জেলে যৌন ক্ষুধায় উন্মাদ বাবা, বাইরে ধুঁকছে ডেরা

ঢাকা: ধর্ষণ মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়া ভারতের বিতর্কীত ধর্মগুরু রাম রহিম কারাগারে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হওয়ার জন্য ছটফট করছেন। তার চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ‘এমনিতেই তার ডায়াবেটিসের সমস্যা রয়েছে। এছাড়া কারাগারে তিনি যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হওয়ার জন্য ছটফট করছেন।’

এদিকে রাম রহিম জেলে যাওয়ার পর থেকেই ধুঁকছে ডেরা সাচ্চা সওদা। দেশটির হরিয়ানার সিরসায় ৮০০ একর জমির উপর ২,১০০ কোটি টাকার ব্যবসাকে ক্রমশ গ্রাস করছে মন্দা।

গত ২৫ অগাস্ট জোড়া ধর্ষণ মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয় বিতর্কীত এই ধর্মগুরু। রায় ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই উত্তর ভারতের একাংশ জুড়ে তাণ্ডব চালায় তার ভক্তরা। এতে অন্তত ৪৫ জন নিহত হন। আহত হন তিনশোরও বেশি। এরপরই ডেরার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহের মামলা হয় তার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় তার কথিত পালিত কন্য হানিপ্রীতকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আদালতের নির্দেশে ডেরার সমস্ত ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করা হয়। এতেই চরম সংকটে পড়েন ডেরার বাসিন্দারা।

রাম রহিমের ডেরার মধ্যেই রয়েছে ভেষজ দ্রব্য, পানীয় জল, ব্যাটারি, ভোজ্যতেল ও আটা-ময়দা তৈরির কারখানা। এখন সে সব বন্ধ। ফাঁকা পড়ে রয়েছে সংলগ্ন সংবাদপত্রের দপ্তর, রিসোর্ট, শপিং মল, সিনেমা, পেট্রোল পাম্প, রেস্তরাঁ ও হোটেল। এমনকি ডেরার রাস্তাতেও মানুষের দেখা নেই। 

হরিয়ানা পুলিশ জানায়, ডেরার ভিতর আগে যেখানে ১০,০০০ ভক্ত বাস করতেন, এখন সেই সংখ্যা নেমে এসেছে ৮০০-তে। সিরসা পুলিশ জানায়, গত সপ্তাহে ডেরার প্রতিষ্ঠাতা শাহ মস্তানা বালোচিস্তানির জন্মজয়ন্তীতে কিছু ভক্তের আনাগোনা দেখা গিয়েছিল। তবে তার সংখ্যা নেহাতই কম। 

ডেরার এক অনুগামী জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে চূড়ান্ত অর্থসংকটে ভুগছে সাচ্চা সওদা। কেউ ডেরার সম্পত্তি কিনতেও আসছে না। ডেরা সংলগ্ন এক দোকানদার জানিয়েছেন, আগে যেখানে দোকানে ভক্তের লাইন পড়ে যেত, এখন সেখানে মানুষ হাতে গোনা। শুধু তাই নয়, রাম রহিম গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকেই তার বহু ঘনিষ্ঠ অনুগামী ফেরার। ডেরার দায়িত্ব নিতে রাজি নয় রাম রহিমের ছেলে জসমিত ইনসানও। ফলে নেতৃত্বের অভাবে সিদ্ধান্তহীনতায় ধুঁকছে সাচ্চা সওদা।

অর্থভাবে ধুঁকছে ডেরার ভিতরের হাসপাতাল, স্কুল ও কলেজ। নিজেদের দৈনন্দিন খরচ চালানোর জন্য ইতিমধ্যেই পঞ্জাব ও হরিয়ানা আদালতের কাছে নিজেদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ব্যবহারের অনুমতি চেয়ে দ্বারস্থ হয়েছে শিক্ষার্থী ও রোগীরা। ইন্ডিয়া টুডে

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এআই