• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

জেলখানা না বাড়িয়ে মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি দরকার


আদালত প্রতিবেদক এপ্রিল ২৬, ২০১৭, ০৭:৩৪ পিএম
জেলখানা না বাড়িয়ে মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি দরকার

ঢাকা: বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক বলেছেন, মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করলে জেলাখানার পরিধি বাড়ানোর প্রয়োজন হবে না।

সম্প্রতি দেশের বেশ কয়েকটি জেলখানা পরিদর্শন করে কক্সবাজার জেলাখানার পরিসংখ্যান তুলে ধরে রিয়াজুল হক বলেন, ওই জেলখানায় ধারণ ক্ষমতা আছে ৫৩০ জনের।  আর সেখানে বর্তমানে বন্দির সংখ্যা ১ হাজার ৮শ জন। এর মধ্যে মামলা নিষ্পত্তি হয়ে কনভিকশন (সাজাপ্রাপ্ত) আছে মাত্র ৩০০ জন। এ থেকে সহজেই অনুমান করা যায় দ্রুত মামলা নিষ্পত্তি হলে জেলখানার পরিধি ততটা বাড়ানোর প্রয়োজন হবে না।

বুধবার (২৬ এপ্রিল) সুপ্রিমকোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটি কর্তৃক আয়োজিত ‘জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস-২০১৭ উপলক্ষে   সুপ্রিমকোর্টের কনফারেন্স রুমে 'সুপ্রিম কোর্ট আইনত সহায়তা কার্যক্রমের অভিজ্ঞতা ও বেসরকারিউন্নয়ন সংস্থার ভূমিকা' শীর্ষক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য দেন, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্টার জেনারেল সৈয়দ আমিনুল ইসলাম, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আলম, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্য নূরন নাহার ওসমানী, Rule of Law এর হেড অফ প্রোগ্রাম প্রমিতা সেনগুপ্ত, বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির নির্বাহী পরিচালক আইনজীবী সালমা আলী, ওয়েভ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক মহসিন আলী, নারী পক্ষের সদস্য রওশন আরা প্রমূখ।

মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, 'লিগ্যাল এইড মানে শুধু আইনী সহায়তা নয়, এটা মানুষের একটি অধিকার। তাই প্রতিটি মানুষকে আইনী সহায়তা দিতে সরকার প্রতিজ্ঞাবদ্ধ'।

তিনি বলেন, ২০০০ সালে লিগ্যাল এইড আইন হবার পর এটি তেমনভাবে বাস্তবায়ন হতে দেখিনি। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইডের সঙ্গে কাজ করার সময় অনেক জায়গায় গিয়েছি। এখন আইনী সহায়তার বিষয়টি অনেক স্পষ্ট হয়েছে। আমাদের ম্যান্ডেট আছে, যারা বিনা বিচারে দীর্ঘদিন বন্দি তাদের নিয়ে কাজ করার। সম্প্রতি বিনা বিচারে কারাবন্দির মুক্তির বিষয়টিকে তিনি আশার আলো হিসেবে দেখছেন।

কাজী রিয়াজুল হক বলেন, ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কিশোর সংশোধনালয়ের শিশুদের সঙ্গে অভিভাবকদের যোগাযোগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এরকম আরো কিছু কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তাই আগামী বাজেটে এসব বিষয়ে কিছু বাজেট নির্ধারণ দরকার। বর্তমান সরকার সব সময় সামাজিক নিরাপত্তায় সর্বচ্চো ভূমিকা পালন করেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

এ সময় তিনি বলেন, ‘আামি অনেকের সঙ্গে কথা বলে জেনেছি , তারা বলেছেন- না খেয়ে থাকতে রাজি কিন্তু অকারণে জেলখানায় থাকতে রাজি না।  

সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইডের চেয়ারম্যান বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম বলেন, সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড একটি আইন দ্বারা গঠিত। আমাদের কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। তারপরও আইনী সহায়তা প্রদানের স্বার্থে সরকারি তহবিলের পাশাপাশি প্রধান বিচারপতির সহযোগিতায় নিজেরা আরেকটি তহবিল গঠনে কাজ করছে বলেও জানান তিনি।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইচএম

Wordbridge School
Link copied!