• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ঝালকাঠিতে ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় ১ জনের মৃত্যুদণ্ড


ঝালকাঠি প্রতিনিধি জুলাই ২৮, ২০১৭, ০৯:৫৩ এএম
ঝালকাঠিতে ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় ১ জনের মৃত্যুদণ্ড

ঝালকাঠি: জেলার রাজাপুর উপজেলার চরইন্দ্রপাশা গ্রামে আখি বেগমকে ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় জাহাঙ্গীর হাওলাদারকে মৃত্যুদণ্ড ও ১ লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) দুপুরে ঝালকাঠির নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ আদালতের বিচারক মোহা. বজলুর রহমান এ রায় প্রদান করেন। রায় প্রদানকালে আসামি জাহাঙ্গীর পলাতক ছিল। মামলার অপর ৩ আসামি খালাস প্রাপ্ত হয়।

অতিরিক্ত পিপি এম আলম খান কামাল বলেন, রাজাপুর উপজেলার বদরপুর গ্রামে মৃত তাছেম উদ্দিন হাওলাদারের কণ্যা আখি বেগমকে চরইন্দ্রপাশা গ্রামের মুনসুর হাওলাদারের ছেলে আসামি জাহাঙ্গির হাওলাদার ২০ অক্টোবর ২০০৯ সালে দিবাগত রাতে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে। আসামি জাহাঙ্গির আখি বেগমের সৎ বোনের স্বামী। ২০০৭ সালে জাহাঙ্গির আখি বেগমকে ঢাকার পোশাক কারখানায় চাকরি দেয়ার নাম করে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে ধর্ষণ করে।

এ ঘটনায় আখি বেগম ৭ জুলাই ২০০৭ সালে রাজাপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করে। এ ধর্ষণ মামলায় আদালত জাহাঙ্গিরকে যাবজ্জীবন করাদণ্ড দেয়। এরপর আখিকে জাহাঙ্গির বিয়ে করে ঢাকায় বসবাস করতে থাকে। প্রতিশোধ নিতে সে আখিকে হত্যার পরিকল্পনা করে।

২০০৭ সালের ২০ অক্টোবর মধ্যরাতে আখির ব্যবহৃত মুঠোফোন থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তি তার মাকে জানায় আপনার মেয়ে বাড়িতে এসেছে। আপনি তাকে নেয়ার জন্য ঘর থেকে বাহিরে আসেন। ওই দিন রাতে আখির কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। না পেয়ে বিভিন্ন স্থানে খুঁজে গত ২১ অক্টোবর ২০০৯ সালে মঠবাড়ি ইউনিয়নের চরইন্দ্রপাশা গ্রামের জমির আইলের উপর আখির লাশ পায় তার মা।

এ ঘটনায় আখির মা রশোনা বেগম বাদি হয়ে ৩ জনকে আসামি করে রাজাপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর ৯ (৩) ধারায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরবর্তিতে ফরেনসিক রিপোর্টে আখিকে ধর্ষণের পর হত্যার আলামত পাওয়া যায়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হানিফ সিকদার গত ১২ মে ২০১০ তারিখ আদালতে ৪ জনকে আসামি করে এ মামমলার অভিযোগপত্র দাখিল করেন ১৫ জন সাক্ষী এ মামলায় সাক্ষ্য প্রদান করেন।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এইচএআর

Wordbridge School
Link copied!