• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

‘ঢাকার বাইরে যাচ্ছি’


শরীয়তপুর প্রতিনিধি মার্চ ১৩, ২০১৮, ০৬:১৫ পিএম
‘ঢাকার বাইরে যাচ্ছি’

শরীয়তপুর: বাসা থেকে বের হওয়ার সময় বড় বোন শিউলীকে বলেছিলেন- ‘ঢাকার বাইরে যাচ্ছি।’ এটাই ছিল পরিবারের কারও সঙ্গে ফয়সালের শেষ কথা। কিন্তু নেপালে ঘুরতে যাওয়ার কথা বন্ধুবান্ধব বা পরিবারের কাউকেই বলেননি বৈশাখী টেলিভিশনের সাংবাদিক ফয়সাল আহমেদ। কর্মস্থল থেকে পাঁচ দিনের ছুটি নিলেও অফিসের কাউকেও না জানিয়েই নেপাল গিয়েছিলেন তিনি।  

কিন্তু সোমবার (১২ মার্চ) নেপালে বিমান দুঘর্টনায় নিহত ৫০ জনের তালিকায় সাংবাদিক ফয়সালের নামও রয়েছে।

শরীয়তপুরের ডামুড্যা পৌর এলাকার সামসুদ্দিন সরদার ও সামসুন্নাহার বেগমের বড় ছেলে ফয়সাল আহমেদ (২৯)। পাঁচ ভাই বোনের মধ্যে সে দ্বিতীয়। 

২০০৪ সালে ডামুড্যা মুসলিম উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাশ করার পর ঢাকায় তিতুমীর কলেজে এইচএসসি এবং স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি থেকে অনার্স সম্পন্ন করেন ফয়সাল। ব্যক্তিজীবনে অবিবাহিত ফয়সাল বৈশাখী টেলিভিশনের স্টাফ রিপোর্টার ছিলেন।

রাজধানীতে ধানমন্ডির ১৫ নম্বরে বড় বোন শিউলী আক্তারের বাসায় থাকতেন তিনি।  সর্বশেষ গত ৮ থেকে ৯ মাস আগে পারিবারিক একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিতে শরীয়তপুর এসেছিলেন ফয়সল।

ফয়সালের বাবা সামসুদ্দিন সরদার জানান, ছেলে যে নেপাল গিয়েছে সেটা পরিবারের কেউই জানতো না। বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার অনেক পড়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বাহাদুর বেপারি ফোন দিয়ে ফয়সাল কোথায় জানতে চান। এরপর তিনি বড় মেয়েকে ফোন দেন। তখন বড় মেয়ে জানায়,  ফয়সাল ঢাকার বাইরে যাওয়ার কথা বলে সকালে বাসা থেকে বের হয়েছে। রাতে তারা নিশ্চিত হন নেপালে বিধ্বস্ত বিমানে ফয়সাল ছিল।

সোমবার (১২ মার্চ) চার জন ক্রু ও ৬৭ যাত্রীসহ মোট ৭১ জন আরোহী নিয়ে ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট ঢাকা থেকে রওনা দিয়ে নেপালের স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ২০ মিনিটে কাঠমান্ডু বিমানবন্দরে পৌঁছায়। অবতরণের সময় বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। এরপর বিমানবন্দরের কাছেই একটি ফুটবল মাঠে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। এই দুর্ঘটনায় এ পর্যন্ত ৫০ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ২৬ জন বাংলাদেশি। 

সোনালীনিউজ/জেএ

Wordbridge School
Link copied!