• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ডাকাত সন্দেহে ঝালকাঠিতে দুই পুলিশ সদস্য আটক


ঝালকাঠি সংবাদদাতা আগস্ট ১৯, ২০১৭, ০৫:০০ পিএম
ডাকাত সন্দেহে ঝালকাঠিতে দুই পুলিশ সদস্য আটক

ঝালকাঠি: জেলায় ডাকাত সন্দেহে বরিশাল আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের দুই সদস্যকে জনতা আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে এলাকাবাসী। তাদেরকে থানা পুলিশ জনতার অক্রোশ থেকে বাঁচাতে থানায় নেয়ার নাম করে ছেড়ে দেয়। শুক্রবার (১৮ আগস্ট) রাত ৮টায় সদরের ভৈরবপাশা ইউনিয়নের নৈয়ারি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ তাদেরকে নিয়মিত মামলা করে গ্রেপ্তার না করে ছেড়ে দেয়ায় জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

এলাকাবসী সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাত ৮টায় নৈয়ারি গ্রামের মুদি দোকানি আলমগীর হোসেনের বাড়িতে জোর করে ৩ ব্যক্তি প্রবেশ করে। এ সময় আলমগীর বাড়িতে ছিল না। তার স্ত্রী পেছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে বিষয়টি মুঠোফোনে তার স্বামীকে জানায়। আলমগীর এলাকাবাসীকে খবর দিলে প্রায় সহশ্রাধিক মানুষ তাদেরকে বাড়িসহ ঘিরে ফেলে।

আটক হওয়া ব্যক্তিরা নিজেদের পুলিশ পরিচয় দিলে এলাকাবসী থানায় খবর দিলে সদর থানার ওসি ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের পরিচয় নিশ্চিত করে। তারা হলেন- বরিশাল আর্মড পুলিশ সদস্য আল হাদি। তার বাড়ি ঝালকাঠি শহরের বাঁশপট্টি এলাকায়। অন্য পুলিশ সদস্য হলেন সিরজুল ইসলাম। তার বাড়ি ঝালকাঠি সদরের চামটা গ্রামে। অন্য ব্যক্তি আটক অবস্থায় পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। সে ঝালকাঠি বিনয়কাঠি ইউনিয়নের ঝালালকাঠি গ্রামের স্বপন খান বলে এলাকাবাসী নিশ্চিত করেছে। তার বিরুদ্ধে বরিশালে মাদক ও দেহ ব্যবসার অভিযোগ রয়েছে। এদিকে ঝালকাঠি থানা পুলিশ আটক পুলিশ সদস্যদের থানায় নিয়ে যাবার কথা বলে ছেড়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

এ বিষয়ে মুদি দোকানি আলমগীর হোসেন বলেন, আমার বাড়িতে পূর্বেও দু’বার ডাকাতি হয়েছে। রাতে তিন ব্যক্তি আমার খোঁজ করার কথা বলে বাড়িতে প্রবেশ করতে চায়। অমার স্ত্রী আমি বাড়িতে নেই বলা সত্বেও তারা জোর করে বাড়িতে প্রবেশ করে।

এ বিষয়ে নথুল্লাবাদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রেজাউল কবির বলেন, এলাকাবাসীর মাধ্যমে জানতে পেরে ঘটনাস্থলে এসে দেখতে পাই কয়েক ব্যক্তিকে বাড়িতে আটক করে জনতা ঘিরে রেখেছে। পরে নিশ্চিত হই আটক দুই ব্যক্তি পুলিশের সদস্য। আটক অন্য ব্যক্তি কৌশলে পালিয়ে যায়। বরিশাল আর্মড পুলিশের সদস্য হয়ে রাতের বেলা কেন তারা অন্য এলাকায় এসে বাড়িতে প্রবেশ করেছে প্রশ্ন করলে উত্তর দিতে পারেনি। আমরা এলাকাবাসীর সহায়তায় তাদেরকে পুলিশে তুলে দিয়েছি। যদি তাদের ছেড়ে দেয়া হয় তবে সে দায় পুলিশের।

এ বিষয়ে ঝালকাঠি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে দুই পুলিশ সদস্যকে বরিশাল আর্মড পুলিশের কাছে প্রেরণ করা হয়েছে। এর বেশি কিছু বলা সম্ভব নয়।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এইচএআর

Wordbridge School
Link copied!