• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

ঠাকুরবাড়ির সংগীত সন্ধ্যায় ‘রবীর বিশ্বছবি’


সাহিত্য-সংস্কৃতি প্রতিবেদক নভেম্বর ২২, ২০১৬, ১০:০১ পিএম
ঠাকুরবাড়ির সংগীত সন্ধ্যায় ‘রবীর বিশ্বছবি’

ঢাকা: কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ির প্রায় সবাই কিছু না কিছু সংস্কৃতি চর্চা করতেন। রবির আলোকচ্ছটায় অন্যদের প্রতিভার প্রচারটা সেভাবে হয়নি। রবীঠাকুরের সূর্যসম প্রতিভার কাছে অন্যরা অনেকটাই ছিলেন ম্লান।

রবীঠাকুরের পরিবারের চার প্রজন্মের সদস্য দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর, জ্যেতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর, দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর, সতেন্দ্রনাথ ঠাকুর, সৌদামিনী দেবী, স্বর্ণকুমারী দেবী, প্রতিভা দেবী, সরলা দেবী, ইন্দিরা দেবী, দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর ও হেমলতা দেবী। আর চার প্রজন্মের এই সদস্যদের গান নিয়ে ‘এমন সুন্দর বিশ্বছবি’ শিরোনামে সংগীত সন্ধ্যার আয়োজন করে যৌথভাবে পশ্চিমবঙ্গের সাংস্কৃতিক সংগঠন রক্তকরবী ও ইন্দিরা।

মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমির সংগীত, আবৃত্তি ও নৃত্যকলা কেন্দ্র মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে ঠাকুরবাড়ির এই গানের আসর। অতিথি ছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মেঝোভাই সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছেলে সুরেন্দ্রনাথ ঠাকুরের বড় ছেলের বড় মেয়ে সুর্পূণা ঠাকুর।

গান শুরুর আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি বলেন, আজকে খুব আনন্দ লাগছে। বাংলাদেশের মানুষের কাছে পুরো ঠাকুর পরিবারের গান পরিবেশন করা হবে। সবার যদি ভালো লাগে, তাহলেই এ আয়োজনের সার্থকতা আসবে।

দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘দেহজ্ঞান দিব্য জ্ঞান’ ও জ্যেতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘জানি তুমি মঙ্গলময়’ গান দু’টির সমবেত পরিবেশনার মধ্য দিয়ে এই আয়োজনের সূচনা ঘটে। অনুষ্ঠানে দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘আজি কি হরষে’, গানটি পরিবেশন করেন পশ্চিমবঙ্গের শিল্পী প্রতীম চক্রবর্তী, সতেন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘কে রচে এমন সুন্দর বিশ্বছবি’ গেয়ে শোনান বাংলাদেশের টিংকু শীল, সতেন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘কেন ভোল চির’ পরিবেশন করেন পশ্চিমবঙ্গের শিল্পী শ্রীনন্দা মল্লিক। 

এছাড়া সৌদামিনী দেবীর ‘প্রভু পূজিব তোমারে’ গান গেয়ে শোনান অপূর্ব তরফদার, জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘ঐ যে দেখা যায় আনন্দধাম’ গানটি শোনা যায় বাংলাদেশের শিল্পী সত্যজিৎ ঘোষের কণ্ঠে, স্বর্ণকুমারী দেবীর ‘দীন দয়াময়’ গানটি পরিবেশন করেন পশ্চিমবঙ্গের শিল্পী প্রবীর ঘোষ, বলেন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘অসীম রহস্য মাঝে’, গানটি গেয়ে শোনান বাংলাদেশের শমী সুহৃদ। শুভ্রতা দাস ও শ্রাবন্তি ধরের দ্বৈতকণ্ঠে শোনা যায় সরলা দেবীর ‘হে বিজন অতিথি’ ও পূরবী বড়ুয়ার কণ্ঠে গীত হয় ইন্দিরা দেবীর ‘তারে রেখো রেখো তব পায়’। বাংলাদেশের নীলোৎপল সাধ্য পরিবেশন করেন ইন্দিরা দেবীর ‘এসো দয়া গলে যাক’, অথৈ দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘পথ পাশে মোর রচিনু দেউল’, পরিবেশন করেন পশ্চিমবঙ্গের শিল্পী শ্রীনন্দা মুখ্যোপাধ্যায়, হেমলতা দেবীর ‘বালক প্রাণে আলোক জ্বালি’ গানটি গীত হয় শ্রীমন্তি মুখোপাধ্যায়ের কণ্ঠে।

একক ও দ্বৈতকণ্ঠের ফাঁকে ফাঁকে জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘আহ্ কি চাঁদনী রাত’ ‘ধন্য তুমি ধন্য’ ও ‘প্রণমামি’ প্রতিভা দেবীর ‘হরি তোমা বীণে’ ও  ইন্দিরা দেবীর ‘আয় বীণা কোলে’  সম্মেলক কণ্ঠে পরিবেশন করেন শিল্পীরা। সম্মেলক কণ্ঠে কবিগুরুর ‘ধূসর জীবনের গোধূলীতে’ গানটির পরিবেশনার মধ্য দিয়ে শেষ হয় এই আয়োজন।

সোনালীনিউজ/এমএন 

Wordbridge School
Link copied!