• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ঢাকার রেস্তোরাঁয় ৬ মাস ফ্রিজে রাখা পঁচা মাংস!


বিশেষ প্রতিনিধি মে ২৫, ২০১৮, ০৮:২১ পিএম
ঢাকার রেস্তোরাঁয় ৬ মাস ফ্রিজে রাখা পঁচা মাংস!

ঢাকা: পঁচা মাংস বিক্রি ও সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে মাংস বিক্রির অভিযোগে রাজধানীর কাপ্তান বাজারে অভিযান চালিয়েছে র‌্যাব ভ্রাম্যমাণ আদালত।
শুক্রবার (২৫ মে) সকাল ৯টা থেকে দুপুর পৌনে ১টা পর্যন্ত চলে এ অভিযান।

ওই অভিযান চালায় র‌্যাব-১০, বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) প্রতিনিধি ও জেলা বাজার নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তারা। অভিযানে ১৩টি প্রতিষ্ঠান থেকে ৪ মণ পঁচা মাংস জব্দ করা হয়।

এ ছাড়া পানিতে চুবিয়ে রেখে মাংসের ওজন বাড়ানো এবং ওজনে কম দেয়ায় আটক ১৬ জনের পাঁচজনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড এবং বাকিদের সোয়া ছয় লাখ টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের নেতৃত্ব প্রদানকারী র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম বলেন, কাপ্তান বাজারের অধিকাংশ মাংসের দোকানে টাটকা মাংস নেই। ফ্রিজের বাইরে রাখা মাংসের ওপরে অসংখ্য মাছি ভনভন করে উড়ছিল। কোথাও মাংস পানিতে চুবিয়ে ওজন বাড়ানের অপকৌশলও দেখা গেছে।

সারওয়ার আলম আরও বলেন, জব্দ করা চার মণ পঁচা মাংস ফ্রিজে রাখা ছিল, যা প্রায় ছয়মাস আগের বলে দণ্ডপ্রাপ্তরা স্বীকার করেছেন। ওই মাংসগুলো বিভিন্ন রেস্তোরাঁ বা হোটেলে বিক্রি করা হতো। এ ছাড়া ওজন বাড়াতে খাসির মাংস পানিতে ভিজিয়ে রাখা হয়েছিল।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম জানান, রমজানের আগে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) ও মাংস ব্যবসায়ীদের যৌথ সিদ্ধান্তে গরুর মাংসের কেজি ৪৫০ টাকা ও বিদেশি গরুর মাংস ৪২০ টাকা নির্ধারণ থাকলেও বাজারের ব্যবসায়ীরা ৫০০ টাকা দরে তা বিক্রি করছিল।

এ ছাড়া ভেড়া ৬০০ টাকার জায়গায় বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকা এবং ছাগলের মাংস ৭২০ টাকা নির্ধারণ থাকলেও সেখানে ৮০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছিল। তা ছাড়া বেশ কয়েকটি দোকানী অনেক দিনের পুরাতন ও পঁচা মাংস বিক্রি করছিলেন।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরও জানান, কাপ্তান বাজারের ফরহাদ মাংসের দোকানের রতন ও কাউসার হামিদ নামে দুজনকে দুই মাস করে কারাদণ্ড দেয়া হয়। আর আলিম মুন্সির খাসির দোকানের রুবেল শেখকে দুই মাসের কারাদণ্ড,

মনু মিয়ার খাসির গোশতের দোকানের মো. নাজিম ও হায়দারকে দুই মাসের কারাদণ্ড, মেসার্স বিল্লাল এন্টারপ্রাইজের মো. রকি ও বুলুকে ২৫ হাজার টাকা করে মোট ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে এক মাসের কারাদণ্ড, মনিরের মাংসের দোকানের মনির হোসেনকে ৫০ হাজার টাকা অনাদায়ে এক মাসের কারাদণ্ড,

জসিম গরুর গোশতের দোকানের নয়ন মিয়াকে এক লাখ টাকা অনাদায়ে তিন মাসের কারাদণ্ড, ত্রিরত্ম গরুর মাংসের দোকানের মো. রুবেল চিশতীকে এক লাখ টাকা ও অনাদায়ে তিন মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

এ ছাড়া লাট মিয়ার পিয়র খাসির দোকানের হাজী মো. শওকত আলীকে ৭৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে দুই মাসের কারাদণ্ড, আকবর স্টোর মাংসের দোকানের মিলু শেখ, আলিম বিফ শপের আরমান,

আজগর মাংসের দোকানের মো. আজগর ও লাল বাবুর মাংসের দোকানের গুলজার খানকে ৫০ হাজার টাকা ও অনাদায়ে এক মাস করে কারাদণ্ড, জনপ্রিয় চায়ের দোকানের মো. শাহ আলমকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে দুই মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়।

বিএসটিআই পরিদর্শক বিল্লাল হোসেন জানান, মাংসের ওজন বাড়াতে তা পানিতে ভিজিয়ে রাখা হয়েছিল। এটি পেটের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এই ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

সোনালীনিউজ/জেডআরসি/এমএইচএম

Wordbridge School
Link copied!