বগুড়া : শহরের বড়গোলার টিনপট্টির একটি বাড়িতে মা ও মেয়ের জোড়া খুনের ঘটনায় পুলিশ কয়েক ঘন্টার মধ্যে রহস্য উদঘাটন করেছে।
মঙ্গলবার (২১ আগস্ট) শহরের বড়গোলা টিনপট্টির একটি বাড়িতে শয়নকক্ষ থেকে গৃহবধু রুবি খাতুন (২৬) ও তার মেয়ে সুমাইয়া (৬) এর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশ এ হত্যাকান্ডে জড়িত সন্দেহে মোবারক হোসেন বকুল (১৯) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে। সে শহরের ফুলবাড়ী উত্তরপাড়া গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে।
বিকালে বগুড়ার পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভুঞা জানান, গ্রেপ্তারকৃত বকুল মা ও মেয়েকে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেছে।
গত সোমবার রাত ১১ টার দিকে সে ওই বাড়িতে যায়। তার সঙ্গে সৌদি প্রবাসী ইউসুফ আলীর স্ত্রী রুবি খাতুনের পরকীয়া প্রেমের সর্ম্পক ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। রুবি খাতুন বকুলকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে সে ছুরিকাঘাত করে তাকে হত্যা করে। এরপর তার শিশু কন্যা সুমাইয়াকে শ্বাস রোধ করে হত্যা করে সে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়।
মঙ্গলবার দুপুর ১ টার দিকে ঘাতক বকুলকে তার বাড়ি ফুলবাড়ী উত্তরপাড়া থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এসময় তার নিকট থেকে রুবি খাতুনের একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। এছাড়া হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ছুরিটি নদীতে ফেলা দেয়া হয়েছে বলে জানায় সে।
সোনালীনিউজ/এমটিআই
আপনার মতামত লিখুন :