• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ঝালকাঠিতে সম্প্রসারিত হচ্ছে কেঁচো কম্পোস্ট


আমিনুল ইসলাম, ঝালকাঠি জানুয়ারি ২১, ২০১৭, ১১:০৯ এএম
ঝালকাঠিতে সম্প্রসারিত হচ্ছে কেঁচো কম্পোস্ট

ঝালকাঠি জেলায় কৃষক পরিবারের ঘরে ঘরে মজুত হচ্ছে ভার্মি কম্পোস্ট (কেঁচো সার)। জেলায় প্রায় স্বল্প আয়ের কৃষক পরিবারে এ সার তৈরি হচ্ছে। বর্তমান শীতকালীন শাক সবজি, ফলের গাছ সহ ধানের ক্ষেতেও এ জৈব সার ব্যবহার করছেন কৃষকরা। আর এই সার উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির জন্য পরিপূরক সার হিসেবে কাজ করছে।

জৈবিকভাবে উৎপাদিত সার পরিবেশের জন্য নিরাপদ। তাই কৃষি বিভাগ নিজস্ব অর্থায়নে ও আইএপিপি প্রকল্পের আওতায় প্রতিটি কৃষক পরিবারে ২-৩টি করে পাকা রিং ও মাগুরা থেকে কেঁচো এনে কৃষকদের মধ্যে সরবরাহ করে সার উৎপাদন করছে।

এখন কৃষকরা চাষাবাদে এ সার প্রয়োগ করার কারনে রাসায়নিক সারের ব্যবহার কমেছে। কৃষকরা নিজেদের প্রয়োজনের পরও তাদের চাহিদা পূরণ করে অন্যদের কাছে সার ও কেচো বিক্রি করে বাড়তি আয় পাচ্ছেন।

জেলায় কেঁচো কম্পোস্ট সার দ্রুত সম্প্রসারণ হচ্ছে এবং এই সম্প্রসারণ ধারা অব্যহত থাকলে রাসায়নিক সারের চাহিদাও কমে আসবে বলে আশা করছে কৃষি বিভাগ।

নলছিটি উপজেলার প্রতাপ গ্রামে সার উৎপাদনকারী কৃষক পরিবারের গৃহবধূ হেপি বেগম জানান তারা এই সার উৎপাদন করে বসত বাড়ির চাষাবাদে এবং ধান ফসলেও ব্যবহার করছেন। একই কথা জানান পূর্ব প্রতাপ গ্রামের রোজিনা বেগম ও ঢাপর গ্রামের কৃষক শাহ আলম গাজী।

মাঠ পর্যায় বাস্তবায়ন করা কোঁচো কম্পোস্ট সার প্রয়োগ পদ্ধতি ও উৎপাদন বিষয় আশার কথা তুলে ধরে উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ বলেন, পুরো জেলায় এ জৈব সার ব্যবহারে কৃষকরা ঝুকে পড়ছেন।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইউ

Wordbridge School
Link copied!