• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ঢাবিতে ক্যাম্পাস জার্নালিজম অ্যাওয়ার্ড প্রদান


ঢাবি প্রতিনিধি জুলাই ২৯, ২০১৭, ১১:৩৫ এএম
ঢাবিতে ক্যাম্পাস জার্নালিজম অ্যাওয়ার্ড প্রদান

ঢাকা: বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রচারের জন্য জন্য ‘ক্যাম্পাস জার্নালিজম অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (ডুজা)। শুক্রবার (২৮ জুলাই) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে এ উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে দু’টি ট্রাস্ট ফান্ডের মাধ্যমে ৬ জনকে অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়।

এর মধ্যে ‘শহীদ শাহ চিশতী হেলালুর রহমান ট্রাস্ট ফান্ড’ হতে অ্যাওয়ার্ড বিজয়ীরা হলেন, ১ম–আব্দুল করিম (ডেইলি অবজারভার), ২য় (যৌথভাবে) সাইফ সুজন (দৈনিক বণিকবার্তা) ও মাহাদী আল মুতাসির (দ্যা ডেইলি স্টার) এবং ৩য়- আসিফুর রহমান (প্রথম আলো) । ‘মনোয়ার আহমেদ স্মৃতি ট্রাস্ট ফান্ড’ হতে ১ম (যৌথভাবে) অ্যাওয়ার্ড বিজয়ী- তপন কান্তি রায় (বিডিনিউজ২৪ কম) ও মাহমুদুল হাসান নয়ন (যুগান্তর), ২য় এবং ৩য় পুরস্কার জেতেন মাহাদী আল মুতাসির (দ্যা ডেইলি স্টার)।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মফিজুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ ড. কামাল উদ্দিন। ডুজা’র সভাপতি ফরহাদ উদ্দিনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক ফররুখ মাহমুদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন প্রেসক্লাবের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াছ খান, ডুজা’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল করিমসহ বিভিন্ন ছাত্র সংঘটনের নেতৃবৃন্দ।

স্বাগত বক্তব্যে অধ্যাপক মফিজুর রহমান বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যারা সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত, তারা একাডেমিক পড়াশুনার পাশাপাশি সাংবাদিকতা করেন। অনেক কষ্ট করতে হয়। তাই সবাই অ্যাওয়ার্ড পেলে ভালো লাগতো। ক্যাম্পাসে প্রায় ৪০ জনের অধিক সাংবাদিক আছে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষ্ঠানগুলোতে তাদের এন্ট্রির সংখ্যা কম থাকে। তা বাড়াতে হবে। প্রতিষ্ঠানের প্রতি আমাদের যে দায়িত্ব তা ভুলে গেলে চলবে না।

ড. কামাল উদ্দিন বলেন, ক্যাম্পাসে রিপোর্টিংয়ে যেভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিবাচক দিক তুলে ধরা হয়, তেমনি মাঝে মাঝে নেতিবাচক দিকও তুলে ধরতে দেখা যায়। তবে ছাত্র-ছাত্রীদের সমস্যাগুলো নিয়ে করা নেতিবাচক রিপোর্ট গ্রহণযোগ্য। সত্য তুলে ধরা উচিত কিন্তু মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতে রিপোর্ট করা কাম্য নয়।

‘উন্নয়নশীল দেশগুলোতে সাংবাদিকতা করা কঠিন কাজ। কারণ এখানে দুর্নীতি বেশি হয়। তারপরও সারাবিশ্বে সাংবাদিকরা অনেক অবদান রেখে চলেছে। পানামা পেপারস ফাঁসের পেছনে সাংবাদিকদের অবদান রয়েছে। যার একটি বড় ফলাফল দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত হয়ে আজকে (২৮ জুলাই) পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ। তাই সাংবাদিকদের উচিত এ রকম বিষয়গুলি বেশি বেশি করে জনগণের সামনে নিয়ে আসা।’

ইলিয়াছ খান বলেন, অনেক রিপোর্ট হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে নিয়ে। কিন্তু সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে রিপোর্টের প্যাটার্ন পরিবর্তন হয়।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিক বলেন, আজকে একবিংশ শতাব্দী চলছে। জ্ঞান, বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তিতে আমরা বহু দূর এগিয়ে এসেছি। তথ্য-প্রযুক্তি বিশ্ব জগতকে আমাদের হাতের মুঠোয় নিয়ে এসেছে। এই জায়গায় মূল ভূমিকা হিসেবে কাজ করেছে যোগাযোগ মাধ্যম বা গণমাধ্যম। এটি যত এগিয়ে যাবে পৃথিবী ততো ছোট হয়ে আসবে।

পৃথিবীতে বহু সম্পদ রয়েছে। তবে সবচেয়ে বড় সম্পদ হচ্ছে মানুষের মেধা। এ মেধা ও তথ্য দু’টিকে মিলিয়েই পৃথিবী এগিয়ে চলছে।

তিনি আরো বলেন, সাংবাদিকতার মূল কাজ হচ্ছে বস্তুনিষ্ঠতার সাথে সংবাদ পরিবেশন করা। আজকে বাংলাদেশে যে সমস্যাগুলো আছে, সংকটগুলো আছে তা সাধারণ মানুষের কাছে সঠিকভাবে পৌঁছে দিতে হবে। সঠিক তথ্য উপস্থাপন এবং বিশ্লেষণ সংবাদকর্মের বস্তুনিষ্ঠতা। শুধু মানুষের মুখ থেকে শুনে, মনের মাধুরী মিশিয়ে সংবাদ পরিবেশন করা গর্হিত কাজ। এতে সংবাদপত্রের বস্তুনিষ্ঠতা থাকে না। আর বস্তুনিষ্ঠতা না থাকলে ওই সংবাদের প্রতিবেদক তথা সংবাদপত্র গ্রহণযোগ্যতা হারায়।  

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এইচএআর

Wordbridge School
Link copied!