• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ঢাবি ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতি: ছাত্রলীগ নেতাসহ আটক ১৫


ঢাবি প্রতিনিধি অক্টোবর ২০, ২০১৭, ০১:০৭ পিএম
ঢাবি ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতি: ছাত্রলীগ নেতাসহ আটক ১৫

ঢাবি: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে ছাত্রলীগ নেতাসহ ১৫ জনকে আটক করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) দিবাগত রাতে ও শুক্রবার (২০ অক্টোবর) সকালে পরীক্ষা চলাকালে ঢাবি প্রশাসনের সহযোগিতায় তাদের আটক করা হয়।

আটককৃতদের মধ্যে ১২ জনকে কারাদণ্ড দিয়েছে ঢাকা জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এছাড়া চক্রের ‘মাস্টারমাইন্ড’ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে সিআইডি।

মামলার আসামিরা হলেন- কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ সম্পাদক ও ঢাবির পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের মহিউদ্দিন রানা, ফলিত রসায়ন বিভাগের আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং অপর এক শিক্ষার্থী ইশরাক আহমেদ রাফী। তাদের কাছ থেকে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির কমিউনিকেশন ডিভাইস (মাস্টার কার্ড সদৃশ) ও অতি ক্ষুদ্র ইয়ারপিস এবং মোবাইল ফোনসেট উদ্ধার করা হয়েছে।

সিআইডির গণমাধ্যম শাখার সিনিয়র এএসপি শারমিন জাহান জানান, ঢাবির একুশে হল থেকে আবদুল্লাহ আল মামুন এবং শহিদুল্লাহ হল থেকে মহিউদ্দিন রানাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের দেয়া তথ্যে ঢাবির ‘ঘ’ ইউনিটের পরীক্ষাকেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবরেটরি স্কুল থেকে অসদুপায় অবলম্বনকারী ইশরাক আহমেদ রাফীকে আটক করা হয়।

তারা উদ্ধার হওয়া আধুনিক ও ক্ষুদ্র কমিউনিকেশনস ডিভাইস ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রশ্নের উত্তর বলে দিত। ওই ডিভাইসটি মানিব্যাগে রেখে কানে হেডফোন দিয়ে পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ করতো। প্রশ্ন পাওয়ার পর পরীক্ষার্থীরা সেট নম্বর বললেই চক্রের সদস্যরা উত্তর বলে দিত। প্রতি কন্ট্রাকে পরীক্ষার্থীদের দুই থেকে পাঁচ লাখ টাকা চক্রের সদস্যদের দিতে হতো।

শারমিন জাহান আরো জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এই চক্রের সদস্যরা অভিনব এই পদ্ধতিতে বিভিন্ন কোচিং সেন্টার এবং ছাত্রাবাসের শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করে ঢাবি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়সহ (জাবি) অন্যান্য ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা করে টাকা হাতিয়ে নিত।

এদিকে ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে ১২ জনকে এক মাস করে কারাদণ্ড দিয়েছে ঢাকা জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। আদালত পরিচালনা করেন ঢাকা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তৌহীদ এলাহী। সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- কিশোরগঞ্জের ইশতিয়াক আহমেদ, গাইবান্ধার আব্দুল্লাহ আল মুকিম ও মোহাম্মমদ রিশাদ কবির, পাবনার মিরাজ আহমেদ, বগুড়ার জয়সাহা, কুমিল্লার নূর মোহাম্মদ মাহবুব, রেজোয়ানা শেখ শোভা, ও মাসুকা নাসরিন রোজা, ময়মনসিংহের তারিকুল ইসলাম, রংপুরের নাসিরুল হক নাহিদ, ফরদপুরের এম ডি ফারহাতুল আলম রাফি, নাটোরের মো. মিনারুল।

তৌহিদ এলাহী জানান, মাস্টারকার্ডের মত ইলেক্ট্রনিক ডিভাইসে সিম কার্ড ঢুকিয়ে কেন্দ্রের বাইরে যোগাযোগ করে উত্তর সংগ্রহের সময় তাদের হাতে নাতে আটক করা হয়। পরে তাদের প্রত্যেককে এক মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়।

আদালত পরিচালনার সময় উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ এম আমজাদ, সহকারী প্রক্টর মো. সোহেল রানা, ড. এ কে লুতফুল কবীর, অধ্যাপক মাইনুল ইসলাম, অধ্যাপক রবিউল ইসলাম প্রমূখ।

শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে বাইরে ৮৬টি কেন্দ্রে এক ঘণ্টার এই এমসিকিউ পরীক্ষা হয়, যাতে এক হাজার ৬১০টি আসনের বিপরীতে পরীক্ষার্থী ছিলেন ৯৮ হাজার ৫৪ জন।

  সোনালীনিউজ/ঢাকা/এইচএআর

Wordbridge School
Link copied!