• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
নির্বাচন প্রস্তুতি

জোটে জোটে হবে ভোট, জয়ে বাড়বে প্রতিপক্ষের চোঁট


সোনালী বিশেষ জুলাই ৩০, ২০১৭, ১২:০৫ পিএম
জোটে জোটে হবে ভোট, জয়ে বাড়বে প্রতিপক্ষের চোঁট

ঢাকা : আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বাকি আরও দেড় বছর। কিন্তু নির্বাচনী ঢামাঢোল যেন এখনই বেজে উঠতে শুরু হয়ে গেছে। প্রধান দুই রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্ধী আওয়ামী লীগ-বিএনপিতে ভোটের আগেই শুরু হয়েছে জোট যুদ্ধ।

দুই দলই জোটবদ্ধভাবেই ভোটযুদ্ধে অবতীর্ণ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। আওয়ামী লীগের মহাজোটের আকার বাড়ানোর কাজ চলছে। অন্যদিকে বিএনপিও ২০ দলীয় জোটের মধ্য থেকে আর প্রসারিত করার চেষ্টা চালাচ্ছে। ইসলামি দলগুলোকেই বেশি টানতে চাইছে বিএনপি।

নির্বাচনী জয়ের ব্যাপারে আওয়ামী লীগ-বিএনপি দুই দলই আশাবাদী। এ লক্ষেই তারা জোট বাড়ানোর প্রক্রিয়া চলছে। একদিকে আওয়ামী লীগের ক্ষমতা ধরে রাখার চেষ্টা অন্যদিকে গদিতে বসতে মরিয়া ৯ বছর ধরে ক্ষমতার বাইরে থাকা দল বিএনপির।

আসন্ন নির্বাচন ঘিরে রাজনীতিবিদদের ভোটের রাজনীতি এখন চোখে পড়ার মতো। বিশেষ করে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে দেশের সব আসনেই কমবেশি ভোটের প্রস্তুতি নিয়ে প্রচারণা শুরু করেছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপিসহ দেশের প্রায় সবকটি রাজনৈতিক দল। এক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই ইসলামী দলগুলোও।

আগামী নির্বাচনে আবারও বিজয়ী হওয়ার আশাবাদী ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। বিএনপি নেতারাও মনে করছেন, সরকার জনগণের আস্থা হারিয়েছে, সুষ্ঠু নির্বাচন দেয়া হলে বিএনপিই বিজয়ী হয়ে ক্ষমতায় যাবে। এ নিয়ে রাজনৈতিক মাঠ রয়েছে সরগরম। নির্বাচন কমিশন (ইসি) এরই মধ্যে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গত ১৬ জুলাই একটি কর্মপরিকল্পনা প্রকাশ করেছে।

৩১ জুলাই সুশীল সমাজের মাধ্যমে শুরু হবে সংলাপ পর্ব। নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও সবার কাছে গ্রহণযোগ্য করে তোলার জন্য নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে ইসি। ভোটের আগের রাতে ব্যালট ছিনতাই ও সিল মেরে বাক্সে ভরে রাখা বন্ধ করতে ভোটের দিন সকালে কেন্দ্রে কেন্দ্রে ব্যালট পেপার ও ব্যালট বাক্স পৌঁছানোর কথা ভাবছে নির্বাচন আয়োজনকারী সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি।

এদিকে, রাজনৈতিক বড় দল দুইটির নেতাদের মধ্যে নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার আশাবাদের ফলে দুই দলেই রাজনীতির মাঠ দখলের কৌশল ও পরিকল্পনা বাড়ছে। বিএনপি ইতোমধ্যেই ঘোষণা করেছে, সহায়ক সরকারের দাবিতে তারা আন্দোলন গড়ে তুলবেন। খালেদা জিয়া শিগগির সহায়ক সরকারেরর রূপরেখা ঘোষণা করবেন বলে নেতারা জানিয়েছেন।

অপরদিকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, নির্বাচন কমিশনের অধীনেই নির্বাচন হবে, এ সময় বর্তমান হাসিনা সরকারই সহায়ক সরকারের ভূমিকা পালন করবে। এ পরিস্থিতিতে আগামী দিনের রাজনীতি উত্তপ্ত হয়ে উঠবে বলে অনেকে ধারণা করছেন।

আাবর এদিকে আওয়ামী লীগের নেতারা ইসি গঠন নিয়ে বিএনপি নেতাদের বক্তব্যকে পাত্তাই দিচ্ছেন না। তারা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, বিএনপির মানা না মানায় কিচ্ছু যায় আসে না। যারা আজিজ মার্কা নির্বাচন কমিশন গঠন করে তাদের কাছ থেকে শিখতে হবে না কীভাবে নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হয়।

ইসি সূত্র জানায়, প্রায়ই নির্বাচনের আগের রাতে ব্যালটে সিল মারার অভিযোগ পাওয়া যায়। অনেক সময় এসব কাজে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ও কোনো কোনো স্থানে ইসি কর্মকর্তাদের দায়িত্বে অবহেলার কারণে এসব অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটে থাকে।

তাই কমিশন আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন কিভাবে আরো সুন্দরভাবে করা যায় তা চিন্তা করছে। এতোদিন ভোটের আগের রাতে কেন্দ্রে কেন্দ্রে নির্বাচনী মালামাল পৌঁছে দেওয়া হতো। সেগুলো এখন নির্বাচনের দিন সকালে পাঠানোর চিন্তা করা হচ্ছে।

২০১৯ সালের ২৮ জানুয়ারির মধ্যে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!