• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ট্যানারি বর্জ্যে মাছ-মুরগির খাদ্য তৈরি নয়


আদালত প্রতিবেদক ডিসেম্বর ৭, ২০১৬, ০৩:১৩ পিএম
ট্যানারি বর্জ্যে মাছ-মুরগির খাদ্য তৈরি নয়

ঢাকা: ট্যানারি বর্জ্য দিয়ে মাছ ও পোল্ট্রির খাবার প্রস্তুতকারক অর্ধশতাধিক প্রতিষ্ঠান বন্ধে হাইকোর্টের দেয়া নির্দেশ বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষে করা আপিল বুধবার (০৭ ডিসেম্বর) বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আপিল বেঞ্চ খারিজ করে দেন।

এর ফলে জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকিস্বরূপ ও ক্যান্সারের ঝুঁকিপূর্ণ মৎস্য ও পোল্ট্রি ফিড উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধে আইনগত সব বাধা দূর হলো বলে জানিয়েছেন রিটের পক্ষের আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।

২০১০ সালের ২৪ জুলাই ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টারে ‘বিষাক্ত মুরগির খাদ্যে স্বাস্থ্য ঝুঁকি/মাছ উৎপাদনেও ব্যবহার হচ্ছে ট্যানারি বর্জ্য’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। পরদিন ২৫ জুলাই দৈনিক যুগান্তরে ‘আলোচনা সভায় বিল্ডার্স অ্যাসোসিয়েশন নেতারা, ট্যানারি বর্জ্য মিশিয়ে পোল্ট্রি ফিড প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান এখনই বন্ধ করতে হবে’ শিরোনামে আরেকটি সংবাদ প্রকাশিত হয়।

পত্রিকায় প্রকাশিত এসব প্রতিবেদন যুক্ত করে এরপর হিউম্যান রাইটস পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে একটি রিট করা হয়। সেই রিটের প্রেক্ষতে ২০১০ সালের ২৬ জুলাই ট্যানারি বর্জ্য দিয়ে মাছ ও পোল্ট্রি ফিড প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান বন্ধের নির্দেশ কেন দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে হাইকোর্ট রুল জারি করেন।

পরে ২০১১ সালের ২১ জুলাই রুল যথাযথ (এবসলিউট) ঘোষণা করে রায় দেন হাইকোর্ট। হাইকোর্টের রায়ে ট্যানারি বর্জ্য ব্যবহার করে মৎস্য ও পোল্ট্রি ফিড প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান বন্ধে শিল্প সচিব, বাণিজ্য সচিব, খাদ্য সচিব, স্বাস্থ্য সচিব, মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ সচিব ও পুলিশ মহাপরিদর্শককে নির্দেশ দেওয়া হয়। একইসঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে মৎস্য ও পশু খাদ্য আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশও দিয়েছিলেন আদালত।

হাইকোর্টের সেই রায়ের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ফিশ মিট ও অ্যানিমেল গ্লু প্রস্তুতকারক বহুমুখি সমবায় সমিতি লিমিটেডের সাধারণ সম্পাদক গোলাম সারওয়ার লিভ টু আপিল করেন। সেই লিভ টু আপিল আজ খারিজ করে দেন। 

সোনালীনিউজ/এমএন

Wordbridge School
Link copied!