• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ঢাকাসহ সারা দেশে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ৮


নিজস্ব প্রতিবেদক মে ২৫, ২০১৮, ০২:৫৩ পিএম
ঢাকাসহ সারা দেশে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ৮

ঢাকা: ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ আট ব্যক্তি নিহত হয়েছে। শুক্রবার (২৫ মে) ভোর ও বৃহস্পতিবার (২৪ মে) রাতে কথিত এসব বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলছে নিহত ব্যক্তিরা মাদক ব্যবসায়ী। 

ঢাকা: তেজগাঁও বিজি প্রেস এলাকায় র‍্যাব-২-এর সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ কামরুল ইসলাম (৩৫) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মিজান রাত দেড়টার দিকে কামরুলকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। কর্তব্যরত চিকিৎসক কামরুলকে মৃত ঘোষণা করেন। র‍্যাব বলছে, নিহত কামরুল মাদক ব্যবসায়ী। তাঁর বাসা রাজধানীর মহাখালীর দক্ষিণপাড়ায়।

ময়মনসিংহ: রাত পৌনে দুইটার দিকে শহরের পুরোহিত পাড়া রেল কলোনি এলাকায় পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ রাজন (৩০) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।

ডিবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশিকুর রহমানের ভাষ্য, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রেল কলোনি এলাকায় ডিবি অভিযানে যায়। এ সময় মাদক ব্যবসায়ীরা গুলি ছোড়ে। ডিবিও পাল্টা গুলি করে। এতে রাজন নিহত হন।

ডিবি বলছে, ঘটনাস্থল থেকে তিনটি গুলির খোসা, একটি চাইনিজ কুড়াল, একটি ধারালো হাঁসুয়া উদ্ধার করা হয়েছে। রাজন ময়মনসিংহ শহরের শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীদের একজন। তাঁর নামে ৮-৯টি মামলা রয়েছে।

শেরপুর: দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে সদর উপজেলার সাতপাকিয়া গ্রামে পুলিশের সঙ্গে কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন মো. আজাদ (২৮) নামের এক ব্যক্তি। তাঁর বাড়ি পার্শ্ববর্তী মরাকান্দি গ্রামে।

পুলিশ বলছে, নিহত আজাদ কালু ডাকাত হিসেবে পরিচিত ছিলেন। বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় পুলিশের চার সদস্য আহত হয়েছেন।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, নিহত আজাদ জেলার একজন শীর্ষ সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী। তাঁর বিরুদ্ধে সদর থানায় ১৫টি মামলা রয়েছে। পুলিশের ভাষ্য, মাদক উদ্ধারে গেলে তাদের সঙ্গে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এতে আজাদ নিহত হন।

নেত্রকোনা: দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে সদর উপজেলার মদনপুর মনাং এলাকায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুই ব্যক্তি নিহত হন। তাঁদের বাড়ি কক্সবাজার জেলায় বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার জয়দেব চৌধুরী। তবে নিহত ব্যক্তিদের নাম এখনো জানাতে পারেনি পুলিশ।

নেত্রকোনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) এস এস আশরাফুল আলম বলেন, মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে ওই এলাকায় অভিযানে যায় পুলিশ। এ সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়। পুলিশও পাল্টা গুলি করে। এতে দুই ব্যক্তি নিহত হন। তাঁরা মাদকের বড় ব্যবসায়ী।

পুলিশ সুপার জয়দেব চৌধুরী বলেন, ঘটনাস্থল থেকে দুটি পাইপ গান, ৭০৫ গ্রাম হেরোইন ও তিন হাজার পাঁচটি ইয়াবা বড়ি জব্দ করা হয়। পুলিশ বলছে, বন্দুকযুদ্ধের এই ঘটনায় তাদের চার সদস্য আহত হয়েছেন।

গাইবান্ধা: ফুলছড়ি উপজেলার বালাসীঘাটে আজ ভোরে পুলিশের সঙ্গে কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন জুয়েল (৪৬) নামের এক ব্যক্তি। তাঁর বাড়ি শহরের ব্রিজ রোড কালীবাড়ী এলাকায়।

নিহত ব্যক্তির বিরুদ্ধে অন্তত এক ডজন মাদকের মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছেন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মাদ শাহরিয়ার। পুলিশ বলছে, জুয়েলের কাছে একটি আগ্নেয়াস্ত্রসহ কিছু মাদকদ্রব্য পাওয়া গেছে।

ঝিনাইদহ: কালীগঞ্জ উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ শামিম হোসেন (৪৫) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। রাত ১১টার দিকে কালীগঞ্জ শহরের বলিদাপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত শামিম শহরের শিবনগর এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন। পুলিশ বলছে, শামিম চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী।

কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, বন্দুকযুদ্ধে পুলিশের চার সদস্য আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, তিনটি গুলি, ১৭ বোতল ফেনসিডিল ও ৪৮০টি ইয়াবা বড়ি জব্দ করা হয়েছে।

ওসি বলেন, পুলিশের একটি টহলদল সড়কে টহল দিচ্ছিল। এ সময় সন্দেহভাজন কয়েক ব্যক্তিকে দেখে তাদের থামতে বলে পুলিশ। সন্দেহভাজন ব্যক্তিরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। এতে শামিম নিহত হন।

নিহত শামিমের স্ত্রী শামছুন্নাহারের ভাষ্য, তাঁর স্বামী নছিমন-করিমন গাড়ির যন্ত্রাংশ বিক্রি করতেন। কালীগঞ্জ শহরের বিহারি মোড়ে তাঁর দোকান রয়েছে। বুধবার বিকেলে সাদা পোশাকের কয়েকজন ব্যক্তি তাঁকে দোকান থেকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়।

কুমিল্লা: বুড়িচং উপজেলার মহিষমারা এলাকায় আজ ভোরে কামাল ওরফে ফেন্সি কামাল নামের এক ব্যক্তি পুলিশের সঙ্গে কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন। বার্তা সংস্থা ইউএনবি এই তথ্য জানায়। নিহত কামালের বাড়ি আদর্শ সদর উপজেলার রাজমঙ্গলপুর গ্রামে।

বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনোজ কুমার দে বলেন, কামালের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ১২টি মামলা রয়েছে। কামালের দুই সহযোগী হানিফ ও ইলিয়াসকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ছাড়া ঘটনাস্থল থেকে একটি এলজি ও ৫০ কেজি গাঁজা জব্দ করা হয়।

র‍্যাব ও পুলিশের মাদকবিরোধী অভিযানের ১১তম দিনে এসে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত ব্যক্তির সংখ্যা অর্ধশত ছাড়িয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দাবি, নিহত ব্যক্তিদের বেশির ভাগই মাদক ব্যবসায়ী।

সোনালীনিউজ/জেএ

Wordbridge School
Link copied!