টি মিডিয়া ফোন এবং আইফোন সিরিজ বা স্যামসাং এর গ্যালাক্সী এস সিরিজ।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এএম
 

Wordbridge School
Link copied!