• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ড্রয়ে রানার্সআপ রিয়াল, জুভেন্টাস গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন


ক্রীড়া ডেস্ক ডিসেম্বর ৮, ২০১৬, ০১:২৩ পিএম
ড্রয়ে রানার্সআপ রিয়াল, জুভেন্টাস গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন

সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের সঙ্গে ২-২ গোলে ড্র করে রিয়াল মাদ্রিদ। এমন হতাশার দিনেও রেকর্ড গড়েছে জিনেদিন জিদানের দল। ক্লাবের ইতিহাসে রেকর্ড সর্বোচ্চ ৩৪ ম্যাচে অপরাজিত থাকার রেকর্ড স্পর্শ করলো লস ব্লাঙ্কোসরা।

১৯৮৮/৮৯ মৌসুমে ডাচ কিংবদন্তি কোচ লিও বেনহ্যাকারের অধীনে টানা ৩৪ ম্যাচ অপরাজিত ছিল রিয়াল। বুধবার রাতে সেই রেকর্ড স্পর্শ করে এখন ছাড়িয়ে যাওয়ার অপেক্ষায় জিদান।

বেনহ্যাকারের দল ১৯৮৮-র ২ অক্টোবর থেকে ১৯৮৯ সালের ৯ এপ্রিল পর্যন্ত অপরাজিত ছিল ১৮৯ দিন। এই সময়ে ৩৪ ম্যাচের ২৫টিতে জয় আর ৯টিতে ড্র করে তার দল। জিনেদিন জিদানের দল শেষবার ভলফসবুর্গের কাছে হেরেছিল গত এপ্রিলে। এইবারের বিপক্ষে ৯ এপ্রিল জয় পায় ২-০ গোলে। তখন থেকে টানা ২৪৩ দিন আর ৩৪ ম্যাচে কোনো হারের মুখ দেখেনি সান্তিয়াগো বার্নাব্যুর দলটি। সমান ২৫টি জয়ের পাশাপাশি ৯টিতে ড্র করে রিয়াল।

গোল করার দিক থেকে বেনক্যাহারের দলকে ছাড়িয়ে গেছে জিদানের দল। ৯০’র দশকে অপ্রতিরোধ্য রিয়াল ৩৪ ম্যাচে ৮৬ গোল করার পাশাপাশি ৩৫ গোল হজম করে। অন্যদিকে জিদানের অধীনে ৯৫ গোল করা রিয়াল গোল হজম করে ৩২টি। আগামী শনিবারর ঘরের মাঠে স্প্যানিশ লা লিগায় দেপোর্তিভো লা করুনাকে আতিথ্য দেবে রিয়াল মাদ্রিদ। সেই ম্যাচে হার এড়াতে পারলেই নতুন ইতিহাস গড়বে জিদানের দল।

অবশ্য কোনো স্প্যানিশ দল হিসেবে টানা ৩৯ ম্যাচ অপরাজিত থাকার রেকর্ড থেকে অনেক দূরেই আছে রিয়াল মাদ্রিদ। লুইস এনরিকের অধীনে গত মৌসুমে টানা ৩৯ ম্যাচ অপরাজিত ছিল বার্সা।

এদিকে বুফনকে না পেলেও জুভেন্টাসের গোলপোস্ট ছিল অভেদ্য। বরং দারুণ এক জয়ে শীর্ষে উঠেছে তারা। আর এবারের চমক লিস্টার বিধ্বস্ত হয়েছে পোর্তোর মাঠে। গনসালো হিগুয়েইনের চমৎকার গোলে চ্যাম্পিয়নস লিগের ‘এইচ’ গ্রুপের শীর্ষস্থান নিশ্চিত করেছে জুভেন্টাস। তুরিনে তারা ডায়নামো জাগরেবকে ২-০ গোলে হারায়। নিষ্প্রাণ প্রথমার্ধের পর ম্যাচে প্রাণ ফেরান হিগুয়েইন। বিরতির কিছুক্ষণ পর ১-০ গোলে দলকে এগিয়ে দেন আর্জেন্টাইন তারকা। দ্বিতীয় গোলটি করে জুভেন্টাসের গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন মর্যাদা পাকা করেন দানিয়েল রুগানি।

এই ম্যাচে একাদশে ছিলেন না জিয়ানলুইজি বুফন। ২০০৮ সালের ডিসেম্বরের পর প্রথমবার চ্যাম্পিয়নস লিগে জুভেন্টাসের জার্সি গায়ে দিলেন না ইতালিয়ান গোলরক্ষক। ইউরোপের শীর্ষ টুর্নামেন্টে টানা ৫০ ম্যাচ খেলার পর এই প্রথম বিশ্রাম দেওয়া হলো বুফনকে।

জুভদের গ্রুপের আরেক ম্যাচে সেভিয়া গোলশূন্য ড্র করেছে লিঁওর সঙ্গে। ফরাসি ক্লাবের সঙ্গে ড্র করেও শেষ ষোলো নিশ্চিত করেছে সেভিয়া। তিনে থেকে আগামী মৌসুমের ইউরোপা লিগ খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে লিঁও।

অন্যদিকে চ্যাম্পিয়নস লিগে অজেয় থাকার রেকর্ডে ইতি টানতে হয়েছে লিস্টার সিটিকে। ‘জি’ গ্রুপের শীর্ষ দল হিসেবে শেষ ষোলো নিশ্চিত হওয়ায় পোর্তোর মাঠে দ্বিতীয় সারির দল নামান কোচ ক্লাউদিও রানিয়েরি। আমূলে বদলে যাওয়া দলটিকে ৫-০ গোলে বিধ্বস্ত করে শেষ নকআউট পর্বের টিকিট পেয়েছে পোর্তো। প্রথমার্ধে আন্দ্রে সিলভা, জিসাস করোনা ও ইয়াসিন ব্রাহিমির গোলের পর দ্বিতীয়ার্ধে লক্ষ্যভেদ করেন সিলভা ও দিয়োগো জোতা। এফসি কোপেনহেগেন ২-০ গোলে ক্লাব ব্রুগকে হারিয়ে ইউরোপা লিগের টিকিট পেয়েছে।

ওয়েম্বলিতে জয়খরা কাটিয়েছে টটেনহ্যাম হটস্পার। সিএসকেএ মস্কোর বিপক্ষে ৩-১ গোলে জিতে ইউরোপা লিগে নতুন মিশন শুরু করার সুযোগ তৈরি করল মাউরিসিও পচেত্তিনোর শিষ্যরা। তাদের গ্রুপ ‘ই’র শীর্ষ দল মোনাকোকে ৩-০ গোলে হারিয়ে আত্মবিশ্বাস বাড়াল বায়ার লেভারকুসেন। যদিও গ্রুপ চ্যাম্পিয়নের জায়গায় অনড় মোনাকো (১১ পয়েন্ট)। এক পয়েন্ট কমে গ্রুপ রানার্সআপ লেভারকুসেন।

‘এফ’ গ্রুপ থেকে আগেই ছিটকে যাওয়া লেগিয়া ওয়ারশ ১-০ গোলে স্পোর্তিং লিসবনকে হারিয়ে ইউরোপা লিগের টিকিট পেয়েছে। সূত্র- ইএসপিএনএফসি

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!