• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

ট্রাম্পের ‘প্রধান কৌশলবিদ’ অপসারিত, মুখ খুললেন ব্যানন


আন্তর্জাতিক ডেস্ক আগস্ট ১৯, ২০১৭, ০১:২২ পিএম
ট্রাম্পের ‘প্রধান কৌশলবিদ’ অপসারিত, মুখ খুললেন ব্যানন

ঢাকা: ট্রাম্প প্রশাসনের শীর্ষ ব্যক্তিদের বরখাস্তের তালিকায় এবার যুক্ত হল স্টিভ ব্যাননের নাম। হোয়াইট হাউজে শুক্রবারই যে ছিল তার শেষ দিন, সে কথা নিশ্চিত করেছেন প্রেস সেক্রেটারি সারা স্যান্ডার্স। চিফ অব স্টাফ জন কেলির সঙ্গে আলোচনার পরই প্রেসিডেন্টের ‘চিফ স্ট্র্যাটেজিস্ট’ পদটি ছাড়তে হল ব্যাননকে।

এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্টের মুখ্য কৌশল প্রণেতা স্টিভ ব্যানন অপসারণের শিকার হওয়ার পর প্রথমবারের মতো মুখ খুলেছেন। অপসারণ ইস্যুতে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গকে নিজের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তিনি। ব্যানন বলেছেন, ট্রাম্পের বিরুদ্ধে নয়, তার পক্ষেই লড়াই করবেন।

বিবিসির খবরে বলা হয়, শার্লটসভিলে শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্ববাদীদের মিছিলে কিছু ‘ভাল মানুষও’ ছিল, এমন বক্তব্য দিয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যখন বিশ্বজুড়ে সমালোচিত হচ্ছেন, সেই প্রেক্ষাপটে চাকুরি হারালেন ব্যানন। অথচ ক্ষমতায় আসার পর ডোনাল্ড ট্রাম্প ডানপন্থী জাতীয়তাবাদী ব্যাননের জন্যেই এই পদটি সৃষ্টি করেছিলেন।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম জানিয়েছে, উগ্র রক্ষণশীল রাজনৈতিক সংবাদমাধ্যম ব্রেইটবার্ট নিউজ নেটওয়ার্কের এক্সিকিউটিভ চেয়ারম্যান-এর আনুষ্ঠানিক দায়িত্ব ছেড়ে ট্রাম্প প্রশাসনের মুখ্য কৌশল প্রণেতা হয়েছিলেন স্টিভ ব্যানন। তার অপসারণের পর হোয়াইট হাউসের সঙ্গে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন সেই ব্রেইটবার্ট নিউজ নেটওয়ার্কের একজন সম্পাদক।

আর ব্যানন ব্লুমবার্গকে জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার শত্রুদের বিরুদ্ধে লড়াই করছেন। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে নয়, বরং মার্কিন প্রেসিডেন্টের শত্রুদের বিরুদ্ধে তার হয়ে লড়াই করবেন তার এক সময়ের ঘনিষ্ঠতম এই সহযোগী।
ব্লুমবার্গ বিজনেস উইকের সাংবাদিক জসুয়া গ্রিনকে ব্যানন বলেন, আপনাদের মনে যদি কোনও সংশয় থেকে থাকে, সেটা পরিষ্কার করি। আমি হোয়াইট হাইস ছাড়ছি এবং ক্যাপিটাল হিল, সংবাদমাধ্যম এবং কর্পোরেট আমেরিকায় থাকা ট্রাম্পবিরোধীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সামিল হচ্ছি।  

ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণায় ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ দর্শনকে একটি গ্রহণযোগ্য পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে এই গোল্ডম্যান স্যাশ ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকার ব্যাননের বড় ভূমিকা ছিল। ট্রাম্পের জয়ের অন্যতম কারিগর বলেও মনে করা হয় তাকে।

কিন্তু সমালোচকদের অভিযোগ ছিল যে, ব্যানন এন্টি-সেমেটিক এবং শ্বেতাঙ্গ জাতীয়তাবাদীদের পৃষ্ঠপোষকতা করছেন। তিনি হোয়াইট হাউজের অন্য পরামর্শক এবং ট্রাম্প পরিবারের সঙ্গেও দ্বন্দ্বে জড়িয়েছিলেন বলে শোনা যায়।

রিপাবলিকান দলের কয়েকজনের সঙ্গেও তৈরি হয়েছিল শত্রুতা। সেই সঙ্গে মতে মিল ছিলোনা হোয়াইট হাউজের শীর্ষ কর্মকর্তা ম্যাক মাস্টার এবং জেনারেল কেলির সঙ্গেও।

প্রেসিডেন্টের জাতীয় অর্থনৈতিক কাউন্সিলের উপদেষ্টা গ্যারি কোন, কন্যা ইভাঙ্কা ট্রাম্প এবং তার স্বামী জ্যারেড কুশনারও ব্যাননকে কিছু ক্ষেত্রে হুমকি হিসেবে বিবেচনা করছিলেন।

উগ্র ডানপন্থী সংবাদমাধ্যম ব্রাইবার্ট নিউজের সাবেক প্রধান ব্যানন তার পুরনো কর্মক্ষেত্রে ফিরে যাচ্ছেন জানিয়ে বলেছেন, তিনি বরাবরের মতোই ট্রাম্পের পক্ষে থেকে তার রাজনীতি, বাণিজ্য আর সংবাদমাধ্যমের শত্রুদের মোকাবিলা করবেন। ব্যাননের চলে যাওয়ার মধ্য দিয়ে হোয়াইট হাউজের অস্থিতিশীলতা আরও প্রকট হল।

এর আগে কেবল জুলাই মাসেই ট্রাম্প প্রশাসন থেকে চলে যেতে হয় যোগাযোগ উপদেষ্টা অ্যান্থনি স্কারামুচি, চিফ অফ স্টাফ রায়ান্স প্রিবাস এবং মুখপাত্র শন স্পাইসারকে। আর বছরের শুরুতে চাকুরি হারান এফবিআই ডিরেক্টর জেমস কোমি এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইকেল ফ্লিন।


সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন

Wordbridge School
Link copied!