• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

ঝিনাইদহে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৯৩৭ ঘর ফাঁকা


ঝিনাইদহ প্রতিনিধি এপ্রিল ২৬, ২০১৮, ০৫:১৪ পিএম
ঝিনাইদহে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৯৩৭ ঘর ফাঁকা

ঝিনাইদহ : জেলার আশ্রয়ণ প্রকল্পগুলোতে থাকার মতো আগ্রহী লোক মিলছে না। ওই প্রকল্পের ৯৩৭টি ইউনিট ফাঁকা পড়ে আছে। এদিকে মাসের পর মাস ফাঁকা পড়ে থাকায় এগুলো নষ্ট হচ্ছে। জানা গেছে, ১৯৮৮ সালে জেলার কোটচাঁদপুর উপজেলায় রেলওয়ের পরিত্যক্ত জায়গায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ছিন্নমূল মানুষের বসতঘর নির্মাণ করে পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেয়া হয়। প্রতি পরিবারের জন্য টিনের ছাপড়া তৈরি করে দেয়া হয়। সেখানে ১২ পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়। নাম দেয়া হয় গুচ্ছগ্রাম।

ঝিনাইদহ জেলায় এ ধরনের চারটি গুচ্ছগ্রাম করে দেওয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে সরকার বড় পরিসরে ভূমিহীন ছিন্নমূল পরিবারের পুনর্বাসনের জন্য আশ্রয়ণ প্রকল্প গ্রহণ করে। সে লক্ষ্যে উন্নত মানের ব্যারাক নির্মাণ করা হয়। সেখানে পরিবার পিছু একটি করে ইউনিট আছে। ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসকের অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ পর্যন্ত ২৬টি আশ্রয়ণ প্রকল্প নির্মিত হয়েছে। এর মধ্যে ব্যারাক আছে ৩০২টি। ইউনিটের সংখ্যা ২ হাজার ৮২৬টি। এর মধ্যে ৯৩৭টি ফাঁকা পড়ে আছে। আর বাকি ইউনিটগুলোতে হতদরিদ্র পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অনেক পুনর্বাসিত পরিবার কিছুদিন বসবাসের পর আশ্রয়ণ ছেড়ে চলে গেছে। আগে নির্মিত অনেকগুলো ব্যারাক মেরামত না করায় বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথ জানান, আশ্রয়ণ প্রকল্পগুলোর ৯৩৭টি ইউনিট খালি পড়ে আছে। তবে এগুলো কতদিন যাবৎ খালি পড়ে আছে তা সঠিকভাবে বলা যাচ্ছে না। বিভিন্ন সময় এগুলো খালি হয়েছে আবার অনেক ইউনিটে থাকার মতো লোক পাওয়া যায়নি।

এ ছাড়া মানুষের আর্থ সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন হওয়ায় অনেকেই এখানে থাকতে চান না। খালি ইউনিটগুলোতে ভূমিহীন ছিন্নমূল পরিবারকে পুনর্বাসনের ব্যাপারে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

সোনালীনিউজ/এইচএআর

Wordbridge School
Link copied!