• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

‘জয়ের কথা ভেবে শাকিবের সঙ্গে সংসার করতে চাই’


বিনোদন প্রতিবেদক নভেম্বর ২০, ২০১৭, ১১:৩৮ এএম
‘জয়ের কথা  ভেবে শাকিবের সঙ্গে সংসার করতে চাই’

ঢাকা: ‘আমি এখন আমাদের পুত্র জয়ের উন্নত ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে শাকিবের সঙ্গে সংসার করতে চাই। ডাক্তার যেহেতু বারণ করে দিয়েছেন তাই আর অভিনয় নয়, নামাজ, রোজা, হজ নিয়মিত আদায় করে স্বামী-সন্তান নিয়ে সুখে সংসার করব, এটিই এখন আমার একমাত্র ইচ্ছা। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন।’

শনিবার রাতে কলকাতা থেকে ফিরেই এসে ঢালিউড কুইন অপু বিশ্বাস (অপু ইসলাম খান) জানালেন তার নতুন ইচ্ছের কথা। পাশাপাশি জানালেন  তিনি  আর অভিনয় করবেন না। কারণ হিসেবে চিকিৎসকের পরামর্শের কথা জানালেন জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী।

তিনি জানান, ‘এখন থেকে নামাজ-রোজা নিয়মিত আদায় করবেন, শিগগিরই ওমরাহ হজ পালন করতে যাবেন এবং আগামী বছর হজে যাবেন।’

 কী এমন সমস্যা হয়েছিল যে, চিকিৎসা করাতে দ্রুত তাকে দেশের বাইরে যেতে হলো? এর জবাবে বিস্তারিত জানান তিনি। তার কথায় গত বৃহস্পতিবার রাত প্রায় তিনটার দিকে বাচ্চাকে ফিডার খাওয়ানোর পর তিনি ওয়াশরুমে যান। সেখানে বাথটবের সঙ্গে পা আটকে উল্টে পড়ে গিয়ে পেটে মারাত্মক আঘাত পান।

বাথটবের কোনা গিয়ে লাগে সিজারের স্থানে। সঙ্গে প্রচণ্ড ব্যথা হতে থাকে পেটে এবং প্রস্রাবের সঙ্গে রক্তপাত শুরু হয়। শ্বাস-প্রশ্বাস নিতেও কষ্ট হচ্ছিল। পেটের ব্যথা ক্রমেই বাড়তে থাকায় ভোর রাত ৪টার দিকে অপু তার ড্রাইভার সাইফকে ফোন দিয়ে ডেকে আনেন এবং একটি বেসরকারি হাসপাতালের জরুরি বিভাগে যান।

সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে জানান, সেই মুহূর্তে সেখানে কোনো গাইনোলোজির চিকিৎসক নেই। উপায়ন্তর না দেখে অপু তখন ভারতের শিলিগুড়িতে থাকা তার বড় বোনকে ফোন দিয়ে সব জানান। বড় বোনকে অনুরোধ করেন তাদের ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. বিশ্বজিৎ, যিনি অপুর বাচ্চা হওয়ার সময় সিজার করেন তার সঙ্গে যোগাযোগ করে যেন পরামর্শ নেন।

বড় বোন দ্রুত ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করলে ডাক্তার বলেন, আমি তো তাকে না দেখে আর পরীক্ষা-নিরীক্ষা না করে কিছু বলতে পারব না। যদি সম্ভব হয় দ্রুত তাকে আনানোর ব্যবস্থা করুন। অপু বলেন, ভাগ্যিস আমার ভিসা আগে থেকেই করা ছিল। সকাল ৭টার দিকে এয়ারপোর্টে রওয়ানা দেই।

দিদি বলেছিলেন, শিলিগুড়িতে খুব ঠাণ্ডা পড়ছে, তাই জয়কে না আনলেই ভালো হয়। তাই একাই রওনা দেই। আমার সঙ্গে প্রযোজক মামুনের যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার ব্যক্তিগত সমস্যা থাকায় তিনি যেতে পারেননি।

কলকাতা পৌঁছে ইন্ডিগো এয়ারওয়েজে বিকাল ২টা ১০ মিনিটে শিলিগুড়ি গিয়ে পৌঁছলাম। ৩টার দিকে ডাক্তার বিশ্বজিতের চেম্বারে যাই। তিনি আলট্রাসোনোগ্রাম এবং অন্যান্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানালেন তেমন জটিল কিছু নয়। সিজারের জায়গায় আঘাত লাগায় ইন্টারনাল মাইনর সমস্যা হয়েছে।

তবে এখন থেকে ভারী কোনো কাজ আর শরীরে ঝাঁকুনি লাগে এমন কিছু যেন না করি। জিমের সময় আমি ওয়েট লিফটিং করতাম। সেটি করতেও তিনি নিষেধ করে দেন। এমনকি চলচ্চিত্রে অভিনয় করতে গেলে নাচ বা ছুটাছোটির দৃশ্যে কাজ করতে হয়। তাও যেন না করি। হালকা কাজ করা যেতে পারে।

এ কারণে চলচ্চিত্রের কাজ থেকে অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আগের যে কয়টা ছবির সামান্য কাজ বাকি আছে সেগুলো শুধু শেষ করে দেব।

সোনালীনিউজ/বিএইচ

Wordbridge School
Link copied!