• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ডিআইজি মিজানের সম্পদের খোঁজে দুদক


বিশেষ প্রতিনিধি জুলাই ১২, ২০১৮, ০২:৪৭ পিএম
ডিআইজি মিজানের সম্পদের খোঁজে দুদক

ঢাকা : হিসাব বহির্ভুত সম্পদের খোঁজ পেয়ে আলোচিত পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমান ও তার স্ত্রী সোহেলিয়া আনার রত্নাকে সম্পদ বিবরণী জমা দেওয়ার নোটিশ জারি করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার (১১ জুলাই) দুদকের উপ-পরিচালক ঋত্বিক সাহা স্বাক্ষরিত এ নোটিশ জারি করা হয়।

দুদকের উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য জানান, দুদকের পক্ষ থেকে মিজানুর রহমান ও তার স্ত্রীকে আলাদা নোটিশ দেওয়া হয়েছে। নোটিশে আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে সম্পদের যাবতীয় হিসাব দুদক সচিবের বরাবর জমা দিতে বলা হয়।

এদিকে, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সূত্র জানায়, ডিআইজি মিজান পুলিশের উচ্চপদে থেকে নিয়োগ,তদবির, বদলিসহ অনিয়ম-দুর্নীতিতে জড়িয়ে নানা উপায়ে শত কোটি টাকার মালিক হওয়ার অভিযোগ আসে দুদকে।

আর এই সব অভিযোগ যাচাই-বাছাই শেষে অনুসন্ধানের জন্য গেল ১০ ফেব্রুয়ারি উপ-পরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারীকে দায়িত্ব দেয় দুদক। এ অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে গেল ৩ মে মিজানকে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন অনুসন্ধান কর্মকর্তা।

ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে দুদকের প্রাথমিক অনুসন্ধান প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার সাভারে পুলিশ অফিসার্স হাউজিং সোসাইটিতে তার নিজের নামে পাঁচ কাঠা জমি রয়েছে।

এ ছাড়া পূর্বাচল নতুন শহর এলাকায় ৫ কাঠা, পুলিশ অফিসার্স বহুমুখী সমবায় সমিতির অধীনে অ্যাডভান্স পুলিশ টাউনে সাড়ে ৭ কাঠার প্লট ছাড়াও বরিশালের মেহেদীগঞ্জ পৌরসভা এলাকায় ৩২ শতাংশ জমিতে ২৪০০ বর্গফুটের দোতলা ভবন করেছেন বলে দুদকের অনুসন্ধানে এসেছে।

অন্যদিকে, ডিআইজি মিজানের স্ত্রী সোহেলিয়া আনার রত্নার নামে উত্তরা রেসিডেন্সিয়াল মডেল টাউনে ১৭৫০ বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাট ৬৩ লাখ ৯০ টাকায় কিনেছেন বলে অনুসন্ধান প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে দুদক। আর মিজানের ছোট ভাই মাহবুবুর রহমান স্বপনের নামে রাজধানীর নিউ বেইলি রোডে ২৪০০ বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাট রয়েছে।

বরিশালের মেহেদীগঞ্জ পৌরসভা ওষুধ ব্যবসা করে স্বপনের ৫৫ লাখ ৫১ হাজার ৮৪০ টাকা দিয়ে এ ফ্ল্যাট কিনলেও এতে তার বড় ভাই মিজানের বিনিয়োগ থাকতে পারে বলে দুদকের প্রতিবেদনে বলা হয়।

মিজানের ভাগিনা রাজধানীর কোতোয়ালি থানার ভার প্রাপ্ত কর্মর্কতা (এসআই) মাহামুদুল হাসানের নামে নগরীর পাইওনিয়ার রোডে ১৯১৯ বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাট রয়েছে। ২০১৬ সালে আগস্টে তিনি এসআই পদে যোগ দেওয়ার আগে ৬৬ লাখ ১৮ হাজার ৮০ টাকা দিয়ে এই ফ্ল্যাট কেনা হয় উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।

দুদক আরও বলছে, ওই ফ্ল্যাট কেনার ক্ষেত্রে ডিআইজি মিজানুর রহমানের বিনিয়োগের সংশ্লিষ্টতার প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া যায়।

এ বছরের জানুয়ারিতে ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে স্ত্রী-সন্তান রেখে আরেক নারীকে জোর করে বিয়ে ও নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে। এর মধ্যেই এক সংবাদপাঠিকা হুমকি দেওয়ারও অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। আর তিনি পুলিশের সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্রাইম বিভাগে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন করেন।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআরসি/এইচএআর

Wordbridge School
Link copied!