• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

জয়াসুরিয়াকে পেছনে ফেলে তামিমের বিশ্বরেকর্ড


ক্রীড়া প্রতিবেদক জানুয়ারি ২৩, ২০১৮, ০৪:১৮ পিএম
জয়াসুরিয়াকে পেছনে ফেলে তামিমের বিশ্বরেকর্ড

ঢাকা: আগের দিনই সংবাদ সম্মেলনে আফসোস ঝড়ে পড়েছিল তামিম ইকবালের কণ্ঠে। কেন জানি বারবার তাঁকে সেঞ্চুরির খুব কাছে গিয়ে থেমে যেতে হচ্ছে। তামিমের সেঞ্চুরি বঞ্চিত হওয়াটা বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের যেমন খারাপ অনুভূতি দেয়, একইভাবে বাঁ-হাতী ওপেনারকেও পোড়ায়।

 জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে যখন ফিফটি পার করে ফেলেছেন তখন অনেকেই আশায় বুক বেধেছিলেন আজ হয়তো সেঞ্চুরি পেয়ে যাবেন তামিম। কিন্তু সেটি আর হলো কই? তামিমকে যে থামতে হয়েছে ৭৬ রানেই। আগের দুটি ম্যাচে ৮৪-তে আটকে গিয়ে সেঞ্চুরি বঞ্চিত হয়েছিলেন। অবশ্য জিম্বাবুয়ের সঙ্গে প্রথম ম্যাচে অপরাজিত ৮৪ রান করার পরই জিতে যায় বাংলাদেশ।

আজ তামিম সেঞ্চুরি বঞ্চিত হলেও একটি বিশ্বরেকর্ড নিশ্চয় তাঁকে তৃপ্ত করবে। এক মাঠে সবচেয়ে বেশি রান করা ব্যাটসম্যান এখন দেশসেরা এ ওপেনার। এতদিন এই রেকর্ডটি ছিল ‘মাতারা হ্যারিক্যান’ নামে পরিচিতি লঙ্কান সাবেক অধিনায়ক সনাৎ জয়াসুরিয়ার। তিনি কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে চার সেঞ্চুরি আর ১৯ ফিফটি সমেত রান করেছিলেন ২৫১৪। এই রেকর্ড ভাঙতে ত্রিদেশীয় সিরিজের আগে তামিমের দরকার ছিল ২১০ রান। প্রথম দুই ম্যাচে ১৬৮ রান করে কাজটা অনেকটাই এগিয়ে রেখেছিলেন। তৃতীয় ম্যাচে ৪৩ রান করার সঙ্গে সঙ্গেই এক মাঠে সবচেয়ে বেশি রান করার গর্বিত মালিক হয়েছেন তামিম। এই বিশ্বরেকর্ড এখন তাঁর দখলে।

বিশ্বরেকর্ডের দিনে তামিম আরও একটি কীর্তি গড়েছেন। ওয়ানডেতে প্রথম বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান হিসেবে ৬ হাজার রানের ক্লাবে ঢুকে পড়েছেন তিনি। তামিমের এমন অর্জনের দিনে শুরুর বিপর্যয় বাদ দিলে কক্ষপথেই ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে বাংলাদেশের স্কোর ২১৬-এর বেশি হয়নি।
ক্যারিয়ারে ৪১ তম ফিফটিটাকে তামিম নিয়ে যেতে পেরেছেন ৭৫ পর্যন্ত। ১০৫ বলে ছয় চারের সাহায্যে তিনি এই রান করেন।

সাকিব ক্যারিয়ারের ৩৭ তম ফিফটি করে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। আউট হয়ে গেছেন ৫১ রানে। ৮০ বলে খেলে সাকিবের ইনিংসেও ছিল ছয়টি বাউন্ডারি। এরপর মুশফিকুর রহীম (১৮) আউট হতেই মোড়ক লাগে বাংলাদেশের ইনিংসে। দুই অঙ্কের ঘর স্পর্শ করার আগেই ফিরে যান মাহমুদউল্লাহ (২), সাব্বির রহমান (৬), নাসির হোসেন (২) ও মাশরাফি (০)। বাংলাদেশের স্কোর ২১৬ পর্যন্ত পৌঁছেছে শেষের দিকে সানজামুল ইসলাম (১৯) ও মোস্তাফিজুর রহমানের (১৮*) রানের কল্যাণে। ৩২ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন ক্রেমার। ৩ উইকেট শিকার করেছেন জার্ভিস ৪২ রানের বিনিময়ে।  

সোনালীনিউজ/ঢাকা/আরআইবি/জেডআই

Wordbridge School
Link copied!