• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

টিকিটের জন্য রাত জেগে লাইন


নিজস্ব প্রতিবেদক জুন ১৩, ২০১৭, ০৩:৫৮ এএম
টিকিটের জন্য রাত জেগে লাইন

ঢাকা : পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঘরমুখো যাত্রীদের জন্য বাস ও ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে সোমবার থেকে। তাই কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যের টিকিট সংগ্রহ করতে রাত থেকেই ট্রেন কাউন্টারে ভিড় জমিয়েছেন টিকিটপ্রত্যাশীরা। বাড়ি গমনেচ্ছু মানুষের আরেকটা অংশ ছুটেছেন বিভিন্ন বাস কাউন্টারে। বৃষ্টিতে ভিজেই সোমবার একপ্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে ছুটেছেন তারা। সব কষ্ট ম্লান হয়েছে সোনার হরিণের মতো টিকিটটি হাতে পেয়ে। বাড়ি ফেরার জন্য টিকিট কেনায় এমন যুদ্ধ চলে প্রতিবার। তবে এবার যোগ হয়েছে বৃষ্টির বিড়ম্বনা।

জানা গেছে, সোমবার সকাল ৮টা থেকে ঢাকার কমলাপুর ও চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন থেকে একযোগে টিকিট বিক্রি শুরু হয়। পাশাপাশি সায়েদাবাদ, কল্যাণপুরসহ বিভিন্ন স্থানের কাউন্টার থেকে বাসের আগাম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। তবে সকাল থেকেই ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে চলছে বৃষ্টি। আর সে প্রতিকূলতা উপেক্ষা করেই বাস ও ট্রেন কাউন্টারগুলোতে দেখা গেছে অগ্রিম টিকিট প্রত্যাশী যাত্রীদের দীর্ঘ লাইন।

প্রথম দিন বিক্রি হয়েছে ২১ জুনের ট্রেনের টিকিট। মঙ্গলবার বিক্রি হবে ২২ জুনের, বুধবার দেয়া হবে ২৩ জুনের এবং ১৫ জুন দেয়া হবে ২৪ জুনের টিকিট। এরপর ১৬ জুন বিক্রি হবে ২৫ জুনের টিকিট। কমলাপুর স্টেশনে ৩১টি আন্তঃনগর ট্রেনে ২২ হাজার ১২২ টিকিট দেয়া হচ্ছে। এর মধ্যে ২৫ ভাগ চলে যায় অনলাইনে। ৫ ভাগ যাচ্ছে ভিআইপিদের জন্য এবং ৫ ভাগ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কোটা।

সোমবার সকালে রাজধানীর কমলাপুরে টিকিট বিক্রি কার্যক্রম পরিদর্শন করেন রেলওয়ের মহাপরিচালক আমজাদ হোসেন। তিনি বলেন, একটি ট্রেনের ৬৫ ভাগ টিকিট কাউন্টারের যাত্রীদের জন্য বরাদ্দ থাকে। এছাড়া স্ট্যান্ডিং টিকিটও বিক্রি হয়। এবার গত ঈদের চেয়ে আরও বেশি যাত্রী পরিবহন করা হবে। 

শুরুতেই এসি টিকিট শেষ হয়ে যাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে রেলের মহাপরিচালক বলেন, ২৫ শতাংশ টিকিট অনলাইনে দেয়া হয়। ৫ শতাংশ ভিআইপি কোটা, ৫ শতাংশ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য বরাদ্দ থাকে। বাকি ৬৫ শতাংশ টিকিট কাউন্টারে দেয়া হয়। এজন্য এসি টিকিটের প্রাপ্যতা কমে যায়।

সরেজমিনে দেখা গেছে, ২১ জুনের অগ্রিম টিকিট কাটতে গত রোববার সন্ধ্যার পর পরই স্টেশন কাউন্টারের সামনে লাইন ধরেন প্রচুর যাত্রী। সারা রাত জেগে থেকে লাইনে বসেই অনেকে সেহরি খেয়েছেন। সকালে টিকিট কেটে তবেই তারা বাসায় ফিরেছেন।

ইদ্রিস হায়দার নামের একজন টিকিটপ্রত্যাশী বলেন, গত রোববার ইফতারের পর পরই ৫ নম্বর কাউন্টারের সামনের লাইনে দাঁড়িয়েছিলাম। আমার আগে ছিলেন আরও ১৭ জন। সকালে কাঙ্ক্ষিত টিকিট কাটতে পেরে আমি অনেক খুশি। অন্য সময়ের তুলনায় ভিড়টাও ছিল কম।

সোনালীনিউজ/ এসও

Wordbridge School
Link copied!